সৌভিক মুখার্জী, কলকাতা: বর্তমানে রাজনীতিতে একটি বিষয় আলোচনার শিরোনামে। আর তা হল বিহারের নির্বাচন (Bihar Election)। তবে পাটনা থেকে ১৭০০ কিলোমিটার দূরে প্রতিবেশী পাকিস্থানে তা ব্যাপকভাবে আলোচিত হচ্ছে। এক কথায়, ওখানকার মানুষ যেন খুব আগ্রহের সাথে নির্বাচনের খবর পড়ছে। পাশাপাশি নির্বাচনের ফলাফলে মোদীর দৃষ্টিভঙ্গিও তুলে ধরা হচ্ছে। তবে এর নেতৃত্বে কী কারণ রয়েছে?
সম্প্রতি পাকিস্তানি মিডিয়াগুলি পাটনা থেকে আপডেট দিচ্ছে। আর গুঞ্জন এতটাই শীর্ষ উঠেছে যে, শীর্ষস্থানীয় সংবাদপত্র ডন আজ বিহারের ভোটের খবর তাদের প্রথম পৃষ্ঠায় প্রকাশ করেছে। এমনকি এটি বিহার নির্বাচনকে কেন্দ্রের মোদী সরকারের জন্য লিটমাস পরীক্ষা হিসেবেও বর্ণনা করা হয়েছে। এছাড়া সেখানে তুলে ধরেছে যে, বিজেপির মাত্র লোকসভায় ২৪০টি আসন রয়েছে। বাকিগুলি অন্যান্য জোটের দখলে।
পাকিস্তানি মিডিয়ায় বিজেপি নিয়ে আলোচনা
সংবাদপত্রটিতে লেখা হয়েছে, এনডিএ-র মধ্যে একটি QUID PRO QUO ব্যবস্থা কাজ করছে। বিজেপি মূলত বিহারের নীতিশ কুমারের সংখ্যালঘু সরকারকে সমর্থন করছে। আর অন্যদিকে নীতিশ কেন্দ্রে সহায়তা করছে। জেডিইউ-র পারফরমেন্স সম্পর্কে আরও অনুমান করে বলা হয়েছে, নীতিশ কুমারের ১২ জন সাংসদ এবং অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নাইডুর ১৬ জন সাংসদ এক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
এদিকে রাহুল গান্ধী সম্পর্কে ডন পত্রিকায় লেখা হয়েছে যে, ২০২৪ সালে তাঁর দল অসাধারণ প্রত্যাবর্তন করেছে। লোকসভায় কংগ্রেস এখন রাজত্ব করছে। উত্তরপ্রদেশে বিজেপির আসন সংখ্যা অনেকটাই কমছে। ধারণা করা হচ্ছে যে, উত্তরপ্রদেশে বিজেপির দুর্বল পারফরমেন্সের কারণেই দলের আসন হ্রাস পাচ্ছে। এদিকে এবার লালু যাদবের ছেলের সাথে জোট গঠন করে রাহুল গান্ধী বিহারে শক্তিশালী পারফরমেন্সের আশা করছেন।
পাশাপাশি বিহার নির্বাচন সম্পর্কে লিখতে গিয়ে সেখানে লেখা হয়েছে যে, বিহারই একমাত্র হিন্দিভাষী রাজ্য, যেখানে বিজেপি তার বন্ধুদের কাছ থেকেই ক্ষমতা ছিনিয়ে নিতে পারছে না। এছাড়া এতে রাহুল গান্ধীর নির্বাচনী কারচুপির অভিযোগের কথাও তারা উল্লেখ করেছে। পাশাপাশি সাম্প্রতিক অনুষ্ঠিত এক সাংবাদিক সম্মেলনের উপর একটি অনুচ্ছেদও তুলে ধরা হয়েছে।
আরও পড়ুনঃ বিজেপির বিএলএকে জুতোর মালা পরিয়ে মারধর তৃণমূলে! উত্তেজনা মাথাভাঙায়
যোগ করা হয়েছে জেন জেড ও নেপাল সংযোগ
তবে এই বিশ্লেষণের শেষ অনুচ্ছেদ রয়েছে বেশ চমক। কারণ, সেখানে বলা হয়েছে, তাহলে বিহারে কী ঘটতে চলেছে? এই রাজ্যটি নেপালের একদম সীমান্তবর্তী। আর সেখানেই ক’দিন আগে হয়েছিল জেন জেড আন্দোলন। বিহার নির্বাচনের কেন্দ্রবিন্দুতেই রয়েছে জেন জেডের ভোটাররা। কারণ, এখানকার জনসংখ্যার ৫৮ শতাংশ ২৫ বছরের কম বয়সী। তাই এখানেও বড় কিছু ঘটতে পারে বলে সংবাদসংস্থার অনুমান।












