প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: অবশেষে মহা সমারোহে অগ্নিকে সাক্ষী রেখে সাত পাকে বাঁধা পড়লেন কাঁথির সাংসদ তথা বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারীর ভাই সৌমেন্দু অধিকারী। গতকাল অর্থাৎ ৩ মার্চ সন্ধ্যায় বিবাহের অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। উপস্থিত ছিলেন একাধিক বিজেপি নেতা সহ কলকাতা হাইকোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি তথা বিজেপি সাংসদ অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। তবে এদিনের বিয়ের অনুষ্ঠানে (Soumendu Adhikari‘s Wedding) উপস্থিত ছিল না নিজের দাদা শুভেন্দু অধিকারী।
ভাইয়ের বিয়েতে অনুপস্থিত শুভেন্দু অধিকারী
সৌমেন্দু অধিকারী দাদা শুভেন্দুর মতোই কাঁথিতে ছাত্র রাজনীতি থেকে রাজনৈতিক জীবনে পা দিয়েছিলেন। কাঁথি প্রভাত কুমার কলেজে ছাত্র সংসদের দায়িত্ব সামলেছেন। তারপর পুর প্রতিনিধি এবং কাঁথি পুরসভার চেয়ারম্যান হন। তখন তিনি তৃণমূলে। তারপর দল বদলে দাদার পথেই বিজেপিতে এসেছেন সৌমেন্দু। তবে বিধায়ক না হয়েই সরাসরি সাংসদ হয়েছেন কাঁথি লোকসভা থেকেই। তার কয়েক মাসের ব্যবধানেই পাশের জেলায় মেদিনীপুর বিধানসভায় উপনির্বাচনে ‘ইনচার্জে’র দায়িত্ব পান সৌমেন্দু। তবে এবার রাজনৈতিক জীবনের পাশাপাশি ব্যক্তিগত জীবনেও মনোনিবেশ করেছেন তিনি। তাইতো সাত পাকে বাঁধা পড়লেন তিনি। কিন্তু ভাইয়ের বিয়ে হলেও সেই অনুষ্ঠানে দেখা গেল না শুভেন্দু অধিকারীকে।
সন্দেশখালিতে শুভেন্দু
আসলে লোকসভা নির্বাচনের আগে সন্দেশখালিতে যে ভয়ংকর আন্দোলন হয়েছিল, সেই আন্দোলনে রাজ্য সরকার এর নির্দেশে সাসপেন্ডেড তৃণমূল নেতা উত্তম সর্দার ও বিজেপি নেতা বিকাশ সিংকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। কিন্তু, জামিন পেয়ে কোর্ট থেকে বেরোতে না বেরোতেই, বিজেপি নেতা বিকাশ সিংকে টেনে হিঁচড়ে নিয়ে গিয়ে, ফের অন্য মামলায় গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। গতকাল সেই ধৃত বিজেপি নেতা বিকাশ সিং এর মেয়ের বিয়ে ছিল। তাই দলের সদস্য হিসেবে বিকাশ সিং এর মেয়ের বিয়েতে উপস্থিত হয়েছিলেন বিজেপি দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সেই কারণেই ভাইয়ের বিয়েতে উপস্থিত হতে পারেনি তিনি। যদিও তাতে বিন্দুমাত্র আক্ষেপ নেই তাঁর।
আরও পড়ুনঃ খরচ বেড়ে ৮৪ কোটি! মিড ডে মিল থেকে রেশন, কেন্দ্রের অন্ন যোজনার দরুন ফ্যাসাদে রাজ্য সরকার
অন্যদিকে ভাইদের বিয়ে হলেও এখনও বিয়ে করেননি বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী। তাইতো তাঁর ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে আগ্রহীর সংখ্যা নেহাত কম নয়। সকলের প্রশ্ন একজন ‘ঝকঝকে’, ‘দৃপ্ত’, ‘তরুণ নেতা’ কেন বিয়ে করেননি। যদিও সে ব্যাখ্যা তিনি দিয়েছেন। শুভেন্দু অধিকারী একবার এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছিলেন যে, “আমি সতীশ সামন্ত, সুশীল ধারা, অজয় মুখোপাধ্যায়ের জীবনী পড়ে অকৃতদার হয়ে গিয়েছি। তাঁদের লেখায় বলে গিয়েছেন, ‘দিবি যদি সবটা দে, পুরোটা দে’। সেই মন্ত্রে আমি দীক্ষিত।” যদিও বিয়ে করে সংসারী না হলেও মা, বাবার প্রতি কর্তব্যে তিনি অটল। কিন্তু শুভেন্দুর পরিবার ওই ছোট্ট পাঁচজন, সাতজন, আটজনের পরিবার নয়। শুভেন্দুর পরিবার বাংলার, বাঙালির পরিবার।
রাজ্য রাজনীতি, বিনোদন থেকে শুরু করে খেলা সংক্রান্ত নানা ধরনের খবরের লেটেস্ট আপডেট পেতে এখনই ফলো করুন আমাদের India Hood Bangla কে।
গুরুত্বপূর্ণ খবরের জন্য | Join Group |
চাকরির খবরের জন্য | Join Hood Jobs |
রাশিফলের জন্য | Join Hood Rashifal |
খেলার খবরের জন্য | Join Whatsapp |