চাকরি, চাল চুরি অতীত! এবার ব্যাঙ্কের টাকা তছরুপ করে গ্রেফতার TMC নেতা

Published on:

Krishnanagar TMC Leader

প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: ফের কোটি টাকা তছরুপের অভিযোগ উঠল শাসকদলের বিরুদ্ধে। বিধানসভা নির্বাচনের আগে দলের বিরুদ্ধে এইরূপ অভিযোগে রীতিমত মাথায় হাত মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। জানা গিয়েছে সমবায় সমিতির প্রায় ১৪ কোটি টাকা তছরুপের অভিযোগ উঠল এবার কলকাতা হাইকোর্টে। গ্রেফতার হলেন কৃষ্ণনগরের তৃণমূলের প্রাক্তন শহর সভাপতি শিবনাথ চৌধুরী (Krishnanagar TMC Leader) ।

গুরুত্বপূর্ণ খবর পড়তে জয়েন করুন Join Now

ঘটনাটি কী?

সূত্রের খবর ২০১৪ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত দীর্ঘ ৬ বছর ধৃত শিবনাথ চৌধুরী তৃণমূলের প্রাক্তন শহর সভাপতি ছাড়াও নদিয়া জেলা সেন্ট্রাল কো-অপারেটিভ ব্যাঙ্কের প্রাক্তন চেয়ারম্যান ছিলেন। আর সেই সময় প্রায় ১৪ কোটি টাকা তছরুপ করেন শিবনাথ। আর তাঁর এই দূর্ণীতিমূলক কাজের বিরোধিতা করতে ওই ব্যাঙ্কের এক মহিলা গ্রাহক নন্দিতা দাস যিনি কিনা কালিনগর সোসাইটির সদস্য তিনি মামলা করেন কলকাতা হাই কোর্টে। শুধু টাকা তছরূপই নয়, মহিলাদের সঙ্গে অশালীন ব্যবহারের অভিযোগও উঠেছে তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে ৷ ওই মহিলা গ্রাহকের এই অভিযোগের ভিত্তিতে হাই কোর্টের নির্দেশে কৃষ্ণনগরের কোতোয়ালি থানার পুলিশ গ্রেফতার করে বর্ষীয়ান এই তৃণমূল নেতাকে। গতকাল অর্থাৎ শুক্রবার তাঁকে আদালতে পেশ করা হয়েছিল। কিন্তু সেখানে অসুস্থ হয়ে পড়লে তাঁকে সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়।

রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র!

যদিও শিবনাথ চৌধুরীর দাবি, যখন তিনি কৃষ্ণনগর সেন্ট্রাল কো-অপারেটিভ ব্যাঙ্কের সহ-সভাপতির পদে ছিলেন তখন বেশ কিছুজন টাকা ফেরত পাচ্ছিলেন না বলে অভিযোগ করেছিলেন। কিন্তু পরবর্তীকালে তাঁদের টাকা ফেরত দেওয়া হয়েছে। আর এখানেই তাই প্রশ্ন উঠছে তাহলে প্রতারণার অভিযোগ উঠছে কী করে? কেনই বা পুলিশের গ্রেফতার করেছে? শিবনাথ চৌধুরী মনে করছেন যে এই গ্রেফতারির পিছনে শুধুমাত্র রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র রয়েছে। অর্থাৎ তাঁর মতে শুধুমাত্র রাজনৈতিক কারণেই তাঁকে ফাঁসানো হয়েছে।

বাছায় করা খবর নিজের মোবাইলে পেতে Join Now

কটাক্ষ বিজেপির

এছাড়াও গ্রেফতারির প্রসঙ্গে শিবনাথ চৌধুরী বলেন, “সেন্ট্রাল কো-অপারেটিভ ব্যাঙ্কের নির্বাচনের পর থেকেই আমার বিরুদ্ধে কেস হচ্ছে। এটা পুরোটাই চক্রান্ত।” অন্যদিকে অভিযোগকারী নন্দিতা ঘোষ বলছেন, “উনি কালিনগর সোসাইটির ১৪ কোটি টাকা তছরূপ করেছেন। কিন্তু তার এই দূর্নীতিমূলক কাজের বিরোধিতা করতে অফিসারেরা ভয় পান। তাই ব্যবস্থা নিতে পারেননি। তাই আমি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলাম। কিন্তু শেষ পর্যন্ত প্রশাসন ব্যবস্থা নিয়েছে।” এদিকে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে জেলাজুড়ে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। স্থানীয় বিজেপি সহ বিরোধীদের দাবি, এটাই তৃণমূলের সংস্কৃতি। গরু, কয়লা, নিয়োগ সহ একাধিক কেলেঙ্কারিতে ইতিমধ্যে শাসকদলের নেতাদের নাম জড়িয়েছে। এবার সমবায়তেও বড়সড় দুর্নীতি ফাঁস হল সকলের সামনে।

রাজ্য রাজনীতি, বিনোদন থেকে শুরু করে খেলা সংক্রান্ত নানা ধরনের খবরের লেটেস্ট আপডেট পেতে এখনই ফলো করুন আমাদের India Hood Bangla কে।

গুরুত্বপূর্ণ খবরের জন্যJoin Group
চাকরির খবরের জন্যJoin Hood Jobs
রাশিফলের জন্যJoin Hood Rashifal
খেলার খবরের জন্যJoin Whatsapp
সঙ্গে থাকুন ➥
X
Join Group