প্রীতি পোদ্দার, সন্দেশখালি: গত ২৬ ডিসেম্বর, বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে সন্দেশখালি সফরের কথা জানান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। আর সেই পূর্বঘোষিত সূচি মতোই আজ, সোমবার উত্তর ২৪ পরগনার সন্দেশখালির ঋষি অরবিন্দ মিশনের মাঠে প্রশাসনিক সভা ও পরিষেবা প্রদান অনুষ্ঠানে এসেছেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই উদ্দেশ্যে নিরাপত্তার ঘেরাটোপে মুড়ে ফেলা হয়েছে দ্বীপাঞ্চল এবং আশপাশের এলাকা।
সভা মঞ্চে দাঁড়িয়ে বিরোধীদের তুলোধোনা মমতার
মূলত সরকারি পরিষেবা প্রদানের অনুষ্ঠানে যোগ দিতেই সন্দেশখালি গিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে সন্দেশখালিতে গিয়ে সেখানকার বিতর্কিত ঘটনা নিয়ে কথা বলবেন না, এটা ভাবা অস্বাভাবিক ছিল। তাই এবার সেই বিষয় নিয়ে মুখ খুললেন মমতা। সন্দেশখালির সভামঞ্চে দাঁড়িয়ে মহিলাদের উদ্দেশে বড় বার্তা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “কোনও দুষ্টু লোকের খপ্পরে পড়বেন না। মেয়েরা, কেউ ডাকল আর চলে গেলেন, এমনটা করবেন না।” এদিন গেরুয়া শিবিরের পাশাপাশি লাল শিবিরকেও তুলোধোনা করতে ছাড়েননি তিনি।
ভাষণের প্রথম দিকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিজেপিকে উদ্দেশ্য করে বলেন যে, “আমি জানি এখানে টাকার অঙ্কের খেলা হয়েছে। পরে দেখলেন তো, সবটাই ভাঁওতা, মিথ্যে বেশিদিন চলে না।” পাশাপাশি সিপিএমকেও আক্রমণ করে বলেন, “সবথেকে বেশি সাধারণ মানুষকে অত্যাচার করত যারা, তারা এখন বড় বড় কথা বলছে। সবাই নরকঙ্কাল, অত্যাচারীর দল। এদের মিথ্য কথায় ভুলবেন না। মনে রাখবেন, দিদিকে বললে দিদি কাজ করবে।” আর এই মন্তব্যের মাঝেই তাঁর মুখে শোনা যায় লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পের কথা।
লক্ষ্মীর ভান্ডার নিয়ে বড় মন্তব্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের
এদিন সভাস্থলে মহিলাদের জমায়েত ছিল চোখে পড়ার মতো। তাঁদের উদ্দেশে মমতা বলেন, “সন্দেশখালির মা বোনেরা জেনে রাখুন, তাঁরাই আমাদের গর্ব। তাঁরাই সংসার চালান। সেই কারণে স্বাস্থ্যসাথী তাঁদের নামে করা হয়েছে। তাঁরাই জানেন কখন কোনটা কী করতে হবে।” এছাড়াও তিনি বলেন, “ আবাস যোজনা নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের আগে একটা প্রকল্প ছিল। সেই প্রকল্পে আমাদের থেকে ট্যাক্স নিয়ে চলে যায়। কিন্তু টাকা দেয় না, তাতে কি? আমরা আমাদের টাকায় ইতিমধ্যেই ৪৭ লক্ষ বাড়ি তৈরি করেছি। ১৬ লক্ষ মানুষের নাম আছে। তাই বলব ঘাবড়াবেন না।” এছাড়াও লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রাপকদের মমতা বলেন, “যত দিন বেঁচে থাকবেন এই ভাতা আপনারা পেয়ে যাবেন। এই ভাতার টাকা আপনাদের, অন্য কেউ এই টাকার ভাগীদার নয়।”