প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: হাতে আর বাকি কয়েক মাস। বছর ঘুরলেই ২৬ এর বিধানসভা নির্বাচন শুরু হতে চলেছে। তাইতো প্রত্যেকটি রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে নিজেদের অস্তিত্ব এবং ক্ষমতা টিকিয়ে রাখতে একাধিক কাজ করা শুরু হয়েছে। শাসকদল যেমন কাজ চালাচ্ছে ঠিক তেমনই বিরোধী দল গুলিও একনাগাড়ে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু এসবের মাঝেই দল ভাঙছে বঙ্গের গেরুয়া শিবিরের (WB BJP)। তাহলে কী বিধানসভা নির্বাচনের আগেই তাসের ঘরের মত ভাঙছে বিজেপি?
তৃণমূল নেতার কথায় জল্পনা তুঙ্গে
রাজ্যের প্রাক্তন উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ জানিয়েছেন যে, “এই মুহুর্তে বিরোধী দলের কোচবিহারে তিন বিধায়কের সঙ্গে আলোচনা চলছে। ধীরে ধীরে তাঁরা নিজেদের সিদ্ধান্তের পথে এগোচ্ছেন। উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় বিজেপির অনেক এমএলএ আমাদের রাজ্য নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন। আমার ধারণা ২৬ এর নির্বাচন এর আগে প্রায় ১০-১১ জনেরও বেশি বিধায়ক নির্বাচনের আগে দল বদল করবেন। এমনকি সংখ্যাটা এক ডজনও হতে পারে।” আর তার এই মন্তব্যে রীতিমত শোরগোল পড়ে গেল রাজনীতির ময়দানে।
কুণাল ঘোষের মুখে উঠে এল দল ভাঙনের কথা
শুভেন্দু অধিকারীর জেলা অর্থাৎ তমলুক সাংগঠনিক জেলায় সভাপতি ছিলেন তাপসী মণ্ডল। কিন্তু পরে সেও বিজেপিকে ধাক্কা দিয়ে নির্বাচনের আগেই তৃণমূলে যোগদান করলেন। এবং দলে আসতেই তাঁকে রাজ্য নারী ও শিশু ও সমাজ কল্যাণ দফতরের অধীনে নারী উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারপার্সন করা হয়েছে। যার ফলে তৃণমূলের নেতারা বিজেপির আরও বিধায়কের দল বদলের জল্পনা তুঙ্গে তুলে ধরেছেন। এমনকি তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষও এই দাবি করেছিলেন যে বিজেপির বেশ কয়েকজন সাংসদ তৃণমূলে আসার জন্য তৈরি হয়ে রয়েছেন। এমনকী কুণাল ঘোষের দাবি ছিল, বেশ কয়েকজন বিজেপি বিধায়কও তৃণমূলে যোগ দিতে ইচ্ছুক। তাতেই জল্পনা বেড়ে যায়। তবে এবার তৃণমূল নেতা রবীন্দ্রনাথ ঘোষের এই মন্তব্যে নতুন করে জলঘোলা শুরু হয়েছে রাজ্য রাজনীতিতে।
আরও পড়ুনঃ বড় রদবদল বিজেপিতে! জেলা সভাপতির নাম ঘোষণা হতেই পদ গেল একাধিক বিধায়কের
প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালের বিধানসভা ভোটে সিপিএমের টিকিটের জয়ী হয়েছিলেন তাপসী মণ্ডল। বিধানসভা নির্বাচনের এক বছর আগে, ২০২০ সালের ডিসেম্বরে মেদিনীপুরে বিজেপি শীর্ষ নেতা অমিত শাহের সভায় তিনি যোগদান করেন গেরুয়া শিবিরে। ২০২১ সালে তাপসী পদ্মফুল প্রতীকে হলদিয়া কেন্দ্রেই জেতেন। আগামী বছর রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন হওয়ার কথা। কিন্তু ঠিক তার এক বছর আগেই তাপসী মণ্ডল এবার গেলেন তৃণমূলে। গত সোমবার তৃণমূল ভবনে রাজ্যের মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস বিজেপি বিধায়কের হাতে জোড়াফুল পতাকা তুলে দেন।