প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: আগামী বছরই ২৬ এর বিধানসভা নির্বাচন। তাই এই বিধানসভা ভোটকে সামনে রেখে এখন থেকেই জোর প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল। জনগণকে হাতের মুঠোয় আনতে নানা ধরনের কৌশল অবলম্বন করা হতে চলেছে। সেক্ষেত্রে বরাবরই হিন্দু ভোট এক জোট করার আহ্বান জানিয়ে ‘কট্টর হিন্দুত্বে’র বার্তা দিতে দেখা গিয়েছে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী-সহ রাজ্য বিজেপির অনেক নেতাকেই। তবে এবার শুধু হিন্দু ভোট নয়, সমান গুরুত্ব দেওয়া হতে চলেছে মুসলিম ভোটেও। এবার সেই নিয়ে বড় আপডেট দিলেন শমীক ভট্টাচার্য (Samik Bhattacharya)।
মুসলিম ভোটে মনোনিবেশ শমীকের!
বঙ্গ বিজেপির বাগ্মী নেতা হিসাবে বরাবরই সুপরিচিত শমীক ভট্টাচার্য। একজন রাজনৈতিক নেতা হিসেবে তাঁর এই ব্যক্তিত্ব খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাইতো সেই কারণেই বিজেপির রাজ্য সভাপতি পদে বসানো হয়েছে শমীক ভট্টাচার্যকে। আর সভাপতির দায়িত্ব কাঁধে নেওয়ার পরই প্রথম থেকেই রাজ্যের সংখ্যালঘুদের পাশে থাকার বার্তা দিয়ে এসেছেন তিনি। এবার সেই নিয়ে আরও একটি ইঙ্গিতপূর্ণ বার্তা দিলেন শমীক ভট্টাচার্য। গতকাল অর্থাৎ সোমবার রাতে ফেসবুকে একটি ৪৩ সেকেন্ডের ভিডিয়ো পোস্ট করেন তিনি। আর সেই ভিডিওর মাধ্যমে সংখ্যালঘুদের পাশে থাকার এক বড় বার্তা দিলেন বিজেপি সাংসদ তথা বিজেপির রাজ্য সভাপতি শমীক ভট্টাচার্য।
ভাইরাল ভিডিও
শমীক ভট্টাচার্যের ৪৩ সেকেন্ডের ওই ভিডিয়োয় দেখা যায় মাত্র একটি ছবি। সেই ছবিতে দেখা যায় একটি মাদ্রাসার সামনে দাঁড়িয়ে বেশ কয়েকজন মুসলিম ধর্মাবলম্বী মানুষের সঙ্গে কথা বলছেন শমীক বাবু। আর তার সঙ্গে ভিডিওতে অডিও হিসেবে ভেসে আসছে তাঁর গলার স্বর। যেখানে তিনি বলছেন, “আমি বারংবার বলেছি, পশ্চিমবঙ্গে যত হিন্দু, হিন্দু উদ্বাস্তু এবং ভারতীয় মুসলিম রয়েছেন তাদের কেশ স্পর্শ করার ক্ষমতা কারওর নেই। যে সকল ভারতীয় মুসলিমরা সেদিন এই দেশ ছেড়ে, এই দেশকে দারুল হরব বলে পূর্ব পাকিস্তানে চলে যায়নি, তাদের পাশে বিজেপি আছে আর থাকবেও। তাদের কেশ স্পর্শ করার ক্ষমতা কারওর নেই, সে যেই কমিশন আসুক না কেন!”
আরও পড়ুন: সরকারি হাসপাতালের মধ্যেই ওয়ার্ড গার্লকে ধর্ষণের অভিযোগ! শোরগোল পাঁশকুড়ায়
এদিকে ৪৩ সেকেন্ডের ওই ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হতেই রাজনৈতিক দলগুলির মধ্যে উত্তেজনা এক চরম আকার ধারণ করে। যদিও শমীকের মুখে এমন মন্তব্য প্রথম নয়। কিন্তু বিজেপি অন্দরে নেতাদের মুখে এই হেন মন্তব্য খুবই অবাক করে। কারণ বঙ্গ বিজেপির একাধিক শীর্ষ স্থানীয় নেতাদের বলতে শোনা যায় যে জেতার জন্য তাঁদের মুসলিম ভোট ‘প্রয়োজন নেই’। তবে সেক্ষেত্রে নির্বাচনের ক্ষেত্রে এই অংশকে সমান গুরুত্ব দিতে চাইছে শমীক। তবে বিজেপি সাংসদের এই মন্তব্যকে বাঁকা চোখে দেখছেন বিশেষজ্ঞরা। তাঁদের মতে ভোটের অঙ্ক বাড়াতে শাসকদলের মত বিজেপিও মুসলিমদের গুটি হিসেবে ব্যবহার করতে চাইছে।