প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: গত মঙ্গলবার সকালে মৃত্যু হয়েছে দিলীপ ঘোষের স্ত্রী রিঙ্কু মজুমদারের প্রথম পক্ষের পুত্র প্রীতম ওরফে সৃঞ্জয় দাশগুপ্তের (Srinjoy Dasgupta)। নিউটাউনের সাপুরজি আবাসন থেকে দেহ উদ্ধার করা হয়। আর তারপর থেকেই আত্মহত্যার একটি তত্ত্ব উঠে আসছিল বিভিন্ন মহলে। মায়ের নতুন বিয়ের জেরেই এই মৃত্যু না আত্নহত্যা তা নিয়ে প্রশ্নও উঠছিল। আর এই আবহেই প্রকাশ্যে আসল রিঙ্কু মজুমদারের প্রাক্তন স্বামীর নাম। এমনকি উঠে এল তাঁর কুকীর্তির কথা।
সুখময় ছিল না রিঙ্কুর প্রথম বিবাহিত জীবন
দিলীপ ঘোষ এবং রিঙ্কু মজুমদারের বিবাহের সময়ই জানা গিয়েছিল যে রিঙ্কু দেবী বিবাহ বিচ্ছিন্না ছিলেন। এমনকি এই কথা দিলীপ ঘোষকে বিয়ের সময়ে জানিয়েছিলেন। ছেলেকে একাই বড় করেছেন, তাঁকে সমাজে প্রতিষ্ঠিত করেছেন, তারপর তিনি নিজের কথা ভেবেছেন। কিন্তু সেইসময় একবারের জন্যও ওঠেনি রিঙ্কুর প্রথম পক্ষের স্বামীর প্রসঙ্গ। তবে এবার সৃঞ্জয়ের মৃত্যুর পরই উঠে এল, রিঙ্কুর প্রথম পক্ষের স্বামীর প্রসঙ্গ। রিঙ্কুর এক আত্মীয়ের তরফেই জানা গেল যে রিঙ্কদেবীর প্রথম বিবাহিত জীবন খুব সুখকর ছিল না।
মদ খেয়ে রিঙ্কুকে মারত প্রথম স্বামী
পাড়ার এক আত্মীয়ের সূত্রে জানা গিয়েছে, রিঙ্কু মজুমদারের প্রাক্তন স্বামী ছিলেন রাজা দাশগুপ্ত। প্রথম থেকেই তিনি নাকি রিঙ্কু দেবীর উপর অত্যাচার করত। মাঝে মাঝেই সহ্যের সীমা পার করে যেত সেসব। বহু বছর আগেই রিঙ্কু এবং ছেলে সৃঞ্জয় ওরফে প্রীতমকে রীতিমতো পথে বসিয়ে চলে যায় রাজা। পরে সেও আরেকটা বিয়ে করে। সেই পক্ষের একটি মেয়ে রয়েছে। কিন্তু সে বিয়েও টেকেনি। মেয়েকে নিয়ে দ্বিতীয় স্ত্রী আলাদা হয়ে গিয়েছে। শুধু তাই নয় রীতিমত রাজা দাশগুপ্ত মদ খেয়ে প্রায় প্রতিদিন বাড়ি ফিরে রিঙ্কুর উপর অত্যাচার চালাত। এলাকার সবাই সে কথা জানে। আর তাতেই সেখান থেকে বেরিয়ে আসে রিঙ্কু।
এদিকে সৃঞ্জয় দাশগুপ্তের আচমকা মৃত্যুর জন্য প্রায় সকলেই রিঙ্কু মজুমদার এবং দিলীপ ঘোষের বিয়েকেই দায়ী করছেন। সকলেই নানা কটাক্ষ করে চলেছে। এমনকি রাজা দাশগুপ্তও দাবি করেন মায়ের বিয়ের পরেই নাকি ছেলে অবসাদে ভুগতেন। অর্থাৎ ছেলের মায়ের পুনর্বিবাহকেই দোষ দেন তিনি। তবে মা রিঙ্কু মজুমদারের দ্বিতীয় বিয়েতে সৃঞ্জয়ের প্রতিক্রিয়াই ছিল অত্যন্ত ইতিবাচক। সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছিলেন, মায়ের জন্য তিনি খুব খুশি। এমনকি দিলীপ ঘোষের সঙ্গে যে তাঁদের খুব ভালো সম্পর্ক সেটাই তিনি জানিয়েছিলেন। যদিও রাজা আরও বলেন, “বাহ্যিক ভাবে ও সবাইকে দেখিয়েছে যে, ও বিয়েটা মেনে নিয়েছে। কিন্তু মনে মনে হয়তো মেনে নিতে পারেনি। একেবারে একা হয়ে গিয়েছিল। গুরুত্বহীন হয়ে পড়েছিল ছেলেটা।”
আরও পড়ুন: রিঙ্কু পুত্রর মৃত্যু নিয়ে রহস্য, মিলল মহিলা যোগ! কে এই রমণী?
ইতিমধ্যেই সৃঞ্জয়ের মৃত্যুকে ঘিরে তদন্ত শুরু করেছে বিধাননগর কমিশনারেটের পুলিশ। জানা গিয়েছে, তাঁর ফোনটি বিশেষভাবে খতিয়ে দেখা হচ্ছে। শেষ কার সঙ্গে কথা হয়েছিল, কেমন মানসিক অবস্থায় ছিলেন এসবই জানার চেষ্টা চলছে। এদিকে ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্টে স্পষ্ট বলা হয়েছে যে অগ্ন্যাশয়ের রক্তক্ষরণের কারণে এই মৃত্যু। যার মধ্যে কোনো অস্বাভাবিকতা নেই।
রাজ্য রাজনীতি, বিনোদন থেকে শুরু করে খেলা সংক্রান্ত নানা ধরনের খবরের লেটেস্ট আপডেট পেতে এখনই ফলো করুন আমাদের India Hood Bangla কে।
গুরুত্বপূর্ণ খবরের জন্য | Join Group |
চাকরির খবরের জন্য | Join Hood Jobs |
রাশিফলের জন্য | Join Hood Rashifal |
খেলার খবরের জন্য | Join Whatsapp |