‘আবারও ওই এলাকাতে গিয়ে ত্রাণ দেব!’ হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েই জানালেন শঙ্কর ঘোষ

Published:

Shankar Ghosh
Follow

প্রীতি পোদ্দার, শিলিগুড়ি: ক্ষত সারিয়ে ফের ত্রাণ সংগ্রহের পথে শঙ্কর ঘোষ (Shankar Ghosh)! ফের নাগরাকাটায় গিয়ে ত্রাণ বিলি করার সংকল্প নিলেন তিনি। গত সোমবার নাগরাকাটায় ত্রাণসামগ্রী দিতে গিয়ে আক্রান্ত হন মালদা উত্তরের সাংসদ খগেন মুর্মু ও বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ। ইটবর্ষণ, কিল পড়েছিল পিঠে, পিছন থেকে ধাক্কা মারা হয়েছিল তাঁদের। শেষে শিলিগুড়ি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন হন শঙ্কর। আর এবার সেই ঘটনার প্রতিবাদ জানাতে ফের একই এলাকায় ত্রাণ দেওয়ার সংকল্প করলেন তিনি।

ত্রাণ সংগ্রহ অভিযানে নামে শঙ্কর ঘোষ

দিন কয়েক আগেই উত্তরবঙ্গে নাগরাকাটায় বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মু ও বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ ত্রাণ দিতে গিয়ে হামলার শিকার হন। রক্তাক্ত অবস্থায় তাঁদের দুজনকে শিলিগুড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়। যদিও শঙ্কর ঘোষের চোট কম থাকায় গতকাল অর্থাৎ বুধবারই তাঁকে ছুটি দেওয়া হয়। আর ছুটি পেতেই আজ, বৃহস্পতিবার সকাল থেকে ফের ময়দানে নামেন তিনি। সাতসকালে দলের কর্মী অনুগামীদের নিয়ে বেরিয়ে পড়েন ত্রাণ সংগ্রহ অভিযানে। ফুলেশ্বরী এলাকায় মাছ বাজার, সব্জির দোকান, স্থানীয় ব্যবসায়ী ও পথ চলতি মানুষের কাছে চাঁদা সংগ্রহ করতে দেখা যায় শঙ্কর ঘোষকে।

আক্রমনাত্মক এলাকায় ফের ত্রাণ!

রিপোর্ট অনুযায়ী, উত্তরবঙ্গের বিস্তীর্ণ এলাকার বিপর্যস্ত মানুষের পাশে দাঁড়াতে ফের আজ সকাল থেকেই চাঁদা তুলতে ব্যস্ত হয়ে পড়লেন বিজেপি বিধায়ক শংকর ঘোষ। আর সেই সময় সাংবাদিকদের সঙ্গে মুখোমুখি হন তিনি। শঙ্কর ঘোষ জানান, তাঁর ডান হাতে এখনও ব্যথা ভাব রয়েছে। চিকিৎসকেরা তাই আর্ম স্লিং ব্যবহারের পরামর্শ দিয়েছেন। শরীরের বিভিন্ন জায়গায় এখনও ব্যথার সমস্যা রয়েছে বলেও জানান তিনি। তবে, সেইসব ভুলে গিয়ে এই মুহূর্তে ত্রাণকার্যে যুক্ত থাকতে চাইছেন তিনি। শঙ্কর বাবু এদিন স্পষ্ট জানিয়ে দেন যে, “ আমি ঘরে বসে থাকার পাত্র নই। আবার ওখানেই যাব। মারতে হলে একেবারে মেরে ফেলুক। নাহলে আমাকে আটকানো যাবে না।”

আরও পড়ুন: ধৃত শাহনূর, তোফায়েল! নাগরাকাটা হামলা কাণ্ডে ৪ জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ

এদিন শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসকে নিয়ে বিজেপি বিধায়ক শংকর ঘোষের কাছে প্রশ্ন করা হলে তিনি জানিয়ে দেন যে তৃণমূল কোনও রাজনৈতিক দল নয়, ওটা একটা ব্যবসায়ীক প্রতিষ্ঠান। যাঁরা ব্লাড ডোনেশন ক্যাম্প ভাঙচুর করে, রিলিফ দিতে গেলে পেটায়, তাদের রাজনৈতিক দল বলা হলে, রাজনৈতিক দলের অপমান হবে। অন্যদিকে এখনও পর্যন্ত হাসপাতালেই ভর্তি রয়েছেন মালদা উত্তরের সাংসদ খগেন মুর্মু। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, সাংসদের ডান চোখের নীচে হাড় ভেঙেছে। তবে যেহেতু রক্তে শর্করার মাত্রা বেশি তাই এখনই অস্ত্রোপচার করা সম্ভব নয়। অন্তত ছয় সপ্তাহ হাসপাতালে থাকতে হতে পারে খগেন মুর্মুকে।

গুরুত্বপূর্ণ
Join
চাকরির খবর
Join
রাশিফল
Join
খেলার খবর
Join