প্রীতি পোদ্দার: বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়ার যুগে অনেকেই আজকাল টাকা রোজগারের পথ হিসেবে বেছে নিয়েছে ইন্টারনেটকে। যার মাধ্যমে সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজের মত প্রকাশের পাশাপাশি বিভিন্ন প্রোডাক্ট সেল বা মোটিভেশনাল ভিডিও বা নানা ধরনের ভিডিও বানিয়ে ইনকাম করা যায়। তবে সম্প্রতি অভিযোগ উঠছে দলের কয়েকজন দলের নাম ভাঙিয়ে ইউটিউবের থেকে পাওয়া টাকা আত্মসাৎ করছে। যা নিয়ে দলের যুব নেতৃত্বের সেই অংশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে।
দলের নাম ভাঙিয়ে ব্যক্তিগত ইনকাম!
সিপিএম সূত্রে জানা গিয়েছে, দলের বেশ কয়েকজন যুব মুখপাত্রদের মধ্যে একটা ট্রেন্ড দেখা যাচ্ছে যে, কিছু বাছা সংলাপ আগে থেকে ঠিক করে যাচ্ছেন। এবং সেগুলি টিভিতে গিয়ে কোন অনুষ্ঠানে কথাগুলো বলছেন, আবার জনসভাতেও একই সংলাপ আওড়াচ্ছেন। আর সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো ঠিক সেই সংলাপগুলো তাঁরা আবার সোশাল মিডিয়ায় পোস্ট করে একটা বড় রকমের রোজগার করছেন। প্রশ্ন উঠছে তবে কি সেই টাকাগুলো দলের মধ্যে আসছে? যার ফলে পার্টির অন্দরেই উঠছে নানা কথা।
যদিও এই ঘটনা নিয়ে দলের অনেকেই নিশ্চুপ। কিন্তু যাঁরা এই পার্টির সঙ্গে জড়িত হোল টাইমার হিসেবে তাঁদের মধ্যে কয়েকজন এই নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন ইউটিউবের টাকা পার্টিকে অবশ্যই দেওয়া উচিৎ। কারণ এই ইনকাম শুধু ওই বক্তার একক কৃতিত্বে হচ্ছে না। তার জন্য তিনি দলকে ব্যবহার করছেন। দলের হয়ে তিনি বলার সুযোগ পাচ্ছেন। আর এই নিয়ে দলের যুব মহলে যে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে তা বড় আকার নিয়েছে এবং আলিমুদ্দিন স্ট্রিট পার্টি অফিসে জানানো হয়েছে।
ব্যক্তিগত ইনকাম প্রসঙ্গে ক্ষোভ উগরে দিলেন এক যুবনেতা!
দলের বেশ কয়েকজন যুবনেতা জানিয়েছেন, “পার্টির হয়ে বক্তারা যা বলেন সেগুলো ভলান্টারি সার্ভিস, অর্থাৎ দলের হয়ে শ্রমদান। কিন্তু কিছু ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে, এটা থেকে অনেকেই আলাদা ইনকাম করছেন। কেন তবে পার্টিতে সেই টাকা জমা দেওয়া হবে না? এছাড়া আরো জানান হয়েছে যে, “পার্টি যদি কাউকে মুখপাত্র হিসাবে পাঠায়, তাহলে যদি সেটা তাঁর ব্যক্তিগত ইনকাম হয়ে থাকে তাহলে বাকিদেরও পাঠানো হোক।”