প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: সন্তোষ মিত্র স্কোয়ারের (Santosh Mitra Square) পুজো নিয়ে বিতর্কের শেষ নেই। চলতি বছরেও পুজোর থিম ঘোষণার পর থেকেই পুলিশ প্রশাসনের সঙ্গে বিজেপি কাউন্সিলর সজল ঘোষের মধ্যে প্রবল টানাপোড়েন তৈরি হয়। অবশেষে সুসম্পন্ন হয় এই পুজো। আজ প্রতিমা নিরঞ্জনের পালা। এমতাবস্থায় প্রশাসন এবং পুলিশকে চমক দিতে এক নয়া পদক্ষেপ গ্রহণ করলেন বিজেপি নেতা সজল ঘোষ। নিরঞ্জন যাত্রার বদলে পরিবর্তন যাত্রার ডাক দিলেন তিনি।
সন্তোষ মিত্র স্কোয়ার নিয়ে রাজনৈতিক অসন্তোষ
কলকাতার অন্যতম বড় দুর্গাপুজো হিসেবে বরাবরই বেশ পরিচিত হয়ে আসছে সন্তোষ মিত্র স্কোয়ার। চলতি বছর পুজোর থিম হিসেবে তুলে ধরা হয়েছিল ‘অপারেশন সিঁদুর’। AI ভিডিয়োর মাধ্যমে জম্মু ও কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে নৃশংস জঙ্গি হামলার চিত্র ফুটিয়ে তোলা হয়েছে পুজো মণ্ডপে। কিন্তু এই পুজো মণ্ডপ নির্মাণের ক্ষেত্রে শুরু থেকে একাধিকবার বাঁধার মুখে পড়তে হয়েছিল। অবশেষে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের মাধ্যমে এই পুজোর উদ্বোধন হয়। কিন্তু এখনও সম্পূর্ণ বাঁধা কাটেনি। এই মণ্ডপের পুজোকে ঘিরে রাজনৈতিক অসন্তোষ তৈরি হয়েছে। আর সেই অসন্তোষের মাঝেই এবার আগুনে ঘি ঢাললেন তিনি।
বড় পদক্ষেপ সজল ঘোষের
আগামীকাল রবিবার রাজ্য সরকার আয়োজিত দুর্গা প্রতিমার নিরঞ্জন কার্নিভাল অনুষ্ঠিত হতে চলেছে রেড রোডে। তার আগেই আজ, শনিবার বিসর্জন হতে চলেছে সন্তোষ মিত্র স্কোয়ারের প্রতিমা। তাই সংবাদ মাধ্যমের কাছে বিজেপি কাউন্সিলর ও সন্তোষ মিত্র স্কোয়ারের পুজো-উদ্যোক্তা স্পষ্ট করে জানিয়ে দিলেন যে তাঁদের প্রতিমা বিসর্জনের যাত্রাকে পরিবর্তন যাত্রা হিসেবে অভিহিত করা হবে আজ। বললেন, মানুষের যে দৈনন্দিন জীবনযাত্রা, তার পরিবর্তন আসুক। এদিন তিনি বলেন, ‘ যেভাবে অসুররাজ চলছে…তাও আবার ভ্যারাইটি টাইপ অফ অসুর। চাকরি খেকো অসুর, ধর্ষণকারী অসুর, বালি খেকো অসুর, কয়লা খেকো খোকা অসুর, এরকম বিভিন্ন অসুর, তোলাবাজ অসুর, বিভিন্ন অসুর সমাজের বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে বেড়াচ্ছে। এই অসুররাজ বন্ধ হোক।’
আরও পড়ুন: তমলুকে লক্ষ্মী, কালীর ৫০ প্রতিমা ভাঙচুর! ভিডিও পোস্ট শুভেন্দুর
প্রসঙ্গত, একাধিক বাঁধা থাকা সত্ত্বেও প্রতিবারের মতো এবারেও ভিড় উপচে পড়েছিল সন্তোষ মিত্র স্কোয়ারে। রাত জেগে লাইনে দাঁড়িয়ে পুজো মণ্ডপে ভিড় করেছিল একাধিক দর্শনার্থী। এমনকি গতকাল, শুক্রবার অর্থাৎ একাদশীতেও সেই ভিড় দেখা গিয়েছে। আর এই আবহে সাধারণ মানুষদের প্রতি হয়রানির অভিযোগ তুলে পুলিশের বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলেন সজল ঘোষ।