প্রীতি পোদ্দার, পাটনা: সম্প্রতি আরজেডি বিধায়ক বীরেন্দ্র যাদব, যাকে কিনা পার্টি অফিসের সুপ্রিমো লালু প্রসাদ যাদবের ঘনিষ্ঠ বলে মনে করা হয়, তিনি বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারকে মহাজোটে যোগ দেওয়ার প্রস্তাব পাঠিয়েছিলেন। গত বৃহস্পতিবার খাগরিয়া জেলায় সাংবাদিকদের সাথে প্রেস কনফারেন্সের সময় বীরেন্দ্র জানিয়েছেন, “রাজনীতিতে সবকিছুই সম্ভব। রাজনীতিতে স্থায়ী বন্ধু ও শত্রু বলে কিছু নেই। আজ এই দলে থাকলে বিবাদ বাঁধল আরেক দল অনেকেই চলে যাচ্ছে। হয়তো আবার একই খেলা হবে বিহারে। যদি নীতীশ কুমার সাম্প্রদায়িক শক্তি ছেড়ে দিয়ে আমাদের দলে যোগদান করেন, আমরা তাঁকে স্বাগত জানাব।” আর এই মন্তব্যতেই ফের রাজনীতিতে দল বদলুর সম্ভাবনা আরও জোরদার করে তোলে।
নির্বাচনের আগে ফের দল বদল নীতিশ কুমারের?
ফের আরও একবার নীতীশ কুমার আরজেডি শিবির থেকে NDA জোটে চলে যাওয়ার প্রায় এক বছর পরে বিহারে জল্পনা-কল্পনার জন্ম দিয়েছে। মাঝে বীরেন্দ্র যাদবের মন্তব্যের পর দিন কয়েক চুপ ছিলেন নীতিশ কুমার। তাতে আরও জল্পনার জট আরও বাঁধছিল। শেষে সেই জল্পনাতে এবার নিজেই জল ঢাললেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ কুমার। সীতামারহিতে প্রগতি যাত্রার চতুর্থ দিনে বিরোধী আরজেডির জোটের প্রস্তাবের মধ্যে মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার বড় বিবৃতি দিলেন।
নীতিশ কুমার জানিয়েছেন, “এখন আমরা সর্বদা একসঙ্গে থাকব এবং বিহারের পাশাপাশি দেশের উন্নয়ন করব।” এছাড়াও দল বদলুর ব্যাপারে তাঁর স্পষ্ট মতামত, আমরা দুবার এদিক থেকে ওদিক গিয়ে ভুল করেছিলাম। আর সেই ভুল আর করতে চাই না। তাই আমরা এবার একসঙ্গে থাকব। এবং বিহারের পাশাপাশি দেশের উন্নতি করব।” আর এই মন্তব্যে কিছুটা স্বস্তির শ্বাস ফেললেন গেরুয়া শিবির।
বীরেন্দ্র যাদবের মন্তব্যের জেরে উঠে এল একাধিক বিরোধী মন্তব্য
এদিকে আরজেডি বিধায়ক বীরেন্দ্র যাদবের মন্তব্যের জবাবে উপ-মুখ্যমন্ত্রী বিজয় কুমার সিনহা জানিয়েছেন যে বিহারে একটি সুশাসনের সরকার রয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের নেতৃত্বে রাজ্যে উন্নয়ন বেড়েই চলেছে। তিনি আরও বলেছিলেন যে বিহারের মানুষ রাজ্যে ‘জঙ্গলরাজ’ ফিরে চায় না এবং রাজ্যে এখন স্কুল, কর্মসংস্থান এবং ব্যবসা রয়েছে। কেন তাহলে সাধারণ মানুষ সুদিন ছেড়ে পুনরায় দুর্দিনের সরকারের হাত ধরবে।” এদিকে বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ জয়সওয়াল বলেছেন যে “আরজেডি নেতারা নীতিশ কুমারকে নিয়ে দিবাস্বপ্ন দেখতে শুরু করেছেন।ক্ষমতার জন্য তাঁরা মরিয়া হয়ে উঠেছেন, তারা পাগল হয়ে গিয়েছে বলে এই অযৌক্তিক বক্তব্য দিচ্ছে।”