প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: সামনেই বিধানসভা নির্বাচন। আর কয়েক মাস পেরোলেই রাজ্য জুড়ে শুরু হয়ে যাবে ভোট প্রস্তুতি। তাই সেই সময়ের অপেক্ষা না করে এখন থেকেই বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ভোর প্রচারের তোড়জোড় শুরু করে দিয়েছে। এমতাবস্থায় দেশের সবথেকে দরিদ্র মুখ্যমন্ত্রীর চর্চায় নাম উঠে এল বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। যা নিয়ে রীতিমত তুমুল শোরগোল শুরু হয়ে গেল রাজ্য জুড়ে।
ধনীতম মুখ্যমন্ত্রী কে?
ADR রিপোর্ট অনুযায়ী, দেশের দেশের ধনীতম মুখ্যমন্ত্রী হলেন অন্ধ্রপ্রদেশের চন্দ্রবাবু নায়ডু৷ তাঁর মোট সম্পত্তির পরিমাণ ৯৩১ কোটি টাকা৷ অন্যদিকে সেই তালিকায় রাজ্যের ধনীতম মুখ্যমন্ত্রীদের তালিকায় দ্বিতীয় এবং তৃতীয় স্থানে রয়েছেন যথাক্রমে অরুণাচল প্রদেশের প্রেমা খান্ডু এবং কর্ণাটকের সিদ্দারামাইয়া। তাঁদের কোষাগারে যথাক্রমে রয়েছে ৩৩২ কোটি টাকা এবং ৫১ কোটি টাকা। দেশের ধনীতম মুখ্যমন্ত্রীদের তালিকায় প্রথম দশে বিজেপি-রই তিন জন মুখ্যমন্ত্রী রয়েছেন৷
এছাড়াও তালিকার চতুর্থ স্থানে রয়েছে নাগাল্যান্ডের মুখ্যমন্ত্রী নেইফিউ রিও, তাঁর সম্পদের মোট পরিমাণ ৪৬ কোটি। পঞ্চম স্থানে রয়েছে মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী মোহন যাদব, তাঁর সম্পদের মোট পরিমাণ ৪২ কোটি। ষষ্ঠ স্থানে রয়েছে পুদুচেরির মুখ্যমন্ত্রী এন. রংগস্বামী, তাঁর মোট সম্পদের পরিমাণ ৩৮ কোটি। সপ্তম স্থানে রয়েছে তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী রেভান্থ রেড্ডি, তাঁর মোট সম্পদ রয়েছে ৩০ কোটি। অষ্টম স্থানে রয়েছে ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন, তাঁর মোট সম্পদের পরিমাণ ২৫ কোটি। নবম স্থানে রয়েছে আসামের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত বিশ্ব শর্মা, তাঁর সম্পদের পরিমাণ ১৭ কোটি। এবং দশম স্থানে রয়েছে মেঘালয়ের মুখ্যমন্ত্রী কনরাড কংকাল সাংমা, তাঁর সম্পদের পরিমাণ ১৪ কোটি। তাই স্বাভাবিকভাবেই সকলের মনে প্রশ্ন জেগেছে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মোট কত টাকার সম্পত্তি রয়েছে।
মমতার সম্পদের পরিমাণ কত?
অ্যাসোসিয়েশন ফর ডেমোক্র্যাটিক রিফর্ম বা ADR-এর রিপোর্ট অনুযায়ী, দেশের মুখ্যমন্ত্রীদের মধ্যে মাত্র দুই মুখ্যমন্ত্রী ছাড়া বাকি সবাই কোটিপতি। তার মধ্যে একজন হলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অপরজন হলেন জম্মু কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লাহ৷ জানা গিয়েছে, পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীর সম্পত্তির পরিমাণ ১৫ লক্ষ টাকা ৷ ২০২১ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত ভবানীপুর উপনির্বাচনের আগে নির্বাচন কমিশনে জমা দেওয়া হলফনামার ভিত্তিতে জানা গিয়েছে, সেই সময় তার হাতে নগদ ছিল ৬৯,২৫৫ টাকা এবং ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ছিল ১৩.৫ লক্ষ টাকা, যার মধ্যে ১.৫ লক্ষ টাকা নির্বাচনী খরচের জন্য নির্দিষ্ট একটি অ্যাকাউন্টে জমা ছিল।
আরও পড়ুন: আবারও বিজেপিতে ফিরছেন বাবুল সুপ্রিয়? জানিয়ে দিলেন নিজেই
উল্লেখ্য, ১৯৮৪ সাল থেকে টানা সাংসদ ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ কিন্তু সাংসদ পদ ছেড়ে দিলেও পেনশন নেন না তিনি৷ এমনকি ২০১১ সাল থেকে মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে প্রাপ্য বেতনও নেন না তিনি৷ অন্যদিকে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরে তালিকায় রয়েছেন জম্মু ও কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লাহ, যিনি ৫৫ লক্ষ টাকার সম্পদের উল্লেখ করেছেন। এবং তৃতীয় স্থানে রয়েছেন কেরালার মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন, যার ঘোষিত সম্পদের পরিমাণ ১ কোটিরও বেশি। এছাড়াও দেশের ধনীতম মুখ্যমন্ত্রীদের তালিকায় কংগ্রেসের তরফেও রয়েছেন দু জন৷