প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: গত বছর আগস্ট মাসে আরজি কর কাণ্ডে তিলোত্তমার খুন ও ধর্ষণ কাণ্ডের তীব্র প্রতিবাদ করতে গোটা রাজ্যের সাধারণ মানুষ রাত দখলের দাবিতে পথে নেমেছিলেন। গভীর রাতে হাতে মোমবাতি নিয়ে তিলোত্তমার সুবিচারের জন্য রাস্তায় নেমেছিলেন তাঁরা। তখন সেই সময় এও কর্মসূচির পিছনে কে বা কারা ছিল সঠিক জানা যায়নি। আর এবার সেই একই পন্থা অবলম্বন করে ফের নবান্ন অভিযান (Nabanna Chalo Abhiyaan) এর ডাক দেওয়া হল। কিন্তু করা রয়েছে এর নেপথ্যে?
ঘটনাটি কী?
বিগত কয়েকদিন ধরে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট বেশ ভাইরাল হয়েছে। যেখানে ‘নবান্ন চলো’ ডাক দেওয়া সেই পোস্টার রয়েছে। বলা হয়েছে আগামী বৃহস্পতিবার ওই ‘নবান্ন চলো’ কর্মসূচি হবে। কিন্তু কোন রাজনৈতিক দল বা কে এই কর্মসূচি ঘোষণা করেছে কিছুই উল্লেখ করা নেই। ঠিক একইভাবে ‘রাত দখল’ করার ডাক দেওয়া হয়েছিল। যদিও এই মিছিলের নেপথ্যে কে রয়েছে এবং তাদের পরিচয় পরে সামনে আসে। তবে এই কর্মসূচির ডাক কারা দিল সেটা এখনও স্পষ্ট নয়। তাই এবার সেই তথ্য জানতে ৬৫ বছরের এক প্রবীণ এবার জনস্বার্থ মামলা করল কলকাতা হাইকোর্টে।
মামলা উঠল হাইকোর্টে
সূত্রের খবর ৬৫ বছরের এক প্রবীণ নাগরিক ভরতকুমার মিশ্র কলকাতা হাইকোর্টে এই মামলা দায়ের করেছেন। সেখানে তাঁর অভিযোগ, আগামী ১৬ তারিখ দুপুর ১টায় ওয়েলিংটন স্কোয়ারে জমায়েতের কথা বলা হয়েছে। সেখান থেকেই নাকি মিছিল যাবে নবান্নের দিকে। আর স্লোগান হিসেবে দেওয়া হয়েছে, ‘রাত দখলের পর আজ দাবি দখল’। কিন্তু কারা ওই কর্মসূচি ডাক দিয়েছে তার উল্লেখ করা নেই। এমনকি ওই কর্মসূচির অনুমতি পুলিশের থেকে নেওয়া হয়নি বলেও অভিযোগ ওঠে যেটা আইন বিরুদ্ধ। কারণ এর আগে নবান্ন অভিযানকে ঘিরে ধুন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। তাই সেই পরিস্থিতি যে এবারেও দেখা যাবে তা নিয়ে কোনো সংশয় নেই।
আরও পড়ুনঃ ফেব্রুয়ারি থেকে দেড়মাস বন্ধ থাকতে পারে মেট্রো! হাওড়া-শিয়ালদা লাইনে ভোগান্তির আশঙ্কা
তার উপর আগামী ১৫ জানুয়ারি গঙ্গাসাগর মেলা শেষ হবে। সেখান থেকে ফিরবেন তীর্থযাত্রীরা। আর এই পরিস্থিতিতে ১৬ জানুয়ারি ‘নবান্ন চলো’ কর্মসূচি হলে যাতায়াতের সমস্যায় পড়তে পারেন তীর্থযাত্রীরা। তাই এই কর্মসূচি ঠেকাতে উচ্চ আদালতে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেছেন ভরতকুমার মিশ্র। চলতি সপ্তাহে প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চে এই মামলার শুনানি রয়েছে। আর এই মামলার শুনানিতে কলকাতা হাইকোর্ট কি রায় দেয় সে দিকে তাকিয়ে পুলিশ।