‘সব ফাঁস করে দেব!’ নিয়োগ কাণ্ডে রাজসাক্ষী হতে চেয়ে কোর্টে আবেদন পার্থর জামাইয়ের, হল মঞ্জুরও

Published on:

Recruitment Case

প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে একের পর এক অভিযুক্তের জামিন হলেও এখনো জেলবন্দী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। একাধিকবার জামিনের জন্য আবেদন করে চলেছে সে, অবশেষে ED র মামলায় জামিন পেলেও এখনও জেলবন্দী পার্থ। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় (Recruitment Case ) যখন জামিনের জন্য মরিয়া লড়াই করছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায় তখন উলটে তাঁর বিপদ আরও বাড়ল। বিপাকে পড়লেন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। ইডির প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে রাজসাক্ষী হলেন তাঁর জামাই কল্যাণময় ভট্টাচার্য।

গুরুত্বপূর্ণ খবর পড়তে জয়েন করুন Join Now

আবেদন মঞ্জুর আদালতে

জানা গিয়েছে, পার্থ চট্টোপাধ্যায় এর নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় এবার বিশেষ ইডি আদালতে পার্থের বিপক্ষে রাজসাক্ষী হতে চলেছেন তাঁর জামাই কল্যাণময় ভট্টাচার্য। ইতিমধ্যে সেই আবেদন মঞ্জুর করেছে কলকাতার বিশেষ PMLA আদালত। এই প্রথম নিয়োগ দুর্নীতির কোনও মামলায় কোনও অভিযুক্ত রাজসাক্ষী দিতে রাজি হল। তবে এই মামলায় কল্যাণময় নিজের ইচ্ছায় রাজসাক্ষী হতে চাওয়ার পাশাপাশি তাঁর বিরুদ্ধে উঠে আসা দুর্নীতির অপরাধ মাফ করার আর্জি জানিয়েছে আদালতে।

রাজসাক্ষী জামাই!

এদিকে রাজসাক্ষী হওয়ার আবেদন গ্রহণ করে কল্যাণময় ভট্টাচার্যকে আদালতে গোপন জবানবন্দি দিতে বলেন বিচারক। সঙ্গে বিচারক কল্যাণময়কে বলেন, যদি সে সব সত্যি কথা বলে তাহলে তাঁর বিরুদ্ধে থাকা অভিযোগ ক্ষমা করার ব্যাপারে বিবেচনা করবে আদালত। শ্বশুরের বিরুদ্ধে জামাই রাজসাক্ষী হওয়ায় পার্থর বিপদ আরও বাড়ল বলে জানা গিয়েছে। অর্থাৎ বাকি জীবনটা তাঁকে জেলেই কাটাতে হবে বলে মনে করছেন আইনজ্ঞরা। আসলে ২০১৭ সালের ২৬ জুলাই প্রয়াত হন পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের স্ত্রী বাবলি চট্টোপাধ্যায়। এর পর তাঁর নামে একটি ট্রাস্ট তৈরি করেন পার্থ। সেই ট্রাস্টের কর্ণধার ছিলেন তাঁর একমাত্র মেয়ে সোহিনী ভট্টাচার্য।

বাছায় করা খবর নিজের মোবাইলে পেতে Join Now

আরও পড়ুনঃ বাংলাদেশের বাসিন্দা হয়েও প্রতি মাসে রেশন কার্ডে পাচ্ছেন সামগ্রী! পূর্ব বর্ধমানে শোরগোল

এরপর সেই ট্রাস্টের অধীনে পশ্চিম মেদিনীপুরের প্রত্যন্ত গ্রামে জমি লিজ নিয়ে বাবলি চট্টোপাধ্যায় মেমোরিয়াল স্কুল নামে একটি স্কুল তৈরি করেন কল্যাণময়। তবে সেই স্কুলের দেখভাল করতেন কল্যাণময়ের মামা কৃষ্ণচন্দ্র অধিকারী। এরপর নিয়োগ দুর্নীতির তদন্ত করতে গিয়ে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা এই স্কুলের খোঁজ পেয়েছিলেন। কল্যাণময়কে একাধিকবার তলব করা হয়। এরপর ২০২২ সালেও ইডি দফতরে হাজিরা দিয়েছিলেন তিনি। এবার দেখার পালা রাজসাক্ষী হয়ে জামাই তাঁর শ্বশুরের বিরুদ্ধে কী অভিযোগ আনে।

গুরুত্বপূর্ণ খবরের জন্যJoin Group
চাকরির খবরের জন্যJoin Hood Jobs
রাশিফলের জন্যJoin Hood Rashifal
খেলার খবরের জন্যJoin Whatsapp
সঙ্গে থাকুন ➥
X
Join Group