‘প্রতিবেশীর সঙ্গে বন্ধুত্বের বন্ধন দৃঢ় হোক’, নেপাল সরকারের প্রধান সুশীলাকে শুভেচ্ছা মমতার

Published on:

Nepal

প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: ‘জেন জি’ আন্দোলনের জেরে বিগত কয়েকদিন ধরে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল প্রতিবেশী রাষ্ট্র নেপাল (Nepal)। রীতিমত অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল, যার ফলে ওলি সরকারের পতন হয়। দেশের দায়িত্ব সেনাপ্রধানের হাতে চলে গেলেও কিছুতেই নিয়ন্ত্রণে রাখা যাচ্ছে না পরিস্থিতি। শেষে অগ্নিগর্ভ নেপালের হাল ধরলেন সে দেশের প্রাক্তন বিচারপতি ৭৩ বছরের সুশীলা কারকি। শুক্রবার রাতে শপথ নিলেন তিনি। এদিকে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নেওয়ার পরই অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান কারকিকে শুভেচ্ছা জানালেন মমতা।

চারদিন পরে দেশের দায়িত্ব কাঁধে নিলেন কারকি

নেপালের ইতিহাসে প্রথমবার মহিলা প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ গ্রহণ করলেন সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি হয়েছিলেন সুশীলা কারকি। গতকাল অর্থাৎ শুক্রবার রাতে রাষ্ট্রপতি রামচন্দ্র পৌডেলের উপস্থিতিতে শপথবাক্য পাঠ করেন তিনি। গত মঙ্গলবার ওলির ইস্তফার পরে প্রাথমিক ভাবে আন্দোলনকারীদের একটি অংশ পরবর্তী সরকার প্রধান হিসেবে কাঠমান্ডুর নির্দল মেয়র র‌্যাপার বলেন্দ্র শাহর নাম প্রকাশ্যে আনা হয়েছিল কিন্তু শেষ পর্যন্ত সুশীলাকেই সমর্থন করেন আন্দোলনকারীদের বড় অংশ। যার দরুন ‘জেন জি’ বিক্ষোভের জেরে ওলি সরকারের পতনের চারদিন পর দেশটির নতুনভাবে দায়িত্বভার উঠল কারকির কাঁধে।

অশান্ত নেপাল কার হাত ধরে ঘুরে দাঁড়াবে সে নিয়ে আলোচনা চলছিলই। এরপর গত বুধবার ৫ হাজার যুব আন্দোলনকারী একটি ভারচুয়াল বৈঠক করে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হিসাবে কারকির নাম প্রস্তাব করে। তরুণ প্রজন্ম কারকির কাছে প্রস্তাব নিয়ে গেল তিনি সমর্থনের জন্য কমপক্ষে ১,০০০ লিখিত স্বাক্ষর চেয়েছিলেন। যদিও তাঁকে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হিসাবে সমর্থন করে ২,৫০০-রও বেশি স্বাক্ষর সংগ্রহ হয়। এরপর নেপালের অন্তর্বর্তী প্রধানমন্ত্রী পদে বসার জন্য সেনাপ্রধান জেনারেল অশোক রাজ সিগদেল ও প্রেসিডেন্ট রাম চন্দ্র পৌডেলেরও অনুমোদন পেয়ে যান কারকি। শুক্রবার রাতে নেপালের রাষ্ট্রপতি ও অন্যান্য প্রধানদের উপস্থিতিতে শপথ নেন তিনি। কাঠমান্ডুর রাষ্ট্রপতি ভবন শীতল আবাস থেকে বিবৃতি জারি করে সে কথা জানানো হয়।

আরও পড়ুন: মমতা উত্তরবঙ্গ থেকে ফিরতেই ডুয়ার্সে বন্ধ তিনটি চা বাগান! পুজোর আগে কর্মহীন শ্রমিকরা

মমতার শুভেচ্ছাবার্তা

নেপালের নয়া অন্তর্বতী সরকারের প্রধান হিসাবে সুশীলা কারকিকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি সমাজমাধ্যমে লিখেছেন, ‘‘নেপালের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধানমন্ত্রী হিসাবে দায়িত্বগ্রহণের জন্য মাননীয়া সুশীলা কারকিকে আমার আন্তরিক শুভেচ্ছা। নেপালের মানুষের শান্তি, সমৃদ্ধি এবং অগ্রগতির জন্য ভারত দৃঢ় ভাবে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’’ শুভেচ্ছা জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। তিনি বলেন, “নেপালের অন্তর্বর্তী প্রধানমন্ত্রী হিসাবে দায়িত্ব গ্রহণের জন্য আমি মাননীয়া সুশীলা কারকিকে শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। পশ্চিমবঙ্গের সঙ্গে নেপালের সীমান্ত রয়েছে এবং দুই দেশের জনগণের মধ্যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক আছে। আমরা প্রতিবেশী হিসাবে বন্ধুত্ব এবং সহযোগিতার গভীর বন্ধন লালন করার জন্য উন্মুখ।’’

সঙ্গে থাকুন ➥