হাইকোর্টের পর জামিন নিয়ে সুপ্রিম কোর্টেও ধাক্কা পার্থর

Published on:

partha chatterjee supreme court

প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: নিয়োগ দুর্নীতিতে ইডির মামলায় জামিন চেয়ে হাইকোর্টের কাছে দ্বারস্থ হলেও আবেদন খারিজ করে দেওয়া হয়। এরপর সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। গত শনিবার আদালতে ইডির আইনজীবী এই সংক্রান্ত রিপোর্ট জমা দিয়েছেন। ইডির দাবিগুলির বিরোধিতা করে রিপোর্ট দিয়েছেন পার্থের আইনজীবীও। পার্থের জামিনের আবেদন জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে তাঁর আইনজীবী মুকুল রোহতগির জানান, তাঁর মক্কেলের বাড়ি থেকে নগদ অর্থ উদ্ধার করা হয়নি। যাঁর বাড়ি থেকে তা উদ্ধার হয়েছিল, তিনি সম্প্রতি জামিন পেয়ে গিয়েছেন।

সবচেয়ে বেশি দুর্নীতি পার্থের আমলে!

WhatsApp Community Join Now

শুধু তাই নয় পার্থের আইনজীবী আরও জানিয়েছিলেন, অর্থ তছরুপ প্রতিরোধ আইন মামলায় জেলবন্দি হিসাবে সর্বোচ্চ সাজার এক-তৃতীয়াংশ মেয়াদ পূরণ করে ফেলেছেন পার্থ। বয়সের কথা মাথায় রেখে তাঁকে জামিন দেওয়া হোক, আবেদন করেছিলেন আইনজীবী। পাল্টা ED র আইনজীবী জানান, যাঁর বাড়ি থেকে নিয়োগ দুর্নীতির নগদ অর্থ উদ্ধার করা হয়, তিনি পার্থের ঘনিষ্ঠ হিসাবে পরিচিত। নিয়োগের ক্ষেত্রে পার্থ শিক্ষামন্ত্রী থাকাকালীনই সবচেয়ে বেশি দুর্নীতি হয়েছে বলে দাবি করে কেন্দ্রীয় সংস্থা।

সময়মতো রিপোর্ট পেশ না হওয়ায় শুনানির দিন পিছল

এদিকে গত শুনানিতে পার্থ চট্টোপাধ্যায় ইডি ও সিবিআই হেফাজতে কতদিন ধরে ছিলেন তা রিপোর্ট আকারে পেশ করতে বলেছিল আদালত। রিপোর্টটি পেশ করার কথা ছিল রবিবারের মধ্যে। কিন্তু ইডি বা পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের আইনজীবী কেউই রবিবার রিপোর্ট পেশ করেননি। রিপোর্টটি আদালতে জমা পড়ে আজ অর্থাৎ সোমবার সকালে। এদিকে আজ অর্থাৎ সোমবার সুপ্রিম কোর্টে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের জামিনের মামলার শুনানি ছিল। এতেই ক্ষুব্ধ হন বিচারপতি সূর্যকান্তের ডিভিশন বেঞ্চ। এর ফলে সময়মতো রিপোর্ট পেশ না হওয়ায় আগামী বুধবার পর্যন্ত শুনানি পিছিয়ে দিল বিচারপতি সূর্যকান্তের ডিভিশন বেঞ্চ।

ক্ষুব্ধ বিচারপতি

কিন্তু উভয়পক্ষের রিপোর্ট পড়ে দেখার জন্য সময় চান বিচারপতিরা। বিচারপতি সূর্যকান্ত বলেন, ”আদালতে একটা কর্মসংস্কৃতি থাকা উচিত। একটা রিপোর্ট পড়তে সময় লাগে। তাই রিপোর্টটি রবিবারের মধ্যে জমা দিতে বলা হয়েছিল। গতকাল সেই রিপোর্টটির আমরা খোঁজ করি। কিন্তু জানতে পারি যে কোনও রিপোর্ট জমা দেওয়া হয়নি। রিপোর্ট এখন জমা পড়েছে। কিন্তু এখন রিপোর্ট পড়ে শুনানি করার সময় আমাদের নেই। বুধবার ফের মামলার শুনানি হবে।” অর্থাৎ আগামী বুধবার অথবা বৃহস্পতিবার শীর্ষ আদালতে এই মামলার শুনানির সম্ভাবনা রয়েছে।

সঙ্গে থাকুন ➥
X