‘এদের বোঝান, নাহলে …’ লোকসভায় মেজাজ হারালেন অমিত শাহ, দিলেন হুঁশিয়ারিও

Published on:

Amit Shah

প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বারবারই ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধবিরতির কৃতিত্ব দাবি করেছেন। যা নিয়ে তীব্র আপত্তি জানায় বিরোধীরা। আর এবার সেই বিষয় নিয়ে বক্তব্য রাখছিলেন ভারতীয় বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। কিন্তু এই সব বিষয় নিয়ে আলোচনার মাঝেই বারে বারে তাঁকে বাধা দিচ্ছিলেন বিরোধী সাংসদরা। রীতিমত বিঁধিয়ে বিঁধিয়ে নানাবিধ মন্তব্য করছিলেন। আর তাতেই আর মেজাজ ধরে রাখতে পারেননি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। নিজের আসন থেকে উঠে দাঁড়িয়ে বিরোধীদের তীব্র আক্রমণ করেন।

গুরুত্বপূর্ণ খবর পড়তে জয়েন করুন Join Now

বিরোধীদের আচরণে ক্ষুব্ধ অমিত শাহ

সংবাদ সংস্থা ANI এর রিপোর্ট অনুযায়ী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ সংসদে বিরোধীদের কটাক্ষ করে কড়া গলায় বলেন যে, “একজন ভারতীয় বিদেশমন্ত্রীর উপরে বিরোধী দলগুলির কোনো বিশ্বাস নেই, কিন্তু অন্য দেশের উপরে তাদের অগাধ বিশ্বাস আছে। এই নিয়ে আমার আপত্তি আছে। তাদের দলে বিদেশের গুরুত্ব আমি বুঝি। কিন্তু তার মানে এই নয়, তাদের দলের সমস্ত জিনিস তারা সংসদে চাপিয়ে দেবে। এই কারণেই তারা বিরোধী আসনে বসে আছে, এবং আগামী ২০ বছর সেখানেই থাকবে।”

হুঁশিয়ারি অমিতের

এখানেই অমিত শাহ থেমে থাকেননি। তিনি বিরোধীদের উদ্দেশ্য করে লোকসভায় ক্ষুব্ধ স্বরে আরও জানিয়েছেন যে, “যখন কোনও নেতা কথা বলেন, আমরা ধৈর্য ধরে চুপ করে তা শুনি। কাল আমি গুনে গুনে বলব কত মিথ্যা ওরা বলেছে। দেখি কেমন সত্য সহ্য করতে পারে ওরা। কিন্তু যখন এইমুহুর্তে এত গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা হচ্ছে এবং বিদেশমন্ত্রী কথা বলছেন, তখন কি এই ধরণের বাধাদান উপযুক্ত? অধ্যক্ষ মহাশয়, আপনি তাদের এখনই বোঝান, না হলে পরে আমরা আমাদের সদস্যদের নিয়ন্ত্রণ করতে পারব না।”

বাছায় করা খবর নিজের মোবাইলে পেতে Join Now

আরও পড়ুন: নির্বাচনের আগেই রাজ্যে শুরু BLO ডিউটি বিতর্ক! মামলা হাইকোর্টে

যুদ্ধবিরতি ঘোষণা নিয়ে কী বললেন বিদেশমন্ত্রী?

এদিন লোকসভায় ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যস্থতার দাবি স্পষ্ট ভাবে প্রত্যাখ্যান করে বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর জানিয়েছেন, মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে ফোন করেছিলেন। পাকিস্তান বড় ধরনের হামলা করতে যাচ্ছে বলে সতর্ক করেছিলেন তিনি। তখন মোদী বলেছিলেন, ভারত আরও জোরালো প্রতিক্রিয়া জানাবে। এরপরে, ১০ মে বেশ কয়েকটি দেশের পক্ষ থেকে ভারতের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছিল এবং জানানো হয়েছিল, যুদ্ধবিরতির জন্য প্রস্তুত পাকিস্তান। কিন্তু ভারত তখন জানিয়েছিল, একমাত্র পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর DGMO যদি ভারতকে যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব দেন, তা হলেই পাকিস্তানের সঙ্গে যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনা করতে রাজি নয়া দিল্লি। এরপর পাকিস্তানের DGMO ভারতের DGMO-কে ফোন করে সংঘর্ষবিরতির আর্জি জানান, তারপরই এই বোঝাপড়া হয় দুই দেশের মধ্যে।

গুরুত্বপূর্ণ খবরের জন্যJoin Group
চাকরির খবরের জন্যJoin Hood Jobs
রাশিফলের জন্যJoin Hood Rashifal
খেলার খবরের জন্যJoin Whatsapp
সঙ্গে থাকুন ➥
Join Group