প্রশাসনের উদাসীনতায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত ১০, হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের নওশাদ সিদ্দিকীর

Published on:

Naushad Siddiqui

প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: গত সোমবার রাতে টানা ৫ ঘণ্টার বৃষ্টিতে যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল শহর কলকাতায়, শেষ কবে এরকম দুর্যোগ দেখেছে শহরবাসী, তা স্মৃতি হাতড়েও মনে করতে পারছে না কেউই। ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল শহর-শহরতলিতে। গোটা শহর পুরো জলের তলায়। তার উপর বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। শেষ আপডেট অনুযায়ী কলকাতা এবং শহরতলি এলাকা নিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলেই মোট ১০ জন মারা গিয়েছে। এবার এই নিয়ে ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন আইএসএফ বিধায়ক নওসাদ সিদ্দিকি (Naushad Siddiqui)। হাইকোর্টে দায়ের করলেন জনস্বার্থ মামলা।

হাইকোর্টে মামলা দায়ের নওসাদের

দ্য ওয়ালের রিপোর্ট অনুযায়ী জলমগ্ন কলকাতায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট ঘটনায় যেখানে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় CESC-কে দায়ী করেছেন সেখানে প্রশাসনের উদাসীন মনোভাব তুলে অভিযোগ করলেন আইএসএফ বিধায়ক নওসাদ সিদ্দিকি। সেই প্রসঙ্গেই আজ অর্থাৎ বুধবার কলকাতা হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়েরের আর্জি জানান তিনি। তাঁর দাবি, মৃতদের পরিবারকে সরকারি ক্ষতিপূরণ দিতে হবে এবং জানতে হবে, প্রতি বছর বর্ষায় একই দৃশ্য কেন ফিরে আসে? মামলা দায়েরের অনুমোদন দেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি সুজয় পালের এজলাস।

৩ টি জনস্বার্থ মামলা দায়ের হাইকোর্টে

এদিন আদালতের কাছে নওসাদ সিদ্দিকি আর্জি জানিয়েছেন যে, শহরে অতিভারী বৃষ্টিপাত হলেই কেন প্রাণহানির মতো ঘটনা ঘটে, তা জানতে হবে। অতীতে এমন পরিস্থিতি সামাল দিতে কী কী পদক্ষেপ করা হয়েছিল রাজ্য সরকারের পক্ষে, সেই তথ্যও আদালতের সামনে তুলে ধরার আর্জিও জানান তিনি। এছাড়াও কার গাফিলতিতে এই দুর্ঘটনা ঘটল, তা খতিয়ে দেখার জন্য জুডিশিয়াল এনকোয়ারি কমিটি গঠনেরও আবেদন জানানো হয়েছে। পাশাপাশি মৃতদের পরিবারকে পর্যাপ্ত ক্ষতিপূরণ দেওয়ার দাবিও জানান তিনি। এদিন নওসাদের পাশাপাশি হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেছেন আইনজীবী অনিন্দ্যসুন্দর দাসও। সব মিলিয়ে মোট ৩ টি জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছে।

আরও পড়ুন: হাঁটুজলে নেমে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ তৃণমূল নেতৃত্বের! CPIM, BJP কোথায়? প্রশ্ন ছুঁড়লেন কুণাল

প্রসঙ্গত, গতকাল ইকবালপুরে জলমগ্ন রাস্তায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা গিয়েছিলেন জিতেন্দ্র সিং। দুঃসময়ে পরিবারের পাশে দাঁড়াতে তাঁর বাড়িতে যান মেয়র ফিরহাদ হাকিম। বাড়ির লোকজনের সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ কথা বলার পাশাপাশি জিতেন্দ্র সিংয়ের দুই ছেলের পড়াশোনার দায়িত্ব এবং তাঁদের চাকরির দায়িত্বও নিলেন মেয়র। এছাড়াও যে কোনও বিপদে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশ মতো তিনি এই পরিবারের পাশে থাকবেন বলেও আশ্বস্ত করেছেন।

গুরুত্বপূর্ণ খবরের জন্যJoin Group
চাকরির খবরের জন্যJoin Hood Jobs
রাশিফলের জন্যJoin Hood Rashifal
খেলার খবরের জন্যJoin Whatsapp
সঙ্গে থাকুন ➥