প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: গত সোমবার থেকে রাজ্য বিধানসভার বাজেট অধিবেশনের দ্বিতীয় পর্বের প্রথম দিন থেকে বেশ শোরগোল পরে গিয়েছে শাসকদল এবং বিরোধী দলের মধ্যে। প্রথম দিনের পর দ্বিতীয় দিনেও উত্তাপ জারি রাজ্য বিধানসভায়। বাদ যায়নি আজও। মঙ্গলবারও বিধানসভায় বিজেপি বিধায়কদের তীব্র বিক্ষোভে উত্তাল হল অধিবেশন। ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে হামলার ঘটনা নিয়ে এদিন মুলতুবি প্রস্তাব আনতে চেয়েছিলেন বিজেপি বিধায়করা। কিন্তু বিষয়টি আগেই আলোচনা হয়ে গিয়েছে বলে সেই প্রস্তাব খারিজ করেন অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। যা নিয়ে একপ্রস্ত চলে ঝামেলা।
আজও বিধানসভায় বাজেট অধিবেশনের দ্বিতীয় পর্বের আলোচনা চলাকালীন বিক্ষোভ পরিস্থিতি তৈরি করে। তখনই শাসকদলের পদের গুরুত্ব নিয়ে বিজেপির প্রতি ক্ষুব্ধতা প্রকাশ করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। আর সেই সময় বিজেপির মুখ্য সচেতক শঙ্কর ঘোষ এদিন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জ্যোতি বসুর আমলে মমতা বন্দোপাধ্যায়ের বিধানসভায় ভাঙচুর চালানোর প্রসঙ্গ তুলে ধরেন। আসলে আজ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিধানসভায় বক্তব্য রাখতে গেলে শঙ্কর ঘোষ-সহ বিজেপি বিধায়করা তুমুল বিতর্ক এবং চিৎকার শুরু করে। এবং অভিযোগ করতে থাকে যে বাংলায় হিন্দুরা আক্রান্ত হচ্ছেন, তাঁরা একদমই নিরাপদ নয়।
বিধানসভায় জোর বিতর্ক মমতা-শঙ্করের
সেই সময় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পাল্টা জবাব দিয়ে মনে করিয়ে দেন যে, “আমাদের দলেরও ৪২ জন এমপি লোকসভা, রাজ্যসভায় আছেন। তাঁরাও বিএ কমিটির বৈঠকে উপস্থিত থাকেন। আমি তাঁদের বারবার বলি তোমরা সব আলোচনায় অংশ নেবে। হাউস চালাতে সাহায্য কোরো।” এরপর বিজেপি বিধায়কদের উদ্দেশে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “যখন আমরা কোনও চেয়ারে বসি, তখন আমরা সেটার প্রতি যত্নশীল থাকি।” কিন্তু এরপরেও বিধানসভা চত্বরে বিজেপি বিধায়কদের বিতর্ক থামে না। সেই সময় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রেগে গিয়ে বলেন যে “আপনারা আগে বলে নিন। কিন্তু আমি বলার সময় আশা করব আপনারা বেরিয়ে যাবেন না।”
আরও পড়ুনঃ যাদবপুর নিয়ে বড় রায় হাইকোর্টের
চেয়ার ভাঙার প্রসঙ্গে এবার ক্ষুব্ধ মমতা
আর সেই মুহূর্তে শঙ্কর ঘোষ, প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জ্যোতি বসুর আমলে বিধানসভায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ার ভাঙার প্রসঙ্গ তুলে ধরেন । তিনি বলেন, “আপনি বলেন, সত্যের জন্য কোনও কিছু ত্যাগ করা যায় না। তাহলে আমি নিশ্চিয়ই আশা করব আপনি স্বীকার করবেন এই বিধানসভার সদস্য না হয়েও আপনি বিধানসভা ভাঙার কাজে যুক্ত ছিলেন।” এরপরই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পাল্টা চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে জানিয়ে দেন যে যদি “প্রমাণ দিতে পারি এই ঘটনার তাহলে মুখ্যমন্ত্রীর পদ ছেড়ে দেব।” তাতে পাল্টা ফের মন্তব্য করে শঙ্কর ঘোষ জানিয়ে দেন যে “আপনি চেয়ারের মর্যাদা রাখলে আমরাও আপনার চেয়ারের মর্যাদা রাখব, যদি আপনি সেটা না রাখেন তাহলে আমরাও রাখতে পারব না।”
রাজ্য রাজনীতি, বিনোদন থেকে শুরু করে খেলা সংক্রান্ত নানা ধরনের খবরের লেটেস্ট আপডেট পেতে এখনই ফলো করুন আমাদের India Hood Bangla কে।
গুরুত্বপূর্ণ খবরের জন্য | Join Group |
চাকরির খবরের জন্য | Join Hood Jobs |
রাশিফলের জন্য | Join Hood Rashifal |
খেলার খবরের জন্য | Join Whatsapp |