প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: গতকাল অর্থাৎ বুধবার সকালে বিজেপির (Bharatiya Janata Party) সল্টলেকের পার্টি অফিসে অটলবিহারী বাজপেয়ীর ১০০তম জন্মদিবস উপলক্ষে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল গেরুয়া শিবিরের তরফ থেকে। সেই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বঙ্গ বিজেপির বর্তমান রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, রাহুল সিনহারা। এদিন রাজ্যজুড়েই বিভিন্ন সেবামূলক কর্মসূচির মাধ্যমে সুশাসন দিবস পালন করে বিজেপি। আর এই কর্মসূচির মধ্যে সুকান্ত মজুমদারের গলায় ভেসে আসল বিজেপির নয়া রাজ্য সভাপতির সুর।
বিধানসভা নির্বাচনের আগে বিজেপিতে রাজ্য সভাপতির নতুন মুখ!
বিগত কয়েকদিন ধরেই নতুন রাজ্য সভাপতি নিয়ে দলের অন্দরে নানা চর্চা চলছে। আর সেই আলোচনায় অনেকের নাম উঠে আসছে। তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে কানে ভাসছে শুভেন্দু অধিকারী এবং দিলীপ ঘোষের নাম। আবার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে রাজ্য সভাপতি করার পক্ষে সওয়াল করেছেন তথাগত রায় থেকে অর্জুন সিংরা। এদিন সুকান্ত তাঁর ভাষণে বলেন, “অটল বিহারী বাজপেয়ীর নেতৃত্বে তত্কালীন নেতারা, যাঁরা জনসঙ্ঘের নেতা ছিলেন, এবং পরবর্তী সময়ে যাঁরা ভারতীয় জনতা পার্টি তৈরি করেছিলেন, আমি তাঁদের ইতিহাস ও আদর্শের প্রতি দায়বদ্ধতাটা সবার সামনে এনেছি। দায়বদ্ধতা প্রত্যেকেরই থাকা উচিৎ। এই দায়বদ্ধতা যেকোনো দলেই থাকা উচিত। ”
কী জানালেন সুকান্ত মজুমদার?
এছাড়াও এদিন তিনি বলেন, “সুকান্ত মজুমদারের বিজেপির প্রতি সারাজীবন আছে। সুকান্ত মজুমদার সাংসদ থাকলেও বিজেপি, না থাকলেও বিজেপি। গোটা ভারতবর্ষে ৩০৩ সাংসদ থাকলেও সুকান্ত মজুমদার বিজেপি। যখন বিজেপির হয়তো একটাও সাংসদ থাকবে না, তখন সেদিনও সুকান্ত মজুমদার বিজেপি। যদিও এরকম দিন আসবে না কোনওদিনও।” আর তাতেই ধন্দ বাড়ছে দলে। এদিকে সুকান্ত মজুমদার এর দুটি পদে দায়িত্ব সামলানোর কাঠামো নিয়ে বেজায় আপত্তি তুলেছে তথাগত রায়। তাঁর মতে সুকান্ত মজুমদার একদিকে তিনি একটা রাষ্ট্রমন্ত্রীর পদে আছেন, আবার অন্যদিকে তিনি দুটো কী করে সামলাবেন।
তথাগত রায়ের মতে দিনে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সুকান্ত মজুমদার কীভাবে রাষ্ট্রমন্ত্রীর পদ দিল্লিতে সামলাবেন, আর কলকাতায় রাজ্য সভাপতি পদ সামলাবেন, এটা কী করে সম্ভব। এদিকে পশ্চিমবঙ্গে বিজেপির রাজ্য সভাপতি পদ সামলানো ২৪ ঘণ্টা নয়, ২৩ ঘণ্টার কাজ, ৪০ ঘণ্টার কাজ। সেখানে এমন একজনকে দেওয়া হয়েছে, যিনি ১৬ ঘণ্টার বেশি সময় দিতে পারবেন না। কীভাবে হবে সবটা? যদিও সেই বিষয়ে এখনও দলের প্রধানরা কোনো মন্তব্য করেনি। এদিকে দলীয় কর্মসূচি থেকে রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের দাবি, “বিজেপিই আনতে পারবে সুশাসন। ছাব্বিশে বাংলায় বিজেপি সরকার তৈরি হবে। আমরা অপেক্ষা করছি পশ্চিমবঙ্গে কবে সুশাসন আসবে।”