কলকাতাঃ খেলা যেন ঘুরে গেল। এবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নামেই মামলা দায়ের করে ফেললেন সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি। শুনে চমকে গেলেন তো? কিন্তু এটাই দিনের আলোর মতো সত্যি। আর এহেন ঘটনাকে কেন্দ্র করে রীতিমতো কেঁপে গিয়েছে বাংলা তথা দেশীয় রাজনৈতিক মহল। কেউ কল্পনাও করতে পারেননি এমনটা ঘটবে বলে। গতকাল তৃণমূল ছাত্র পরিষদের কর্মসূচিতে এক বিস্ফোরক মন্তব্য করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর এই নিয়েই এবার তাঁর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হল দিল্লি পুলিশের কাছে।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে FIR
গতকাল মেয়ো রোডে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “কিছু মানুষ ভাবছেন এটা বাংলাদেশ। আমি বাংলাদেশকে ভালোবাসি, তাদের সংস্কৃতি ও খাদ্যাভ্যাস আমাদের মতোই। কিন্তু বাংলাদেশ একটি ভিন্ন দেশ আর ভারত একটি ভিন্ন দেশ। মোদীবাবু, সেই আগুন যদি বাংলায় ছড়িয়ে দিতে চান তাহলে জেনে রাখুন, বাংলায় আগুন লাগলে অসম বাঁচবে না, বিহার, উত্তরপ্রদেশ মণিপুর, ওড়িশাতেও আগুন লাগবে। দিল্লিতেও পৌঁছবে এই আগুন।” ব্যস এরপরেই যা হওয়ার তাই হল। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে দিল্লি পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী বিনীত জিন্দাল।
উস্কানিমূলক মন্তব্য মমতার!
সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী বিনীত জিন্দাল যুক্তি দিয়েছেন যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এহেন মন্তব্য উস্কানিমূলক। আগামী দিনে এমন মন্তব্য দেশে অশান্তি উস্কে দিতে পারে। গত ৯ আগস্ট আরজি কর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের সেমিনার রুম থেকে বছর ৩১-এর এক মহিলা চিকিৎসকের দেহ উদ্ধার হয়। ময়নাতদন্তে উঠে এসেছে, ওই তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে। এদিকে এহেন ঘটনার বীভৎসতায় রীতিমতো কেঁপে উঠেছে দেশ। দিকে দিকে বিক্ষোভের আগুন জ্বলছে। বিক্ষোভে সামিল হয়েছেন চিকিৎসকরা। তবে সকলকে কাজে যোগ দেওয়ার আহবান জানিয়েছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী।
বড় অভিযোগ মমতার
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘কলকাতা পুলিশের কাছ থেকে চিকিৎসক ধর্ষণ খুনের তদন্তভার সিবিআই নেওয়ার পর ১৬ দিন হয়ে গেল, ন্যায়বিচার কোথায়? তরুণীর মৃত্যুতে সাধারণ মানুষের ভাবাবেগকে কাজে লাগাতে চাইছে বিজেপি। তারা বাংলার বদনাম করতে চায় এবং ঘটনার তদন্তকে লাইনচ্যুত করার ষড়যন্ত্র করছে, যাতে নির্যাতিতা ও তার পরিবার ন্যায়বিচার না পায়।’