প্রীতি পোদ্দার, মালদা: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘোষণার পর আবাস প্রকল্পের (Pradhan Mantri Awas Yojana) সমীক্ষা শুরু হওয়ার পর বিভিন্ন পঞ্চায়েতে প্রাথমিক আবাস যোজনার নামের তালিকা প্রকাশ্যে এসেছে। বহু এলাকায় ক্ষোভ বিক্ষোভ ছড়িয়েছে। কারোর তালিকা থেকে নাম বাদ গেছে তো কারোর আবার পাকা বাড়ি থাকা সত্ত্বেও নাম উঠেছে তালিকায়। আর এই আবহে নাম উঠে এল সোনাকুল গ্রামের। যেখানে আবাস যোজনার তালিকায় দেখা গেল ব্যাপক ভুল-ভ্রান্তি।
ফের আবাসের তালিকায় উঠে এল প্রভাবশালীর নাম
ঘটনাটি ঘটেছে মালদার হরিশ্চন্দ্রপুর থানার মালিওর ২ গ্রাম পঞ্চায়েতের সোনাকুল এলাকায়। অভিযোগ, প্রকৃত উপভোক্তাদের অনেকেই পাকা ঘর পাওয়ার তালিকায় নাম উঠলেও পরে সেই তালিকা থেকে বাদ পড়েছেন। অথচ এই আবাস যোজনা তালিকায় নাম উঠে এসেছে সংশ্লিষ্ট এলাকার পঞ্চায়েত সদস্যা লুৎফুন নেসার দেওর রেশন ডিলার রফিকুল ইসলামের। যার কিনা প্রাসাদোপম অট্টালিকা রয়েছে। পাশাপাশি ওই পঞ্চায়েত সদস্যার আত্মীয়দের যাদের পাকা বাড়ি থাকা সত্ত্বেও আবাস প্রকল্পের তালিকায় নাম রয়েছে। আর এই ঘটনাকে ঘিরেই তৈরি হয়েছে রাজনৈতিক বিতর্ক।
কাটমানি না দেওয়ায় তালিকা থেকে বাদ নাম
জানা গিয়েছে ওই এলাকার বাসিন্দা জ্যোৎস্নারা খাতুন। স্বামী কাজী নজরুল ইসলাম ভিন রাজ্যে পরিযায়ী শ্রমিক হিসেবে কাজ করেন। বাড়িতে উপরে টালির চাল, মাটির দেওয়াল একেবারে ভগ্নপ্রায় দশা ঘরের। অর্থাভাবে পাকা বাড়ি করতে পারেননি। তাই নাম লিখিয়েছে আবাস যোজনা প্রকল্পে। সেই তালিকায় নামও উঠেছে। আবাস প্লাসের সার্ভের সময় প্রতিনিধিরা এসেছিলেন তার বাড়িতে। কিন্তু তারপরে হঠাৎ তালিকা থেকে বাদ চলে গেল নাম। ওই উপভোক্তার অভিযোগ তৃণমূলের স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্যা তার কাছে ১০ হাজার টাকা কাটমানি চেয়েছিল। কিন্তু তিনি দিতে পারেননি বলে নাম বাদ গিয়েছে।
এই প্রসঙ্গে সেখানকার বিডিও অফিসার তাপস কুমার পাল জানিয়েছেন, অনেকে সার্ভের সময় মিসগাইড করতে পারে। তাই প্রাথমিক তালিকার পর অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত করে চূড়ান্ত তালিকা হবে। এরকম যাঁদের নাম থাকবে নাম বাদ যাবে।