প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: গতকাল ছিল কালীপূজো। সকাল থেকেই মণ্ডপে মণ্ডপে চলছিল কালীপুজোর আরাধনার প্রস্তুতি। আর এই আলোর উৎসবের দিনে মণ্ডপে মণ্ডপে শ্যামাসঙ্গীত তো বাজবেই। পান্নালাল ভট্টাচার্য থেকে শুরু করে কুমার শানু কিংবা বাবুল সুপ্রিয়-অনেকের গলাতেই শ্যামাসঙ্গীত বেশ জনপ্রিয়। ‘আমার সাধ না মিটিল’, ‘শ্যামা মা কি আমার কালো’, ‘আমায় একটু জায়গা দাও’-সহ অজস্র গান রয়েছে তাঁদের গাওয়া। তবে সম্প্রতি রাজ্যের আর এক মন্ত্রী তথা বিশিষ্ট শিল্পী ইন্দ্রনীল সেনের গলায় শোনা গেল শ্যামা সঙ্গীত। আর সেই গানের কথা ও সুর দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
ভাইরাল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শ্যামাসঙ্গীত!
‘আলোর সাথে নিশীথ রাতে/ মা এসেছেন ঘরে /বরণ করো বরণ করো /বরণ করো তাঁরে/ মা তুমি মা, মা তুমি মা…’ গতকাল অর্থাৎ কালীপুজোর দিনেই প্রকাশ্যে এল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের লেখা কথা ও সুরে শ্যামাসঙ্গীত। রাজ্য রাজনীতি সামলানোর পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রীর অনেক গুণই দেখতে পেয়েছেন রাজ্যবাসী। কখনও ক্যানভাসে তাঁর রং-তুলির আঁচড় তো আবার কখনও ছন্দ ও অলংকারের সহযোগে লেখা কবিতা সকলকে চমকে দিয়েছে একের পর এক জাদুতে। তবে শুধু কবিতা এবং আঁকার মধ্যে নিজেকে সীমাবদ্ধ না রেখে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গীতিকার ও সুরকার হিসাবেও আত্মপ্রকাশ করেছেন। এবারের পুজোয় প্রকাশিত হয় তাঁরই কথা সুরে ১০টি গানের অ্যালবাম ‘অঞ্জলি’। দর্শকদের মন কেড়েছে এই অ্যালবামে।
ইন্দ্রনীলের সুরের চমকে মুগ্ধ দর্শকবৃন্দ
জানা গিয়েছে, এই মুহূর্তে মুখ্যমন্ত্রীর লেখা ও সুরারোপিত গানের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৩০। আর এই আবহে শ্যামাসঙ্গীত এর মাধ্যমে দর্শকদের নজর কাড়লেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর সেই লেখা গানে স্বর দিলেন বিশিষ্ট শিল্পী ইন্দ্রনীল সেন। কথা যেমন সরল, তেমনই সহজ সুরের চলন। এই গানে দর্শকদের মনে এতটাই জায়গা করে নিয়েছে যে, অমাবস্যার রাত বাড়তে না বাড়তই মণ্ডপে মণ্ডপে পুজোর ব্যস্ততার মাঝেও বারংবার বেজেই চলেছে এই শ্যামাসঙ্গীত।
এদিকে গতকাল ছিল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কালীঘাটের বাড়িতে কালীপুজো। ধুমধাম করে মহা সমারোহে নিজের হাতে তিনি কালী বন্দনা করে থাকেন। এদিন মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির পুজোয় দলের নেতা-কর্মী উপস্থিত থাকার পাশাপাশি এসেছিলেন গ্ল্যামার জগতের অনেকেই। অভিনেত্রী সুদীপা বন্দ্যোপাধ্যায়, দেবলীনা কুমার, পূজারিণী ঘোষ এসেছিলেন। এছাড়া ছিলেন তারকা সাংসদ জুন মালিয়া। বিকেলের দিকে কালীঘাটের বাড়িতে যান রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমার, মুখ্যসচিব মনোজ পন্থও।