প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: বিধানসভা নির্বাচন শুরু হতে বাকি আর মাত্র কয়েকটা মাস। তাই রাজ্য জুড়ে ভোট যুদ্ধের এক মহা প্রস্তুতি চলছে। তবে তার আগেই পরের মাস থেকে শুরু হতে চলেছে SIR, তাই এইমুহূর্তে বাংলার হাওয়া বেশ গরম। এমতাবস্থায় হাওড়া (Howrah) পুর প্রশাসকমণ্ডলীর ভাইস চেয়ারপার্সন সৈকত চৌধুরীর পর পদত্যাগের জন্য আবেদন করলেন হাওড়া পুরসভার চেয়ারম্যান সুজয় চক্রবর্তী। গত শনিবার পুরসভার চেয়ারম্যান পদ থেকে পদত্যাগের জন্য পুর ও নগরোন্নয়নমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের কাছে চিঠি পাঠিয়ে দিয়েছেন তিনি। আর তাই নিয়ে চলছে জোর চর্চা।
কেন পদত্যাগের এই সিদ্ধান্ত?
বছর দেড়েক আগেও সুজয় চক্রবর্তী একইভাবে পদত্যাগের ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন। কিন্তু সেই সময় রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের অনুরোধেই তিনি পদত্যাগ করেননি। এই প্রসঙ্গে মুখ্য প্রশাসক সুজয় চক্রবর্ত্তী জানান, তাদের সাড়ে চার বছর বোর্ড থাকাকালীন হাওড়া শহরে অনেক উন্নতি ঘটেছে। বিশেষত জমা জলের সমস্যা থেকে শুরু করে, জঞ্জাল অপসারণের মতো সমস্যার সমাধান করা হয়। কিন্তু ব্যক্তিগত কারণের জন্যই তিনি এই পদত্যাগ করতে চান। এবং আর্জি জানিয়েছেন এবার যেন তাঁর পদত্যাগপত্র গৃহীত হয়। তবে এখনও এ বিষয়ে বিশদ কিছু জানা যায়নি হাওড়া পুরসভা সূত্রে।
ইস্তফা দিয়েছিলেন সৈকত চৌধুরীও
২০১৮ সালের ডিসেম্বর মাসে হাওড়া পুরসভার তৃণমূল পরিচালিত বোর্ডের মেয়াদ শেষ হয়। তারপর থেকেই নবান্নের নির্দেশে পুরসভায় প্রশাসকমণ্ডলী তৈরি করা হয়। কয়েকজন সদস্যকে নিয়েই প্রশাসকমণ্ডলী চলে। এর আগে রাজ্যের মন্ত্রী অরূপ রায় প্রশাসকমণ্ডলীর নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। ২০২১ সালের ১৮ অগস্ট থেকে হাওড়ার মুখ্য পুরপ্রশাসক হিসাবে দায়িত্ব দেওয়া হয় বিশিষ্ট শিশু চিকিৎসক সুজয় চক্রবর্তীকে। কিন্তু এবার সেই দায়িত্ব থেকে তিনি মুক্তি পেতে চান। কিছুদিন আগে দক্ষিণ হাওড়ার প্রশাসকমণ্ডলীর ভাইস চেয়ারম্যান পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন সৈকত চৌধুরী।
আরও পড়ুন: কাউকে না জানিয়ে পৌরসভায় অডিট! তালা ঝুলিয়ে ফাইল নিয়ে চলে গেল কাউন্সিলর
উল্লেখ্য, পুজোর আগেই দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় পুর প্রশাসনে ‘পারফরম্যান্স’-এর ভিত্তিতে রদবদলের বার্তা দিয়েছিলেন। তাই দলীয় সূত্রে খবর ছিল, দক্ষিণ হাওড়ার প্রশাসকমণ্ডলীর ভাইস চেয়ারম্যান সৈকত চৌধুরীকে এই কারণে সরানো হয়েছে। শুধু সে নয়, এর পর আরও কয়েক জনকে পুর প্রশাসকমণ্ডলী থেকে সরানো হতে পারে। আর তাতেই সন্দেহ বাড়ছে। তবে কি পদ থেকে সরানোর আঁচ পেয়েই আগেভাগে পদত্যাগ করলেন সুজয়? এখনও এই নিয়ে স্পষ্ট কোনো ইঙ্গিত পাওয়া যায়নি।












