প্রীতি পোদ্দার: গত কয়েকদিন ধরে একনাগাড়ে বৃষ্টি হয়েই চলেছে পাহাড়ে। এমনকি সেখানকার পাহাড়ি এলাকায় অবিরাম বৃষ্টিতে নেমেছে ধসও। অবস্থা এতটাই ভয়ংকর হয়ে উঠেছে যে লিঙ্ক রোডে বিপর্যস্ত হয়েছে যান চলাচল। গত রবিবার তাই বন্যা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে এবং প্রশাসনিক বৈঠক করতে উত্তরবঙ্গ যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানেও কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বন্যা নিয়ন্ত্রণে অসহযোগিতার অভিযোগ করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু এই আবহে এবার রাজ্যের বিরুদ্ধে প্রশ্ন উঠছে সরকারি ত্রিপল নিয়ে।
সরকারী ত্রিপল নিয়ে উঠল বড় প্রশ্ন!
বন্যায় বিধ্বস্ত অবস্থা মালদার একাংশে। তাই সেখানকার বন্যা কবলিত এলাকাগুলিতে ত্রিপল বিতরণ করে চলেছেন প্রশাসনের একাংশ। কিন্তু জানা গিয়েছে, গতকাল অর্থাৎ সোমবার সকালেই কালিয়াচকের ৩ নং ব্লকের বাখরাবাদ গ্রাম পঞ্চায়েতের দেওনাপুরে সেই সরকারি ত্রিপল চড়া দামে বিক্রি করতে দেখা গিয়েছে এক যুবককে। সঙ্গে সঙ্গে হাতেনাতে সেই যুবককে ধরেছেন গ্রামবাসীরা। তারপর ওই যুবককে বেশ কিছুক্ষণ আটকে রাখেন তাঁরা। এমনকি সেই যুবকের কাছ থেকে মোটরবাইক বোঝাই সরকারি ত্রিপল উদ্ধার করা হয়েছে। যেই ত্রিপলগুলিতে বিশ্ব বাংলা এবং রাজ্য সরকারের চিহ্ন রয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
অভিযোগ উঠল তৃণমূল পরিচালিত গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্যদের বিরুদ্ধে
আটকে রাখা যুবককে বেশ ধমক দিয়েছে গ্রামবাসীরা এবং একটু চাপ দিতেই যুবক স্বীকার করে যে এগুলি ভূতনির বন্যাকবলিত বাসিন্দাদের থেকে সস্তায় কিনেছেন তিনি। সেই সূত্রে ভূতনির এলাকার বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বললে জানা যায় পর্যাপ্ত ত্রাণই পাচ্ছেন না তাঁরা। বিজেপির অভিযোগ তৃণমূল পরিচালিত গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্যরা এইভাবে ত্রিপল বিক্রি করে দিচ্ছে। ফলে সাধারণ মানুষের যে বিনা পয়সায় ত্রিপল পাওয়ার কথা তা খোলা বাজারে চড়া দামে বিক্রি করা হচ্ছে।
কিন্তু এই অভিযোগ সরাসরি অস্বীকার করেছেন মালদহের তৃণমূল কংগ্রেসের চেয়ারম্যান তথা রতুয়ার বিধায়ক সমর মুখোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘‘রাজ্যের মানবিক মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রচুর ত্রাণের ব্যবস্থা করেছেন। প্রতিটি বাড়িতে ত্রাণ দেওয়া হয়েছে। কাউকে বঞ্চিত করা হয়নি।’’ এবিষয়ে কালিয়াচক তিন নম্বর ব্লকের বিডিও জানিয়েছেন, ঘটনার খবর তিনি পেয়েছেন, শীঘ্রই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।