প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: হাওড়ায় তোলাবাজির অভিযোগে এবার সরকারি চাকরি গেল তৃণমূল নেত্রীর স্বামীর! নির্মীয়মাণ বাড়ি ও দোকান থেকে জোর জুলুম করে তোলা আদায়ের অভিযোগ উঠল সেই ব্যক্তির বিরুদ্ধে। এদিকে স্থানীয়দের অভিযোগ প্রকাশ্যে আসতেই হাওড়া পুলিশ কমিশনারেটের তরফে চাকরি বাতিলের নির্দেশ জারি করা হয়েছে।
ঘটনাটি কী?
বিগত বেশ কদিন ধরেই দেখা যাচ্ছে সাঁকরাইল এলাকায় কোনো নির্মীয়মান বাড়ি তৈরি হলে বা কোনো নতুন দোকানপাট খুললেই ওই এলাকার পঞ্চায়েত সমিতির সভানেত্রী সোনালি দাসের স্বামী তোলাবাজি করতে যেত। অভিযুক্ত সেই ব্যক্তির নাম বরুণ দাস।
সম্প্রতি বরুণের বেশ কয়েকটি ভিডিও সমাজমাধ্যমে বেশ ভাইরাল হয়েছে। যেখানে দেখা যায় অভিযুক্ত ব্যক্তি একটা নির্মীয়মান বাড়ির সামনে মোটরসাইকেলে চেপে বসে আছেন। আর যাঁর জমিতে বাড়ি নির্মাণের কাজ চলছে সেখানে তাঁর সঙ্গে তর্ক জুড়েছেন তিনি। ভিডিওটি প্রকাশ্যে আসতেই রাজনৈতিক বিতর্ক শুরু হয়।
সাবধানবার্তা দেওয়া হলেও মেটেনি সমস্যা
এদিন পুলিশের তরফে জানা গিয়েছে যে, অভিযুক্ত বরুণ দাস চাকরি করতেন পুলিশে। সেখানে ট্রেনি হোম গার্ড ছিলেন। রাতে এলাকার ধর্মীয়স্থানগুলি পাহাড়া দেওয়ার কাজ ছিল বরুণের। কিন্তু সেই কাজেও ফাঁকি দিতেন তিনি। এর আগেও বরুণের বিরুদ্ধে ধারাবাহিক ভাবে তোলাবাজির অভিযোগ উঠে এসেছিল।
বারকয়েক তাঁকে সাবধান করা হয়েছিল। কিন্তু কথা শোনেননি। আর এবার এই তোলাবাজির খবর পুলিশের উর্ধ্বতন কর্তাদের কাছে চলে যাওয়ায় হাওড়া কমিশনারেটের তরফ থেকে কড়া নির্দেশ জারি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: পর্যটকদের হবে সুবিধা, দিঘায় বাস চলাচলে নয়া নিয়ম রাজ্য সরকারের
তোলাবাজির অভিযোগে চাকরি থেকে বরখাস্ত!
হাওড়া পুলিশ কমিশনারেটের নির্দেশিকায় স্পষ্ট বলা হয়েছে বরুণ দাসকে চাকরি থেকে অবিলম্বে ও পাকাপাকি বরখাস্ত করতে হবে। এদিকে দিনের পর দিন এই তোলাবাজি এবং দাদাগিরি ফলানোর ক্ষমতা বৃদ্ধির পিছনে অন্যতম কারণ হিসেবে সকলেই জানাচ্ছেন তাঁর স্ত্রীর বড় পদের বল।
অর্থাৎ বরুণ দাস শাসক দলের নেত্রীর স্বামী হওয়ার সুবাদে সুযোগ নিতেন। সেই কারণেই এলাকায় তিনি অন্যায়ের ছুরি ঘোরাতেন। তবে স্থানীয়রা জানিয়েছে জল বেশিদূর গড়ানোর আগে পুলিশ যে এ সব ব্যাপারে দ্রুত পদক্ষেপ করছে সেটা খুবই ভালো বিষয়।
গুরুত্বপূর্ণ খবরের জন্য | Join Group |
চাকরির খবরের জন্য | Join Hood Jobs |
রাশিফলের জন্য | Join Hood Rashifal |
খেলার খবরের জন্য | Join Whatsapp |