প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh) এবং মিঠুন চক্রবর্তীর নাম একসঙ্গে উচ্চারিত হলেই যেন রাজনৈতিক আখড়ায় এক ঝড় বয়ে যায়। কারণ সম্প্রতি রাজনৈতিক চাপানউতোরে বাক বিতণ্ডায় জড়িয়েছেন দুজনেই। একে অপরের রাজনৈতিক অবস্থান নিয়ে বারবার নানা প্রশ্ন তুলেছেন। শুধু কি তাই? এক অপরের বিরুদ্ধে বর্তমানে হাইকোর্টে মামলা ঝুলছে। এই আবহের মাঝেই রবিবার দক্ষিণ কলকাতার এক স্টুডিওতে একই সময়ে হাজির হয়েছেন দুই জন নেতা-অভিনেতা। উদ্দেশ্য ফিল্মের ডাবিংএর কাজ।
মুখোমুখি কুণাল মিঠুন
রিপোর্ট অনুযায়ী, আজ, রবিবার দক্ষিণ কলকাতার সাদার্ন অ্যাভিনিউয়ের স্টুডিওতে তুঙ্গে ছিল ব্যস্ততা। তার কারণ আজ স্টুডিওর মাইক্রোফোনে একসঙ্গে দুই বিপরীত রাজনৈতিক কণ্ঠ শোনা যাবে। আর তাঁরা হলেন বিজেপি নেতা মিঠুন চক্রবর্তী এবং তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। আসলে আজ একই দিনেই স্টুডিওতে ডাবিং হচ্ছে অভিজিৎ সেনের ‘প্রজাপতি ২’ এবং অরিন্দম শীলের ‘কর্পূর’ ছবির। যদিও ওই ডাবিং স্টুডিওর দু’টি আলাদা ফ্লোরে হবে বলে জানা গিয়েছে। কিন্তু শিল্পী বা বাকি কলাকুশলীদের বসার জন্যে আছে একটা কমন লাউঞ্জ। ফলে সেখানেই মুখোমুখি হওয়ার সম্ভাবনা আছে মিঠুন-কুণালের।
রাজনৈতিক সংঘর্ষর মাঝেই ডাবিং
প্রথমে জানা গিয়েছিল যে যেহেতু কুণাল ঘোষ এবং মিঠুন চক্রবর্তীর মধ্যে সম্পর্ক খুবই খারাপ তাই যাতে কোনো আশঙ্কার পরিস্থিতি তৈরি না হয় তাই এই বিষয় নিয়ে ছবির পরিচালক অরিন্দম শীল, কুণাল ঘোষের সঙ্গে কথা বলেছিলেন কিন্তু তিনি আগেই জানিয়েছিলেন যে, তিনি তাঁর শিডিউল বদল করবেন না। এদিকে আবার শোনা যাচ্ছিল স্টুডিওয় যাতে কুণালের মুখোমুখি না হতে হয়, সেইজন্য নাকি শনিবারই ডাবিং করতে যাচ্ছেন মিঠুন। তবে সব জল্পনা সত্যি করে অবশেষে একই স্টুডিওতে ডাবিং সারতে হাজির হলেন মিঠুন চক্রবর্তী ও কুণাল ঘোষ। একদিকে কুণাল ঘোষ ‘কর্পূর’-এর ডাবিং করছেন, তো ঠিক সেসময় ওই স্টুডিওর অন্য তলে মিঠুন তাঁর ‘প্রজাপতি টু’র ডাবিং করছেন।
আরও পড়ুন: গ্রেফতার ৩৫০ কোটির চিটফাণ্ড কেলেঙ্কারির হোতা TMC নেতার ছেলে, উদ্ধার সোনা
উল্লেখ্য, সেপ্টেম্বর মাস থেকে আইনি লড়াই হয়ে চলেছে তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ ও বিজেপি নেতা মিঠুন চক্রবর্তীর মধ্যে। অভিযোগ উঠেছে কুণাল ঘোষ নাকি মিঠুনও তাঁর পরিবারের বিরুদ্ধে মিথ্যা, কুরুচিকর ও অপমানজনক মন্তব্য করেছেন। তাই এই নিয়ে মামলায করেন মিঠুন। দাবি করেছিলেন যে, কুণালের ওই মন্তব্যের কারণে তাঁর ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হয়েছে, তাই ক্ষতিপূরণ হিসেবে ১০০ কোটি টাকা দেওয়া হোক এবং ভবিষ্যতে এমন মন্তব্য করা থেকে তাঁকে বিরত রাখার নির্দেশ দিক আদালত। অন্যদিকে, কুণালও পাল্টা প্রতিক্রিয়া হিসেবে বলেছিলেন, “যা বলেছি, আদালতেই দেখা হবে।” হাইকোর্টে মামলার শুনানিও সামনেই।












