প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: নতুন বছর প্রায় শুরুর মুখে। কিন্তু এদিকে এখনও জেলবন্দী প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। এর আগে জামিন পেয়ে গেছেন তার বান্ধবী অর্পিতা মুখোপাধ্যায়। শুধু অর্পিতাই নন, নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে এর আগে অনেকেই জামিন পেয়েছেন। জামিন চেয়ে নিম্ন আদালত থেকে শুরু করে হাইকোর্ট এমনকী সুপ্রিম কোর্টেও একাধিকবার আর্জি জানিয়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী। কিন্তু শত চেষ্টার পরেও নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় এবারও স্বস্তি মিলল না রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের। CBI এর দায়ের করা মামলায় পার্থ চট্টোপাধ্যায়দের জামিনের আবেদন ফের খারিজ করে দিল কলকাতা হাইকোর্টের তৃতীয় বেঞ্চ। আরও ৪ জনের আবেদনও খারিজ করেছে আদালত।
জামিন খারিজ পার্থ সহ আরও ৪ জনের
সূত্রের খবর, নিয়োগ দুর্নীতিতে CBI এর করা মামলায় জামিন চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন পার্থ-সহ ন’জন। গত ২০ নভেম্বর বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং বিচারপতি অপূর্ব সিংহ রায়ের ডিভিশন বেঞ্চ মামলাটি ওঠে। কিন্তু বিচারপতি বন্দ্যোপাধ্যায় নয় জনেরই জামিন মঞ্জুর করলেও সেই সময় বিচারপতি সিংহ রায় ৪ জনের জামিন মঞ্জুর করলেও ৫ জনের জামিন নিয়ে একমত হননি। জানা গিয়েছে কৌশিক ঘোষ, শেখ আলি ইমাম, সুব্রত সামন্ত রায় এবং রঞ্জন মণ্ডলের জামিন মঞ্জুর করলেও পার্থ, সুবীরেশ, অশোক, কল্যাণময়, শান্তিপ্রসাদের জামিনে ‘না’ করে দেন। ফলে এই পাঁচ জনের জামিন নিয়ে জটিলতা তৈরি হয়েছিল। সেই জটিলতা অবশেষে আজ কাটল।
ক্ষুব্ধ বিচারপতি চক্রবর্তী!
জানা গিয়েছে, হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম মামলাটি নিষ্পত্তির জন্য পাঠিয়েছিলেন বিচারপতি চক্রবর্তীর একক বেঞ্চে। আজ অর্থাৎ মঙ্গলবার, বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তীর বেঞ্চ জামিনের আর্জি খারিজ করে দেওয়ায় আপাতত এই মামলা থেকে নিষ্কৃতি পাচ্ছেন না পার্থ ছাড়াও কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়, শান্তিপ্রসাদ সিন্হা, সুবীরেশ ভট্টাচার্য এবং অশোককুমার সাহা। আদালতের পর্যবেক্ষণ “আইন অনুযায়ী জামিন নিয়ম আর জেল ব্যতিক্রম। তবুও বলতে হচ্ছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ অভিযোগ। অযোগ্যরা শিক্ষক হয়ে স্কুলে গেলে সমগ্র শিক্ষাব্যবস্থার সামগ্রিক অবনতি হয়।
এছাড়াও তিনি বলেন, “ এদিকে সততার সঙ্গে পরীক্ষা দিয়ে যাঁরা চাকরি পেয়েছেন, তাঁদের সঙ্গে প্রতারণা করা হয়েছে। ট্রায়ালের অনুমতি দিতে রাজ্য কেন এখনও চুপ কেন? লোকসভা ভোটের আগে থেকে অভিযুক্তদের ট্রায়াল নিয়ে রাজ্য অবস্থান জানায়নি। এর থেকেই বোঝা যাচ্ছে অভিযুক্তদের সঙ্গে রাজ্যের এখনও সম্পর্ক রয়েছে।” অর্থাৎ ২০২৪ এর শেষটা সেই জেলেই কাটাতে হবে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে।