প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: আশাহত রাজ্য সরকার! গতকাল অর্থাৎ মঙ্গলবার, OBC শংসাপত্র বাতিল মামলায় বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তী এবং বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার ডিভিশন বেঞ্চ ওবিসি সংক্রান্ত নতুন বিজ্ঞপ্তিতে (WB OBC Case) অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দিয়েছে। আগামী 31 জুলাই পর্যন্ত এই নির্দেশ বহাল থাকবে। আর এই আবহে বিচারপতির সিদ্ধান্তে বিরোধী দল বিজেপিকে একহাত নিলেন তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ।
ভিডিও বার্তা কুণালের
এদিন বিচার ব্যবস্থার প্রতি সম্মান জানিয়েও বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার OBC সংক্রান্ত মামলার স্থগিতাদেশ নিয়ে ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য করেছেন তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ। এক ভিডিও বার্তায় তৃণমূল নেতা বলেন, “বিচারব্যবস্থার প্রতি আমাদের পূর্ণ আস্থা রয়েছে। তবু অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে একথা বলতে হচ্ছে যে বিচারপতি মান্থা অতীতেও এমন কিছু রায় বা পর্যবেক্ষণ দিযেছেন যাতে সকলে ন্যায়বিচার দেখতে পাননি। তাঁর সিদ্ধান্তে বরাবরই বিজেপি দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর প্রোটেকশন পেয়েছেন, রসদ পেয়েছেন। এমনকি আজকের রায়েও দুঃখজনকভাবে বিচারপতির মান্থার নাম যুক্ত রয়েছে।”
ফের আইনি পদক্ষেপ করবে রাজ্য!
এছাড়াও এদিন কুণাল ঘোষ আরও জানিয়েছেন যে, “অতীতে দেখেছি, সুপ্রিম কোর্টের একজন বিচারপতি অবসর নেওয়ার পরই তাঁকে রাজ্যসভায় পাঠানো হচ্ছে এমনকি হাইকোর্টে অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে দেখা গেছে চাকরি চলাকালীন ইস্তফা দিয়ে বিজেপিতে চলে যেতে! অর্থাৎ আমরা বিচার ব্যবস্থাকে সম্মান করতে চাইলেও কয়েকজন বিচারপতির অর্ডার বা পর্যবেক্ষণ বিজেপিতে রাজনীতি করার রসদ জুগিয়ে দিচ্ছে। তাই এই মামলায় আমরা আইনি পদক্ষেপ করব।”
অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশের নির্দেশ হাইকোর্টের!
এর আগে বিধানসভার বক্তৃতাতে OBC নতুন তালিকা নিয়ে স্পষ্ট মন্তব্য করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি জানান, 140টি জনগোষ্ঠীর যে তালিকা তৈরি হয়েছে, সেখানে অমুসলিম জনগোষ্ঠীও রয়েছে। ওই তালিকার মধ্যে 80টি সংখ্যালঘু (মুসলিম) জনগোষ্ঠী এবং বাকি 60টি অমুসলিম জনগোষ্ঠী রয়েছে। কিন্তু সেই সমীক্ষায় অত্যাধিক গরমিল এবং ত্রুটি থাকায় কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করা হয়। সেই মামলার সুবাদেই এবার নয়া তালিকায় অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশের নির্দেশ জারি করেছে কলকাতা হাইকোর্ট।
আরও পড়ুন: মার্কিন সংস্থার কাছে বিক্রি হল সাউথ সিটি মল, কত হাজার কোটিতে?
প্রসঙ্গত, গত বছর 22 মে কলকাতা হাইকোর্ট 2010 সালের পরে তৈরি রাজ্যের সব OBC সার্টিফিকেট বাতিল করে দেয়। সেই মামলার রায়ে হাইকোর্ট স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছিল যে, 2010 সালের আগের 66 টি সম্প্রদায়ের ওবিসি শংসাপত্র বৈধ। তার পর থেকে তৈরি সব ওবিসি শংসাপত্রই নাকি অবৈধ, সেই সূত্রে সকল শংসাপত্র বাতিল করা হয়। এদিকে রাজ্য এই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে যায়। কিন্তু সুপ্রিম কোর্ট কলকাতা হাইকোর্টের রায়ে স্থগিতাদেশ দেয়নি। ফলে মামলাটি এখন কলকাতা হাইকোর্টেই বিচারাধীন রয়েছে।
রাজ্য রাজনীতি, বিনোদন থেকে শুরু করে খেলা সংক্রান্ত নানা ধরনের খবরের লেটেস্ট আপডেট পেতে এখনই ফলো করুন আমাদের India Hood Bangla কে।
গুরুত্বপূর্ণ খবরের জন্য | Join Group |
চাকরির খবরের জন্য | Join Hood Jobs |
রাশিফলের জন্য | Join Hood Rashifal |
খেলার খবরের জন্য | Join Whatsapp |