গলছে বরফ? শুভেন্দুর বাড়িতে চা খেতে যাবেন মমতা! একসঙ্গে কাজ করার বার্তা মুখ্যমন্ত্রীর

Published on:

mamata banerjee suvendu adhikari

ইন্ডিয়া হুড ডেস্কঃ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আর শুভেন্দু অধিকারী এক সময় একই পথের পথিক হলেও, এখন দুজনার রাস্তাই আলাদা। দুজনাই দুজনার বিরোধী। কেউ কাউকে আক্রমণ করতে পিছপা হননা। বিশেষ করে বিজেপির বিধায়ক তথা বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। নন্দীগ্রামের বিধায়ক দুর্নীতি থেকে শুরু করে তোলাবাজি সহ নানান ইস্যুতে বারংবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ করে এসেছেন। এদিকে সুযোগ পেলে মুখ্যমন্ত্রীও শুভেন্দুকে ছেড়ে কথা বলেন না। কিন্তু, আজ খোদ মুখ্যমন্ত্রীর এক মন্তব্য রাজ্যে শোরগোল ফেলে দিয়েছে। মমতা বলেছেন যে, তিনি শুভেন্দুর বাড়িতে চা খেতে যাবেন।

WhatsApp Community Join Now

আসলে আজ রাজ্যের বিধানসভায় বিজেপির বাংলা ভাগের বিরুদ্ধে প্রস্তাব পাস হয়েছে। সপ্তাহের প্রথম দিনে বিধানসভায় বিতর্কের আয়োজন করা হয় সরকারের পক্ষ থেকে। সেখানে অংশ নেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। তবে এই বিতর্ক সভার মধ্যে এক বিরল দৃশ্যও দেখা গেল আজ। বিধানসভায় আজ শুভেন্দু অধিকারীর প্রস্তাব মানা হয়েছে সরকারের তরফে। খোদ মমতা শুভেন্দুর মতকে স্থান দেওয়ার কথা বলেছেন।

এ দিন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বিধানসভায় বলেন, ‘রাজ্য যেই প্রস্তাব এনেছে, তা সম্পূর্ণ রাজনৈতিক। সুকান্ত মজুমদার প্রধানমন্ত্রীকে যেই প্রস্তাব দিয়েছিলেন, তা আদৌ বাংলা ভাগের প্রস্তাব ছিল না। এবার আমি প্রস্তাব দিচ্ছি অবিভক্ত বাংলার সামগ্রিক উন্নয়নে। আমার এই প্রস্তাবে সংশোধন আনুন। যদি গোটা বাংলার উন্নয়নের প্রস্তাব আনা হয়, তাহলে আমরাও সমর্থন করব।’ যদিও, স্পিকার বিমান বসুর তরফে শুভেন্দুর মন্তব্য প্রত্যাখ্যান করা হয়। তিনি জানান যে, ‘এখনও অবধি বিজেপি এমন কোনও প্রস্তাব জমা দেয়নি।’

শুভেন্দুর বাড়িতে চা খেতে যাবেন মমতা

শুভেন্দুর মন্তব্যের পর নিজের মন্তব্য পেশ করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রী বিজেপির রাজ্যসভার সাংসদ তথা কোচবিহারের রাজবংশী নেতা অনন্ত মহারাজের কথা উল্লেখ করে বলেন, ‘আমি ওনার বাড়িতে চা খেয়েছি। আপনিও যদি আমাকে আপনার বাড়িতে ডাকেন, আপনার বাড়িতে গিয়েও চা খাব।’ এরপর শুভেন্দুকে তিনি বলেন, রাজনৈতিক কাঁদা ছোড়াছুঁড়ি বন্ধ করে বাংলার উন্নয়নে একসঙ্গে কাজ করি।

শুভেন্দু অধিকারীর সাংবাদিক বৈঠক

এরপর শুভেন্দু সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন। সেখানে তিনি বলেন, ‘অনন্ত থাপা, মহারাজের সঙ্গে বৈঠক করেন। বিচ্ছিন্নতাবাদী নাশকতামূলক কাজে যুক্তদের সঙ্গেও বৈঠক করেন। এরপর বাংলা ভাগের জন্য বিজেপির ঘাড়ে দোষ চাপান।’

সঙ্গে থাকুন ➥