প্রীতি পোদ্দার, কালনা: পরিবেশের কথা মাথায় রেখেই এবং বনসৃজন প্রকল্পে প্রশাসনের তরফে রাস্তার ধারে গাছ লাগানো হয়েছিল পূর্ব বর্ধমানের কালনা (Kalna) ২ নম্বর ব্লক এলাকায়। কিন্তু সরকারি জায়গায় বেআইনিভাবে গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধানের নির্দেশে গাছ কেটে নেওয়ার অভিযোগ উঠল। সংঘবদ্ধ হয়ে গ্রামবাসীরা নালিশ ঠুকল বৈদ্যপুর পুলিশ ফাঁড়িতে। অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তের নির্দেশ দিল এলাকার বিডিও অফিসার।
ঘটনাটি কী?
স্থানীয় রিপোর্ট অনুযায়ী, বনসৃজন প্রকল্পে প্রশাসনের তরফে রাস্তার ধারে গাছ লাগানো হয়েছিল। আর এই গাছ লাগানোয় বেশ সকলেই খুশি হয়েছিল, কিন্তু সম্প্রতি গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধানের নির্দেশে সেইসব গাছ কেটে নেওয়ার অভিযোগ উঠল। টাকার বিনিময়ে তৃণমূল পরিচালিত গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান বাপ্পাদিত্য গোস্বামী নাকি গাছ কাটার নির্দেশ দিয়েছেন বলে অভিযোগ। ঘটনাটি পূর্ব বর্ধমানের কালনা ২ নম্বর ব্লক এলাকায়। যিনি গাছ কাটছিলেন, তিনি প্রধানের কথা মতো গাছ কাটছেন বলে স্বীকারও করেন বলে দাবি বাসিন্দাদের। তবে সেই অভিযোগ সম্পূর্ণভাবে অস্বীকার করেন গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান।
প্রধানের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি
গতকাল অর্থাৎ রবিবার সকালে কালনা দু’নম্বর ব্লকের বাদলা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় রাস্তার ধারে সরকারি গাছ কাটতে দেখেন স্থানীয় বাসিন্দারা। জিজ্ঞাসাবাদ করে তাঁরা জানতে পারে, বাদলা গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান বাপ্পাদিত্য গোস্বামী গাছ কাটার অনুমতি দিয়েছেন। তিনটে গাছের জন্য নাকি ৮ হাজার টাকা দিয়েছেন প্রধান। এদিকে নেই পঞ্চায়েত প্রধানের অনুপতিপত্র। গাছ কাটার মত এই বেআইনি অপরাধের জন্য বৈদ্যপুর পুলিশ ফাঁড়িতে অভিযোগ করেন এলাকার বাসিন্দা মানিক পাল, চঞ্চল ঘোষ, নকুল মণ্ডল প্রমুখেরা। তাঁরা জানান যে, “রাস্তার ধারে থাকা সতেজ কয়েকটা গাছ পঞ্চায়েত প্রধানের মদতে সরকারি অনুমতি ছাড়া কেটে বিক্রি করা হচ্ছিল। সেই কাজ যেন সত্তর বন্ধ করা হয়।” অভিযোগ উঠতেই পুলিশ এসে কাটা গাছগুলি বাজেয়াপ্ত করে। এদিকে যিনি গাছ কাটছিলেন, তিনিও প্রধানের নাম করেছেন। গ্রামবাসীরা প্রধানের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাইছে।
আরও পড়ুন: সাতসকালে তৃণমূলের প্রাক্তন কাউন্সিলরকে খুনের চেষ্টা! হাড়হিম করা কাণ্ড বিধাননগরে
তদন্তের নির্দেশ বিডিওর
এদিকে গাছ কাটার অভিযোগ সম্পূর্ণ অস্বীকার করেন কাল না ২ নম্বর ব্লকের পঞ্চায়েত প্রধান বাপ্পাদিত্য গোস্বামী। তিনি পাল্টা অভিযোগ তোলেন যে, “গাছ কাটার ঘটনার সঙ্গে যুক্ত নই আমি। আমার নামে মিথ্যে রটানো হচ্ছে।” এই প্রসঙ্গে কালনার এসডিপিও রাকেশ চৌধুরী বলেন, “কাটা গাছ উদ্ধার করে বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” যদিও তদন্তের মাধ্যমে এখনো পর্যন্ত আসল তথ্য উঠে আসেনি।