প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: ২০২২ সালে রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee) এর ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের ফ্ল্যাট থেকে ৫০ কোটি টাকার বেশি নগদ উদ্ধার হয়েছিল। যার ফলে অর্পিতার পাশাপাশি পার্থকেও গ্রেফতার করা হয় এই ঘটনায়। ইডির দাবি নিয়োগ মামলায় দুর্নীতির অন্যতম চক্রী পার্থ। এদিকে সুপ্রিম কোর্টে জামিনের জন্য বারবার আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। কিন্তু বারবারই তাঁর আবেদন প্রত্যাখান করা হয়। এদিকে এই ঘটনায় যাঁরা জড়িত সবাই এক এক জামিন পেয়ে গেছেন। আর এই আবহে ফের খবরের শিরোনামে উঠে এল পার্থ চট্টোপাধ্যায় এর জামিন।
কী দাবি করেছেন পার্থের আইনজীবি?
গত ২৮ মাস ধরে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় জেলবন্দি ছিলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। কলকাতা হাইকোর্টে তাঁর জামিন মঞ্জুর না হওয়ায় সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন তিনি। গত ৪ ডিসেম্বর সুপ্রিম কোর্টে পার্থর জামিন মামলার শুনানি শেষ হয়ে গিয়েছিল। রায় ঘোষণা স্থগিত রেখেছিলেন বিচারপতিরা। সেই সময় তাঁর আইনজীবী মুকুল রোহতগি আদালতে জানিয়েছিলেন যে, এই মামলায় গ্রেফতার হওয়া প্রায় সকলেই জামিন পেয়ে গিয়েছেন। কিন্তু এখনও জামিন পেলেন না পার্থ চট্টোপাধ্যায়। এদিকে তাঁর মক্কেলের বাড়ি থেকে একটা টাকাও উদ্ধার হয়নি।”
এছাড়াও পার্থর আইনজীবী আরও বলেন যে “ যাঁর বাড়ি থেকে টাকা উদ্ধার হয়েছিল, সেই অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ও জামিনে মুক্তি পেয়েছেন।” সেক্ষেত্রে বিচারপতি মন্তব্য করেছিলেন যে ‘বাকিরা জামিন পেতেই পারেন, কারণ তাঁরা কেউ মন্ত্রী ছিলেন না। কিন্তু এক জন দুর্নীতিগ্রস্ত ব্যক্তিকে কি জামিন দেওয়া যায়?’ অবশেষে শুক্রবার সুপ্রিমকোর্টে মঞ্জুর হল পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের জামিনের আবেদন।
অবশেষে পার্থের জামিনের আবেদন মঞ্জুর
জানা গিয়েছে, পরের বছর অর্থাৎ ২০২৫ সালের ১ ফেব্রুয়ারির পরে জেল থেকে ছাড়া পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় এর। প্রায় ২৮ মাস জেলে ছিলেন তিনি। সুপ্রিম কোর্ট ED মামলায় জামিন মঞ্জুর করলেও একটাই শর্ত আরোপ করেছে। বলা হয়েছে বেল পাওয়ার পরে কোনও তথ্য ও নথি নষ্ট করতে পারবেন না তিনি। জামিন পেলেও কোনও সরকারি পদে থাকতে পারবেন না পার্থ, জানিয়েছে শীর্ষ আদালত। তিনি বেহালা পশ্চিমের বিধায়ক। ট্রায়াল কোর্টে বিচার চলাকালীন একমাত্র ওই পদেই তিনি থাকতে পারবেন। বছরের শেষে অবশেষে সুখবর পেলেন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়।