প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: প্রহর গুনছে শাসকদল, কারণ রাত পোহালেই শুরু হতে চলেছে শাসকদলের বহু প্রতীক্ষিত মহাসমাবেশ। হাতে বাকি আর মাত্র কয়েক ঘণ্টা। প্রতি বছরের মতোই তৃণমূল কংগ্রেসের সর্ববৃহৎ রাজনৈতিক কর্মসূচি ‘একুশে জুলাই শহিদ দিবস’ উদযাপন করতে কোমর বেঁধে নেমে পড়েছে সকলে। ইতিমধ্যেই উত্তাল হয়ে উঠেছে শহর কলকাতা। এমতাবস্থায় ফের দলবদলের সংকেত মিলল। জানা গিয়েছে এবার নাকি হিরণ চট্টোপাধ্যায়ের ঘাসফুল শিবিরে যোগ দিতে চলেছেন!
ফের দলবদলের জল্পনা!
বিগত কয়েকদিন ধরেই রাজনৈতিক শিবিরে জল্পনা উঠেছিল যে রাজ্য বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ নাকি পদ্ম শিবির ছেড়ে ঘাসফুলে যোগ দিতে চলেছেন। তা নিয়ে বেশ সমালোচনা হয়েছিল, তবে সেই জল্পনা আদেও বাস্তবের রূপ নেবে কিনা বোঝা খুব মুশকিল। কারণ গত শুক্রবার দিল্লি থেকে গুরুদায়িত্ব দেওয়া হয়েছে দিলীপ ঘোষকে। বার্তা দেওয়া হয়েছে রাজ্যে যেন তিনি বিজেপির হয়ে জোরদার লড়াই করে। আর এই আবহে আগামীকাল খড়গপুরের গিরি ময়দানে দুপুর ৩টেয় শহিদ স্মরণ দিবস পালনের ডাক দেন দিলীপ ঘোষ।
সরাসরি মুখ খুললেন বিধায়ক
তবে এবার দলবদলের সম্ভাবনা তৈরি হল বিজেপি বিধায়ক হিরণ চট্টোপাধ্যায়কে নিয়ে। ইতিমধ্যেই রাজনৈতিক শিবিরে রটেছে যে, আগামীকাল, ২১ জুলাইয়ের মঞ্চে নাকি জোড়াফুল পতাকা হাতে তুলে নিতে চলেছেন হিরণ। তাই এই জল্পনার সঠিক প্রতিক্রিয়া ঠিক কী তা জানার জন্য ‘Aajtak বাংলা’-র তরফ থেকে যোগাযোগ করা হয় বিধায়কের সঙ্গে। প্রশ্ন শুনেই হিরণ বলেন, ‘এই সমস্ত অবান্তর কোনও প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার জন্য আমি সময় নষ্ট করতে চাই না। আমার এইটুকু সময়ের মূল্য আছে। এই সকল অবান্তর প্রশ্নের উত্তর দেওয়া আমার কাছে দুঃখজনক।’
এখানেই থেমে থাকেননি বিধায়ক হিরণ চট্টোপাধ্যায়। তিনি সেই মতামতে দিলীপ ঘোষের প্রসঙ্গ তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ‘সবাই বলছে, প্রাক্তন সাংসদ দিলীপ ঘোষ নাকি জয়েন করছেন। আমার সম্পর্কে এই সব কথা কেউ বলছে না। সবচেয়ে বড় কথা, বিধানসভায় তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে সবচেয়ে বেশি সরব হয়েছি আমি। ট্রেজারি কেলেঙ্কারি, হিউম্যান রাইটস কমিশন থেকে শুরু করে কৃষক আত্মহত্যা, মহিলা কমিশন, ওয়েস্ট বেঙ্গল পাবলিক সার্ভিস রাইট টু কমিশন নিয়ে আমিই প্রথম সরব হয়েছি। তারপরও যদি এমন অবান্তর প্রশ্ন করে আমার সময় নষ্ট করা হয়, তাহলে তো মুশকিল।”
আরও পড়ুন: একুশে জুলাইয়ের আগেই বীরভূমে খুন তৃণমূল নেতা!
মুখ্যমন্ত্রীকে কটাক্ষ হিরণের
এছাড়াও এদিন সাক্ষাৎকারে বিধায়ক হিরণ চট্টোপাধ্যায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রসঙ্গেও কথা তোলেন। তিনি বলেন, ”আমাদের রাজ্যের মুখ্যসচিব থেকে শুরু করে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের DG, কলকাতার পুলিশ কমিশনার সকলেই অবাঙালি। রাজ্যটাকে মুখ্যমন্ত্রী চালাচ্ছেনই অবাঙালিদের নিয়ে। উনি এমন একজন মুখ্যমন্ত্রী যাঁর সনাতন হিন্দু ধর্ম এবং বাঙালিদের প্রতি বিদ্বেষ রয়েছে। তাই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী জয় শ্রীরাম, জয় মা দুর্গা বা কালী বললে উনি রেগে যাচ্ছেন।”
বিরলতম প্রজাতিরা বিলুপ্ত হয়ে যায় পৃথিবী থেকে ঠিক তেমন ভাবেই বিরলতম মুখ্যমন্ত্রীও ২০২৬ সালে বিলুপ্ত হয়ে যাবেন বলে মমতাকে সরাসরি কটাক্ষ করেন দিলীপ ঘোষ।
গুরুত্বপূর্ণ খবরের জন্য | Join Group |
চাকরির খবরের জন্য | Join Hood Jobs |
রাশিফলের জন্য | Join Hood Rashifal |
খেলার খবরের জন্য | Join Whatsapp |