প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: কিছুদিন আগে রাজনীতি নিয়ে গানে গানে বোমা ফাটিয়েছিলেন গায়ক তথা অভিনেতা অনির্বাণ ভট্টাচার্য এবং তাঁর টিম ‘হুলি গান ইজম’। আর তার পর থেকেই তাঁদের গান ‘তুমি মস্তি করবে জানি’ সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশ ভাইরাল হয়েছে। এই গানে তৃণমূল, বিজেপি এবং সিপিআইএম তিনটি দলের একাধিক নেতাকে নিয়ে বিদ্রুপ করা হয়েছে। রীতিমত লুটে পুটে মজা নিয়েছেন দর্শকরা। সেক্ষেত্রে বিজেপির বেশ কয়েকজন নেতা এই গানের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানালেও কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh) এই গানের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন।
ভূয়সী প্রশংসা অনির্বাণের!
ভাইরাল ‘হুলি গান ইজম’-এর ‘তুমি মস্তি করবে জানি’ গানে কখনও মোদী, এসআইআর এবং ‘আচ্ছে দিন’-এর কথা উঠে এসেছে, কখনও আবার কুণাল ঘোষ, দিলীপ ঘোষ, এবং শতরূপ ঘোষের কথা। গানের সুরে অনির্বাণকে গাইতে শোনা যায়, “গান বাজনা ছাড়, চল ফেসবুকটাই করি, ওটা দিয়েই সমাজ ভাঙি ওটা দিয়েই গড়ি, পার পাবে না কেউ হোক যতই বুকের পাটা ভাই আমরা হব বিপ্লবী আর সবাই চটিচাটা!” আর এই গানের কথাই এবার মজা হিসেবে নিলেন কুণাল ঘোষ। এক্স হ্যান্ডেলে এই ভাইরাল গানের লাইন শেয়ার করে লেখেন, “ যাদের জীবন শুধুই ফেসবুকময়, ফেসবুকেতেই হিরো, ফেসবুকেতেই জিরো, বাতেলা ছাড়া আর কী কী কাজে থাকে কেউ জানে না; চাকরিবাকরি, লেখা, শ্রম, সামাজিক কর্মসূচি, নিদেনপক্ষে পাড়ার ক্লাব, কোথাও দায়িত্বপালনের খবর নেই; তাদের জন্য লাইনগুলো ভারি সুন্দর।”
একই প্রশংসা শতরূপ ঘোষের
যদিও ‘হুলি গান ইজম’-এর এই গান মনে প্রাণে আগেও উপভোগ করার কথা জানিয়েছিলেন তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষের। গানের ধরন, উপস্থাপনাও বেশ উপভোগ করেছিলেন। এমনকি অনির্বাণ ও তাঁর গোটা টিমকে শুভেচ্ছাও জানিয়েছিলেন তিনি। একই সুর শোনা গিয়েছিল সিপিআইএম নেতা শতরূপ ঘোষের কণ্ঠে। এই বামনেতার উদ্দেশে অনির্বাণের গানের লাইন ছিল- “ওটা বিপ্লবীদের পার্টি, আর এক ঘোষও আছে। টিভির চ্যানেল পার্টি অফিস বড্ড হাঁটাহাঁটি। তাই কিনেছে গাড়ি। দামটা বেশি খুব, ফেসবুকেতে রাজা মোদের দাদা শতরূপ।” সেক্ষেত্রে শতরূপের মন্তব্য, “আমরা সবসময় চাই শিল্পীরা পলিটিক্যাল স্ট্যান্ড নিক। তাঁদেরও রাজনৈতিক মতামত থাক। আমার নাম নিয়েছে আমি কৃতজ্ঞ।”
আরও পড়ুন: মহালয়ার রাতে ইকো পার্কে পাশে পুলিশকর্মীকে পিষে দিল বেপরোয়া গাড়ি! মৃত এক, আহত দুই
প্রসঙ্গত, ‘হুলি গান ইজম’-এর এই রাজনৈতিক গান মনে প্রাণে সিপিআইএম এবং তৃণমূল গ্রহণ করলেও, আপত্তি জানিয়েছেন বঙ্গ রাজনীতির আরেক ‘ঘোষ’, রুদ্রনীল। তাঁর মূল আপত্তি এই যে, মঞ্চে দাঁড়িয়ে সনাতন ধর্ম নিয়ে অনির্বাণের কটাক্ষ। আসলে ‘হুলি গান ইজম’-এ অনির্বাণ গানের সুরে বলেছিল, “সনাতন এসে গেছে? আর সনাতনী? সনাতন মানে আমি সনাতন ধর্মের কথা বলছি। আসেনি তো এখনো? সনাতন ভারতে পৌঁছতে হলে আমাদের পিছিয়ে যেতে হবে, সবাই এগিয়ে যায়, আমরা পিছিয়ে যাব!” তাই এই কারণে অনির্বাণ এবং তাঁর গোটা টিমকে ক্ষমা চাওয়ার নিদান দিয়েছিলেন। অনেকে আবার FIR দায়েরও করেছিলেন।