প্রীতি পোদ্দার, মালদহ: বছর ঘুরতে ২৬ এই বিধানসভা নির্বাচন। আর এই নির্বাচনের প্রস্তুতির আবহে রাজনীতির অন্দরে ফের রক্তারক্তির ঘটনা ঘটলো। কিছুদিন আগে মুর্শিদাবাদের বহরমপুরে তৃণমূল কংগ্রেস টাউন সভাপতি পাপাইকে লক্ষ্য করে গুলি চালানোর অভিযোগ ওঠে দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। কিন্তু অল্পের জন্য রক্ষা পেয়েছেন তিনি ৷ তবে ঘোষের গাড়ির কাঁচ ভেঙে গিয়েছে ৷ ব্যাপক শোরগোল পড়ে গিয়েছে এলাকায়। আর এই আবহে ফের নতুন বছরের দ্বিতীয় দিনে এমন ধরনের ভয়ংকর ঘটনা ঘটেছে। চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে গত এলাকায়।
ঘটনাটি কী?
খবর অনুযায়ী, এদিন সকালে ইংরেজবাজারে বাড়ি থেকে বেরিয়ে দলীয় কার্যালয়ে গিয়েছিলেন ইংরেজবাজার পুরসভার তৃণমূল কাউন্সিলর দুলালবাবু। সেখানে সমস্ত প্রয়োজনীয় কাজকর্ম সেরে তিনি পার্টি অফিস থেকে বেরিয়ে নিজের ফ্যাক্টরির দিকে রওনা হচ্ছিলেন। আর তখনই সুযোগ বুঝে তিন দুষ্কৃতী মোটরবাইকে করে এসে দুলালবাবুকে তাড়া করে। দুলালবাবু দৌড়তে শুরু করলে তাঁকে লক্ষ্য করে পরপর ৪ রাউন্ড গুলি ছোড়ে দুষ্কৃতীরা। পর পর তিনটি গুলি তাঁর শরীরে লাগলে রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে পড়েন।
এদিকে সকাল সকাল গুলির শব্দ ও আর্তনাদ শুনে দলের কর্মীরা ছুটে বেরিয়ে আসে বাইরে। রাস্তায় কাউন্সিলর দুলালবাবুকে পড়ে থাকতে দেখে সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এবং সেখানে নিয়ে গেলে ডাক্তারেরা সঙ্গে সঙ্গে অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে যায়, সঙ্গে সঙ্গে তাঁর অস্ত্রোপচার শুরু করেন তাঁরা। কাঁধে গুলি লেগেছে তাঁর। তবে শারীরিক অবস্থা এখনও আশঙ্কাজনক বলে জানা গিয়েছে।
তদন্তে নেমেছে পুলিশ
এদিকে কাউন্সিলরের ওপর হামলার খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছন জেলা পুলিশের উচ্চপদস্থ কর্তারা। কী কারণে কাউন্সিলরের উপর এমন হঠাৎ হামলা হল তা খতিয়ে দেখছেন তাঁরা। দরকার পড়লে, এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখছে বলে জানিয়েছেন তদন্তকারী পুলিশেরা। কিন্তু সেখানে দেখা হয় দুষ্কৃতীরা সবাই নাকি মুখে কাপড় বেঁধে এসেছিল। আর তাতে তদন্তে বেশ আসল অপরাধীকে ধরতে সময় লাগছে। কিন্তু এই ঘটনা রাজনৈতিক হিংসার কারণে নাকি ব্যবসায়িক কোনও গন্ডগোলের জেরে হচ্ছে, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।