প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: রেশন দুর্নীতি মামলায় ২০২৩ সালে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ED র হাতে গ্রেফতার হয়েছিলেন প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক (Jyotipriya Mallick)। অনেকবার জামিনের জন্য আবেদন করা হলেও কোনো ক্ষেত্রেই তা কাজে আসেনি। শেষে চলতি বছর ১৫ জানুয়ারি বিশেষ ED আদালতে ৫০ লক্ষ টাকার ব্যক্তিগত বন্ডে ও ২৫ হাজার টাকার দুটি বন্ডে শর্তসাপেক্ষে জামিন মঞ্জুর হয় জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের। এবং জেল থেকে ছাড়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। এরপর দীর্ঘ ১৫ মাস পরে বিধানসভায় যান জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। বন্দিদশা কাটিয়ে এখন কিছুটা স্বাভাবিক ছন্দে ফিরছেন হাবড়ার তৃণমূল বিধায়ক জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক।
দুই কমিটিতে সদস্যপদ পেলেন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক!
জেল থেকে ছাড়া পাওয়ার পর যেদিন প্রথম জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক বিধানসভায় আসেন তখন জামিনের শর্ত হিসেবে সাংবাদিকদের সঙ্গে মুখোমুখি হলেও কোনো বিষয় নিয়ে মুখ খুলতে পারেননি তিনি। তবে সেদিন দলের মুখ্য সচেতক নির্মল ঘোষের সঙ্গে দেখা করেছিলেন। হয়েছিল চায়ের আড্ডা। কমবেশি বিধানসভায় আসা-যাওয়া শুরু করেছেন। আগামী বাজেট অধিবেশনেও তাঁর অংশ নেওয়ার কথা। আর এই আবহেই এবার রাজ্যের প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী ঠাঁই পেলেন বিধানসভার দু’টি কমিটিতে। বিদ্যুৎ দপ্তরের বিধানসভার স্ট্যান্ডিং কমিটির সদস্যপদ পাওয়ার পাশাপাশি লোকাল ফান্ড কমিটির সদস্যপদও গ্রহণ করলেন তিনি।
মন্ত্রীত্ব পদ হারালেন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক
তৃণমূল সরকার গঠনের পর থেকেই মন্ত্রী হিসেবে নিজের পদ ধরে রেখেছিলেন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। যার দরুন সেই সময় তিনি বিধানসভার কোনও কমিটিতে ছিলেন না। কিন্তু রেশন দুর্নীতি কাণ্ডে জড়িয়ে পড়ার পর একের পর এক অভিযোগের ভিত্তিতে মন্ত্রী পদ খোয়াতে হয় জ্যোতিপ্রিয়কে। এখনও সেই মন্ত্রিত্ব পদ ফিরে পাননি তিনি। তাই শেষ পর্যন্ত বিধানসভার এই কমিটি পদ-ই ভরসা। এছাড়াও হাবড়ার বিধায়ক হিসেবে এলাকার উন্নয়ন সংক্রান্ত নানা খবর নিয়ে স্থানীয় কাউন্সিলর এবং নেতাকর্মীদের সঙ্গে কথা বলছেন।
তবে দ্রুত যাতে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক বিধায়ক পদ হিসাবে কাজ শুরু করতে পারেন তার জন্য নিয়মিত ব্যবধানে বিধানসভায় এসে নথিপত্র সংক্রান্ত কাজ সারছেন তিনি। এর পাশাপাশি হাবড়ার উন্নয়নের কোথায় কী হচ্ছে, কোন কোন কাজ আটকে আছে, কোথায় রাস্তা খারাপ হয়ে পড়েছে, কোথায় আলো নষ্ট হয়েছে, জলের সমস্যা কোথায়, সে সব বিষয়ে তদারকি করছেন জোরকদমে।