প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: ধর্মতলায় আজ ব্যাপক জনজোয়ার! তার কারণ আজ ২১ জুলাই! একদিকে, তৃণমূলের শহিদ তর্পণের দিন, অন্যদিকে, ২৬-এর বিধানসভা নির্বাচনের আগে শেষবার শাসকদলের শক্তি প্রদর্শনের সুযোগ। প্রতিবছর এইদিনেই তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই বিশেষ দিনে দলের জন্য বিশেষ বার্তা দিয়ে থাকেন। আর এবার সরাসরি বিজেপি মুক্ত রাজ্য গড়ার ডাক দিলেন জনগণকে।
বিজেপিকে এক হাতে নিলেন মমতা
বিগত কয়েকদিন ধরেই ভিন রাজ্যে বাঙালি শ্রমিকদের উপর অত্যাচার নানা খবর উঠে আসছে শিরোনামে। শুধু তাই নয় বাংলা ভাষা বললে বাঙালি শ্রমিকদের বাংলাদেশী তকমা দিয়ে রাজ্য ছাড়া করছেন সকলে। আর সেই ঘটনার প্রতিবাদে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।
তাইতো গত ১৬ জুলাই, বুধবার, রাজপথে বিপুলবমিছিল বের করেছিলেন তিনি। বাঙালি আবেগে মিছিলের মাধ্যমে শান দিয়েছিলেন তিনি। এবার সেই প্রসঙ্গই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তুলে ধরলেন ২১ জুলাইয়ের মঞ্চে।
শহীদের মঞ্চে কী বললেন মমতা?
এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “নির্বাচনের আগে ভারতের সরকার একাধিক রাজ্যে সার্কুলার পাঠিয়েছে। হাজার হাজার লোককে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে, কাউকে মধ্যপ্রদেশে, কাউকে ওড়িশায়, কাউকে বা রাজস্থানে জেলে বন্দি করা হয়েছে। কিন্তু কী কারণে এই বন্দি দশা? কীসের অপরাধ? বাংলায় কথা বলেছে বলে! কেন্দ্রীয় সরকারের ‘অবিচার’ ও ‘বদলার রাজনীতি’ এখন চরমে পৌঁছেছে। তাইতো জনগণের কণ্ঠস্বর রুদ্ধ করার চক্রান্ত চলছে।”
বাংলায় অবিভাজনের ডাক মমতার
এখানেই থেমে থাকেননি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বিজেপির বিরুদ্ধে রীতিমত ‘ধর্মের নামে ভেদাভেদ’ করার অভিযোগও তুলেছিলেন। তিনি বলেন, “বাংলার মানুষদেরকে হিন্দু-মুসলমান সম্প্রদায়কে নিয়ে এক অপরের কান ভাঙ্গাচ্ছে। এইভাবে রাজনীতি করতে চাইছে বিজেপি। কিন্তু বাংলার মানুষ সেটা মেনে নেবে না। আমরা সবাই একসঙ্গে থাকি। কোনোদিনও আমরা বাংলা বিভাজন হতে দেব না।” এমনকি তিনি এদিন কেন্দ্রের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের বার্তাও দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: ‘রাজনৈতিক যুদ্ধ অন্য জায়গায় করুন’, মমতার বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলা নিয়ে বিস্ফোরক প্রধান বিচারপতি
দিল্লিতে বিজেপি বিসর্জনের বার্তা
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আরও বলেন, “আপনারা একের পর এক বিরোধী নেতাকে ফাঁসিয়ে দিচ্ছেন, ভয় দেখাচ্ছেন। সবাইকে জেলে ভরে দিচ্ছেন, কিন্তু মনে রাখবেন নির্বাচনের পর মানুষ আপনাদের জেলে ভরে দেবে, সেই দিন আর বেশি দূরে নয়। যেদিন দিল্লিতে বিজেপিকে রাজনৈতিকভাবে বিসর্জন দেব, সেদিন এই লড়াই থামবে।” মমতার নিশানার থেকে বাদ যায়নি সিপিআইএম।
Paying tribute to the Martyrs of 21st July Shahid Dibas at Dharmatala | ধর্মতলায় একুশে জুলাইয়ের শহিদ স্মরণে #ShahidDibas
— All India Trinamool Congress (@AITCofficial) July 21, 2025
এদিন সিপিএম- এর বিরুদ্ধে তিনি হুংকার দেন যে, “নর কঙ্কালের সরকার বাংলাকে শেষ করে দিয়েছিল। আবার রাম-বাম এক হয়ে বাংলার সর্বনাশ করতে চেয়েছিল। কিন্তু মানুষ রায় দিয়েছে উন্নয়নের পক্ষে, গণতন্ত্রের পক্ষে।”
গুরুত্বপূর্ণ খবরের জন্য | Join Group |
চাকরির খবরের জন্য | Join Hood Jobs |
রাশিফলের জন্য | Join Hood Rashifal |
খেলার খবরের জন্য | Join Whatsapp |