প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: অবশেষে গতকাল অর্থাৎ সোমবার বিকেলে জুনিয়ার চিকিৎসকদের সঙ্গে বহু প্রতীক্ষিত বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। টানা সেই দুই ঘন্টার বৈঠকে ওঠে জুনিয়ার চিকিৎসকদের ১০ দফা দাবি। যেই দাবিগুলির মধ্যে অন্যতম এবং প্রধান দাবি ছিল স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণস্বরূপ নিগমের অপসারণ। তাঁকে ‘অভিযুক্ত’ হিসেবে উল্লেখ করা হয়। আর সেই প্রসঙ্গ উঠতেই কার্যত ফুঁসে উঠলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
অভিযুক্ত না দোষী স্পষ্ট পার্থক্য বৈঠকে!
স্বাস্থ্যসচিবেড় অপসারণ প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী দাবি করেন যে কারও বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হলে তাঁকে ‘অভিযুক্ত’ বলা যায় না। আইনে সেটা স্বীকৃত নয়। পাল্টা যুক্তি দিয়ে জুনিয়র ডাক্তারদের এক প্রতিনিধি দাবি করেন, কারও বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠলে তাঁকে ‘অভিযুক্ত’ বলা যায়। তাতে আইনি কোনও বাধা নেই। আইনের ভাষায় তখনই ‘দোষী’ বলা যায়, যখন কোনও অভিযুক্তের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত নয়। যদিও নিজের যুক্তিতে অনড় থাকেন মুখ্যমন্ত্রী। যার ফলে প্রমাণিত হচ্ছে যে চিকিৎসকদের দাবি মেনে কলকাতা প্রাক্তন পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েলকে সরিয়ে দিলেও, স্বাস্থ্য সচিবকে তিনি কিছুতেই সরাবেন না।
সাসপেনশন নিয়ে প্রশ্ন মমতার!
শুধু স্বাস্থ্য সচিবের অপসারণ নয়, থ্রেট কালচারে জড়িত থাকার অভিযোগে আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালে যাদের সাসপেনশন করা হয়েছে তাদেরকে নিয়েও রীতিমত উষ্মাপ্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী। এমনকি তিনি প্রশ্ন করেন, রাজ্য সরকারকে না জানিয়েই কীভাবে ৪৭ জনকে সাসপেন্ড করার সিদ্ধান্ত নিলেন আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালের এর প্রিন্সিপাল?
আরও পড়ুনঃ রক্ত জমাট বাধা চোখে সাত ঘণ্টা অস্ত্রোপচার! এখান কেমন আছে অভিষেক?
আর এতেই পাল্টা জবাব দেয় জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলনের অন্যতম ‘মুখ’ অনিকেত মাহাতো। তিনি দাবি করেন, যাঁদের সাসপেন্ড করা হয়েছে, তাঁরা অন্যতম ‘কুখ্যাত অপরাধী’। যদি তাঁদের সাসপেনশন নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয় তাহলে সেটি অপরাধীদের পক্ষে বার্তা যাবে বলে মনে করা হয়। এদিনের বৈঠকে মোট ১৭ জন জুনিয়র ডাক্তার ছিলেন। আর এই বৈঠকের সরাসরি সম্প্রচার করা হয়েছিল। জুনিয়র ডাক্তাররা ছাড়াও এই বৈঠকে আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে, কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ-সহ একাধিক মেডিক্যাল কলেজের সুপাররা উপস্থিত ছিলেন।