পার্থ সারথি মান্না, কলকাতাঃ দেখতে দেখতে আড়াই বছর কেটে গিয়েছে জেলে রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee)। শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার হওয়ার পর থেকে জামিনের জন্য একাধিকবার আবেদন জানিয়েছেন কলকাতা হাইকোর্ট থেকে সুপ্রিম কোর্টে। কিন্তু তাতে জামিন তো মেলেনি উল্টে মিলেছে কোর্টের ভর্ৎসনা! তাই এবার জামিন পেতে কাতর আর্জি পার্থ চট্টোপাধ্যায়য়ের।
‘আমি কিছু করিনি…’ : পার্থ চট্টোপাধ্যায়
আজ অর্থাৎ বৃহস্পতিবার ব্যাঙ্কশাল কোর্টে উঠেছিল প্রাথমিকের শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির মামলা। সেখানে পার্থর আইনজীবী জানান, দুর্নীতিতে তাঁর মক্কেলের কোনো ভূমিকা নেই, তিনি নির্দোষ। এরপরেই পার্থ চট্টোপাধ্যায় জানান, ‘আমি কিছু করনি, যা করেছে বোর্ড করেছে। আর কতদিন এভাবে আটকে থাকব?’
আমি নির্দোষ দাবি প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীর
এদিন ভার্চুয়াল হিয়ারিংয়ের ব্যবস্থা করা য়েছিল। সেখানেই আইনজীবীর মন্তব্য, ‘মন্ত্রী হিসাবে দুর্নীতির সাথে কোন যোগ নেই পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের। নিয়োগের বিষয়টা পুরোপুরি প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ দেখে। এমনকি এস বসু রায় সংস্থার সাথেও কোনো যোগাযোগ ছিল না তাঁর’। শেষে জামিনের জন্য আইনজীবী বলেন, আমার মক্কেলের বয়স ৭৩ বছর, শারীরিকভাবে অসুস্থ তিনি। তাই তাকে জামিন দেওয়া হোক।
আইনজীবীর মন্তব্যের পর পার্থ চট্টোপাধ্যায় নিজেও বলতে শুরু করেন, ‘আমি নির্দোষ, কিছুই করিনি। যা করার বোর্ড করেছে। আমায় জামিন দিন, আমায় বাঁচান…। কত দিন আটকে থাকব?’
জামিনের বিরোধিতা CBI-র
আইনজীবী থেকে পার্থ চট্টোপাধ্যায় জামিনের জন্য দাবি জানালেও এর বিরোধিতা করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা (CBI)। সিবিআই পক্ষের উকিলের দাবি, ১৫২ জন্য যোগ্যপ্রার্থীর নামের বদলে ৭৫২ জন অযোগ্য প্রার্থটির নাম তালিকায় যুক্ত করা হয়। পরবর্তীতে ৩১০ জনকে চাকরি দেওয়া হয়। এই তালিকা পার্থ চট্টোপাধ্যায়ই পাঠিয়েছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে। তাই জামিন দেওয়া হলে তদন্তের ক্ষতি হতে পারে।
প্রসঙ্গত, গতকালই সুপ্রিম কোর্টের শুনানিতে বিচারপতি জানান, ‘মন্ত্রী হওয়ার পরেও একাধিক লাভজনক সংস্তায় যুক্ত। বান্ধবীর ফ্লাট থেকে কোটি কোটি টাকা উদ্ধার। উনি একজন দুর্নীতিবাজ। এই ধরণের দুর্নীতিবাজদের জামিন দ্বয়া হলে সমাজে কি প্রভাব পড়বে!’