‘শারীরিক শান্তি মেটাতে সপ্তাহে যদি …’ জেলবন্দিদের পক্ষে সওয়াল নওশাদের, হাসির রোল বিধানসভায়

Published on:

nawsad siddique

প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: কয়েক মাস আগে মহিলা কয়েদিদের অবস্থা নিয়ে কলকাতা হাই কোর্টের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিলেন আদালত বান্ধব তাপস ভঞ্জ। তিনি জানিয়েছিলেন, রাজ্যের বিভিন্ন সংশোধনাগারের মহিলা বন্দিরা অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ছেন। তাপসের জমা দেওয়া রিপোর্ট অনুযায়ী, গত বছর পর্যন্ত রাজ্যের বিভিন্ন সংশোধনাগারে ১৯৬ জন শিশু জন্ম নিয়েছে। যা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে সংশোধনাগারে। আর এই আবহে এবার এই প্রশ্ন বড় দাবি তুলল আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ ।

কী বলেছিলেন নওশাদ?

WhatsApp Community Join Now

বিধানসভা অধিবেশনে আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি (Nawsad Siddique) সকলের সামনে বলে বসেন, “আমি অনেকদিন জেলে কাটিয়েছি। আমার সঙ্গে জেলবন্দিদের কথাও হয়। এটা আমার প্রশ্ন না। জেল বন্দিদের মনের কথা বলছি। সপ্তাহে একদিন আত্মীয়-স্বজনরা তাঁদের সঙ্গে দেখা করার সুযোগ পান। তাতে কিছুটা মানসিক শান্তি পান তাঁরা। কিন্তু যারা দীর্ঘদিন ধরে জেলে আছেন অথবা যাঁরা সদ্য-বিবাহিত তাদের মানসিক শান্তি হলেও শারীরিক শান্তি মিটছে না। সপ্তাহে দু’একদিন যদি…এই বিষয় কারা দফতর কি কিছু ভাবছে?”

নওশাদ এর এই ধরনের মন্তব্য শুনে রীতিমত ‘থ’ কারামন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহা। কিছুক্ষণ সেখানে নিস্তব্ধতা থাকার পর হঠাৎ করেই হাসির রোল ওঠে বিধানসভায়। তখন চন্দ্রনাথ সিনহা উত্তর দেন, “আমরা আপনার প্রস্তাব বিবেচনা করে দেখছি।” তবে নওশাদ তাঁর মন্তব্যের সাপেক্ষে আরও কিছু কারণ ব্যাখ্যা করেন। তিনি বলেন, “জেলে এত মহিলা কয়েদিরা অন্তঃসত্তা হয়ে পড়ছেন সেই কারণেই আমার এটা বলা। এটা কিন্তু খুব গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। সরকারের ভেবে রাখা উচিত।”

কারণ ব্যাখ্যা নওশাদের

এখানেই তিনি থেমে থাকেননি, বিধানসভায় অধিবেশন শেষ হওয়ার পর নওশাদকে রীতিমতো ছেঁকে ধরেন মহিলা বিধায়করা। প্রায় হাসাহাসির রোল পড়ে সেখানেও। নওশাদ তখন সরাসরি বলেন, “রাজ্য সরকার তো দাবি করে তারা অনেক দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। এটা করুন না…কারও স্বামী জেলে আছে, কারও স্ত্রী জেলে আছে। তাঁরা যখন সংশোধনাগারে দেখা করতে যান, সেই সময় যাতে একান্তে কিছুটা সময় কাটাতে পারেন সেই ব্যবস্থা করুক রাজ্য সরকার।”

সঙ্গে থাকুন ➥
X