টাইপ করতেন নামের তালিকা, চেনান মিডিলম্যানকেও! পার্থর বিরুদ্ধে বিশেষ সাক্ষী CBI-র

Published:

Partha Chatterjee
Follow

প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: নিয়োগ মামলায় ২০২২ সালে পার্থ চট্টোপাধ্যয়কে (Partha Chatterjee) গ্রেফতার করা হয়েছিল। অভিযোগ, প্রার্থীদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে চাকরি দেওয়া হয়েছে। কোটি কোটি টাকায় বিক্রি করা হয়েছে সরকারি চাকরি। তবে মামলায় জামিন পেলেও এখনও জেলমুক্তি নয়। এদিকে গত কয়েকদিন ধরেই সিবিআই সংক্রান্ত এসএসসি মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ চলছে। বিভিন্ন সাক্ষীদের জেরা করা হচ্ছে। এমতাবস্থায় গতকাল এক বিশেষ সাক্ষীকে জেরা করা হয়। তাতেই উঠে আসে এক নয়া তথ্য।

বিশেষ সাক্ষী হাজির করল সিবিআই

আনন্দবাজারের রিপোর্ট মোতাবেক গতকাল অর্থাৎ বৃহস্পতিবার, স্কুল সার্ভিস কমিশনের নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় আলিপুর আদালতে এক সাক্ষীকে হাজির করিয়েছিল সিবিআই। তিনি আসলে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সমাজমাধ্যম সামলাতেন। এবার তাঁর মুখ থেকেই বেরিয়ে এল এক বিস্ফোরক তথ্য। ওই সাক্ষী এদিন আদালতে জানিয়েছেন, পার্থের নির্দেশে বেশ কিছু কাজ করে দিতেন তিনি। এমনকি, নামের তালিকাও এক বার ‘টাইপ’ করে দিয়েছিলেন। তবে সেই তালিকায় চাকরিপ্রার্থীদের নাম ছিল কি না, তা তিনি বলতে পারেননি। এছাড়াও তিনি ‘মিডলম্যান’ প্রসন্ন রায়কেও চিহ্নিত করেছিলেন। এদিকে এদিন সাক্ষ্যগ্রহণ পর্ব চলাকালীন বেসরকারি একটি হাসপাতাল থেকে ভার্চুয়াল মাধ্যমে উপস্থিত ছিলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। ছিলেন আরও বেশ কয়েকজন অভিযুক্তও।

উঠে এল মিডলম্যান প্রসন্ন রায়ের প্রসঙ্গ

গত কয়েকদিন ধরেই সিবিআই সংক্রান্ত এসএসসি মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ চলছে। বিভিন্ন সাক্ষীদের জেরা করা হচ্ছে। সেই মতো এদিন এক সাক্ষীকে জেরা করা হয়। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা CBI-এর তরফে জানানো হয়েছে যে প্রথমে ওই সাক্ষীকে যখন জেরা করা হয়েছিল, তখন ‘মিডলম্যান’ প্রসন্ন রায়কে তিনি চিনিয়ে দিয়েছিলেন। প্রসন্নের ছবি দেখে চিনতে পেরেছিলেন তিনি। পরে এই প্রসন্নকে গ্রেফতার করে কেন্দ্রীয় সংস্থা। এখনও তিনি জেলে। এদিন সেই সাক্ষ্যগ্রহণ পর্ব চলাকালীন মিডল ম্যানের বিষয়ে জানতে চাইলে ওই সাক্ষী জানান, সিবিআই অফিসে জেরার সময় প্রসন্ন রায়ের ছবি দেখানো হয়েছিল। তা দেখেই চিনতে পেরেছিলেন বলে জানান ওই সাক্ষী। অর্থাৎ এটা স্পষ্ট যে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে প্রসন্ন রায়ের যোগাযোগ ছিল

আরও পড়ুন: প্রাথমিকে নিয়োগবিধিতে বাড়ল টেটের গুরুত্ব! প্রকাশিত হল নয়া খসড়া

সিবিআই সংক্রান্ত এসএসসি মামলার ওই সাক্ষীর ভূমিকা নিয়ে এদিন নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন পার্থের আইনজীবী বিপ্লব গোস্বামী। বিচারকের সামনে তাঁর দাবি, পার্থের দফতরে এই ব্যক্তির নিয়োগের কোনও প্রমাণ সিবিআই দেখাতে পারেনি। মেলেনি নিয়োগপত্র বা অ্যাপয়েন্টমেন্ট লেটার। তা ছাড়া, প্রসন্নকেও এই ব্যক্তি চিনেছিলেন সিবিআইয়ের দেখানো ছবি দেখে। অর্থাৎ তিনি আদালতে মিথ্যা সাক্ষ্য দিচ্ছেন। যদিও এই অভিযোগ সম্পূর্ণ অস্বীকার করেছে সিবিআই। তবে পার্থের বিরুদ্ধে এই বড় অভিযোগ জেল মুক্তির ক্ষেত্রে বড় বাঁধা হয়ে দাঁড়াবে বলে মনে করা হচ্ছে। এদিকে জীবনকৃষ্ণ সাহার জামিনের আবেদনও খারিজ হয়ে গিয়েছে বিচার ভবনে। ১৮ নভেম্বর পর্যন্ত তাঁকে জেল হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

গুরুত্বপূর্ণ
Join
চাকরির খবর
Join
রাশিফল
Join
খেলার খবর
Join