সৌভিক মুখার্জী, কলকাতা: মুর্শিদাবাদের পরিস্থিতি আপাতত স্বাভাবিক, তবে কিছুটা থমথমে। রাজনৈতিক উত্তেজনা এখনো পুরোপুরি কাটেনি। আর তার মধ্যেই আলোচনায় উঠে আসলো বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) ধুলিয়ান সফর। হ্যাঁ, শুভেন্দু অভিযোগ করেছেন যে, তিনি ধুলিয়ানে যেতে চাইলেও রাজ্য পুলিশ নাকি তাকে অনুমতি দিচ্ছে না। আর এই পরিস্থিতি তিনি কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন।
আজ বুধবার, দুপুরে বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের এজলাসে তার এই আবেদনের শুনানি হবে বলেই জানা যাচ্ছে। আদালতের রায়ের উপরেই নির্ভর করবে শুভেন্দুর ধুলিয়ান সফর।
মুর্শিদাবাদকে ঘিরে রাজনৈতিক টানাপোড়েন
গত কয়েকদিন ধরেই মুর্শিদাবাদের হাওয়া গরম। একাধিক জায়গায় বিক্ষোভ, উত্তেজনা, বিশেষ করে সুতি, সামশেরগঞ্জ, ধুলিয়ান ইত্যাদি জায়গায় উত্তেজনা তুঙ্গে। ওয়াকফ আইন নিয়ে বিরোধিতা এবং তার জেরে বিক্ষোভ, পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তির মত ঘটনা ঘটছে। আর পরিস্থিতি এমন জায়গায় পৌঁছে গিয়েছে যে, রাজ্য পুলিশের সঙ্গে কেন্দ্র বাহিনীও মোতায়েন করতে হচ্ছে।
তবে রাজ্য পুলিশের আইনশৃঙ্খলা বিভাগের জাভেদ শামীম জানিয়েছেন, পরিস্থিতি এখন কিছুটা নিয়ন্ত্রণে। কিন্তু আজ বুধবার সকালে আবারো নতুন করে ধুলিয়ানে উত্তেজনার খবর পাওয়া গেছে।
হাইকোর্টের দ্বারস্থ শুভেন্দু..
আর এই পরিস্থিতিতে ধুলিয়ান যাওয়ার পরিকল্পনা করে ফেলেন শুভেন্দু অধিকারী। তার দাবি, অন্যান্য দলের নেতানেত্রীরা যখন ঘটনাস্থলে যেতে পারছেন, তখন একজন বিধানসভার নেতার উপর কেন নিষেধাজ্ঞা চাপানো হচ্ছে?
পুলিশের এই একপেশে সিদ্ধান্তের কারণে তিনি আদালতের দারস্থ হন। তারা আইনজীবীর বক্তব্য, শুভেন্দুবাবু যথাযথভাবে পুলিশের কাছে আবেদন করেছিলেন। কিন্তু কোন যুক্তি না দিয়েই পুলিশ তাকে অনুমতি দেয়নি। তাই তার আদালতের দ্বারস্থ হওয়া ছাড়া উপায় ছিল না।
এর আগেও আদালতের অনুমতি নিয়ে গিয়েছিলেন মোথাবাড়ি
এই ঘটনা প্রথম নয়। কিছুদিন আগেও মালদায় মোথাবাড়িতে যেতে চেয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। তবে সেই সময়ও পুলিশ তাকে অনুমতি দেয়নি। শেষমেষ আদালতের অনুমতি নিয়ে তিনি ১১ই এপ্রিল সেখানে পৌঁছেছিলেন। ফলে এবারও আদালতের নির্দেশেই হয়তো তার ধুলিয়ান সফর স্থির হবে।
আরও পড়ুনঃ নিলামে উঠতে চলেছে শেখ শাহজাহানের কোটি টাকার গাড়ি! দায়িত্ব নেবে ED
অন্য সংস্থার ক্যাম্প নিয়েও উঠছে বিভিন্ন রকম প্রশ্ন
শুধু শুভেন্দু নন। ধুলিয়ানের ঘরছাড়া মানুষের জন্য একাধিক স্বেচ্ছাসেবী ক্যাম্প সেখানে যাওয়ার আবেদন জানিয়েছিল। কিন্তু তারা অভিযোগ করছে, জেলা শাসক তাদেরকে অনুমতি দিচ্ছে না। আর এই বিষয়টি বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের এজলাসে উপস্থাপন করা হলে তা পাঠানো হয় বিচারপতি অমৃত সিনহার বেঞ্চে। সেখানেই মামলার চূড়ান্ত শুনানি হবে। এখন দেখার শুভেন্দুর ধুলিয়ান সফর সফল হয় কিনা।