তৃণমূলের মেগা বৈঠকে গরহাজির উত্তরবঙ্গের বহু কাউন্সিলর! কারণ কী? চাপে শাসকদল

Published on:

TMC Meeting

প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: গতকাল অর্থাৎ বুধবার রাত থেকেই নেতাজি ইন্ডোর চত্বরে দেখা গিয়েছিল আমন্ত্রিত দলীয় নেতা–কর্মীদের ভিড়। উৎসাহী কর্মীদেরও ভিড় নেহাত কম ছিল না। শেষ কর্মীসভা হয়েছিল ২০২৩ এর নভেম্বরে। মাঝখানে এত বড় কোনো সম্মেলন হয়নি। দীর্ঘদিন বাদে এরকম সমাবেশের ডাক দিয়েছেন মমতা। তাই মাত্র ৭২ ঘণ্টার নোটিসে এত বড় সমাবেশের আয়োজন করা হয়েছে। অনুমান করা হয়েছিল যেখানে কলকাতার নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে প্রায় ১৫ হাজার তৃণমূল নেতাকর্মীর সমাবেশে (TMC Meeting) হই হই রব উঠবে। সেখানে উত্তরবঙ্গের বেশ কিছু তৃণমূল কাউন্সিলরদের অনুপস্থিতির চিত্র ফুটে উঠল সকলের সামনে।

উপস্থিত হয়েছিল উত্তরবঙ্গের গুটিকয়েক কাউন্সিলর

আজ সকালে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এর ডাকা বৈঠকে উপস্থিত হতে নেতাজী ইন্ডোর স্টেডিয়ামে রীতিমত ধস্তাধস্তি শুরু হয়ে যায়, কাঁচের জানলায় হাত পা কেটে অনেকের। হাসপাতালে নিয়ে যেতে হয়। কিন্তু সেই পরিস্থিতিতেও আরও এক অন্য চিত্র লক্ষ করা গেল। উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন পুরসভার কাউন্সিলররা এদিনের বৈঠকে অনুপস্থিত ছিলেন। বেশ কয়েকজন এই বৈঠকে উপস্থিত থাকলেও আলিপুরদুয়ার পুরসভার ২০ জন কাউন্সিলরের মধ্যে মাত্র ৪ জন এসেছেন বৈঠকে। এছাড়াও জলপাইগুড়ির ২২ জন তৃণমূল কাউন্সিলরের মধ্যে মাত্র ১২ জন পৌঁছেছেন এই সভাস্থলে। ময়নাগুড়ি পুরসভা থেকেও ১৬ জন কাউন্সিলরের মধ্যে উপস্থিত হয়েছেন মাত্র ৭ জন। উত্তরবঙ্গ থেকে এত কম দলীয় কর্মীর উপস্থিতি দেখে নানা জল্পনা শুরু হয়েছে।

কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিজেপি

তবে অনেক রাজনীতিবিদদের মতে আদতে গোষ্ঠী দ্বন্দ্বের কারণে মুখ্যমন্ত্রীর বৈঠকে উপস্থিত হয়নি বেশ কিছু কাউন্সিলর। আবার অনেকেই মনে করছে বিধানসভা নির্বাচনের আগে দলের মধ্যে বিভিন্ন মত পার্থক্যের জেরে অনেকেই তৃণমূল থেকে বিজেপিতে যাওয়ার তোড়জোড় করছে আর তারই ইঙ্গিত দিতে এবার বৈঠকে হাজির হননি অনেক কাউন্সিলর। অবশ্য এই গরহাজির নিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিজেপির মুখ্য সচেতক শংকর ঘোষ। তিনি বলেন, “উত্তরবঙ্গে তৃণমূল বলে কিছু নেই। পুলিশ প্রশাসনকে ব্যবহার করে কিছু লোককে তৃণমূলের ঝান্ডা ধরতে বাধ্য করে। কিন্তু মনে মনে সবাই বিজেপিরই সমর্থক। আর আজ তাই ভালো করেই প্রমাণিত।”

আরও পড়ুনঃ কেষ্টর উপর আরও দায়িত্ব, কাজল? নেতাজি ইনডোর থেকে বীরভূম নিয়ে বড় বার্তা মমতার

এখানেই থেমে থাকেননি বিজেপির মুখ্য সচেতক শংকর ঘোষ। তিনি আরও বলেন, “যে ভাবে তৃণমূলের নাম একের পর এক দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়েছে যে কেউ আর নিজের নাম খারাপ করতে এবং সততা ক্ষুণ্ন করতে আর তৃণমূলের সঙ্গে নিজের নাম জড়াবে না। তাইতো ধীরে ধীরে বেশ কয়েক হাজার কর্মী আমাদের দলে প্রায়ই যোগদান করে।

ইন্ডিয়াহুডের বিশেষ প্রতিবেদন
গুরুত্বপূর্ণ খবরের জন্যJoin Group
চাকরির খবরের জন্যJoin Hood Jobs
রাশিফলের জন্যJoin Hood Rashifal
খেলার খবরের জন্যJoin Whatsapp
সঙ্গে থাকুন ➥