প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: গত ২৭ অক্টোবর এসআইআর ঘোষণা হওয়ার পর থেকেই রাজ্যে তৃণমূল এবং বিজেপির মধ্যে সংঘর্ষের উত্তেজনা চরমে আকার নিয়েছে। ক্রমাগত একে অপরকে দোষারোপ করে চলেছে। যদিও প্রথম থেকেই রাজ্যে SIR প্রক্রিয়া হওয়া নিয়ে বেশ নারাজ শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস। ২১ জুলাইয়ের মঞ্চ থেকেও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন যে SIR-এ বৈধ ভোটারদের নাম বাদ দেওয়া হলে প্রতিবাদ করবেন তিনি। সব মিলিয়ে দুই যুযুধান রাজনৈতিক দলের সংঘর্ষ চরম আকার নিচ্ছে। এমতাবস্থায় নন্দীগ্রামে ডায়মন্ড হারবার মডেলের প্রসঙ্গ নিয়ে এবার মুখ খুললেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)।
কান্নায় ভেঙে পরে পরিযায়ী শ্রমিকের পরিবার
রিপোর্ট অনুযায়ী গত বুধবার কেরলের নির্মাণকাজ চলাকালীন দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান নন্দীগ্রাম ২ নম্বর ব্লক বিরুলিয়া গ্রামের বাসিন্দা ভীমচরণ বারিক। কান্নায় ভেঙে পরে গোটা পরিবার। এরপর অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে কেরল থেকে বিমানে মৃতদেহ আনা হয় কলকাতায় এবং পরিকল্পনা অনুযায়ী মৃতদেহ পৌঁছয় নন্দীগ্রামে। পরে আবার বিরুলিয়া গ্রামে নিহতের বাড়িতে পৌঁছে যান তৃণমূলের আইটি সেলের প্রধান দেবাংশু ভট্টাচার্য-সহ দলের স্থানীয় নেতারা। সেখানে পরিবারকে আর্থিক সাহায্য করেন তাঁরা। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে ধন্যবাদ জানায় গোটা পরিবার। এদিকে বিজেপি পরিচালিত পঞ্চায়েত এলাকায় তৃণমূলের ভূমিকায় রীতিমতো আলোড়ন পড়ে গিয়েছে।
‘ডায়মন্ড-হারবার মডেলের’ ভূয়সী প্রশংসা
কেরলে মৃত পরিযায়ী শ্রমিকের ছেলে রামপদ বারিক সাংবাদিকদের কাছে জানান, ‘আমার পরিবার অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে কৃতজ্ঞ। আমার বাবা যখন ভিন রাজ্যে মারা গেলেন, সেই সময় আমাদের নানা ভাবে সাহায্য করেছেন তিনি। আমরা চাই, উনি যেমন ডায়মন্ড হারবারে স্বাস্থ্য শিবির খুলেছেন, ঠিক সেই ভাবেই এখানেও কোনও উদ্যোগে নিক।’ আর সেই প্রসঙ্গ টেনেই সেখানকার এক তৃণমূল কর্মী বলেন, ‘এখানে বিধায়ক বিজেপি, সাংসদ বিজেপির। এদিকে যখন ভিন রাজ্যে গিয়ে একজন পরিযায়ী শ্রমিক মারা গেল, তখন দেহ আনা থেকে শুরু করে সমস্ত রকমের দায়িত্ব পালন করলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।’ এবার সেই নিয়ে মুখ খুললেন নন্দীগ্রামে বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী।
কী বলছেন শুভেন্দু অধিকারী?
নন্দীগ্রামে ডায়মন্ড হারবার মডেল নিয়ে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “ এই ধরনের পরিষেবা আমি এখানে প্রত্যেক দিন দিই। এক কোটি টাকা দিলেও নন্দীগ্রামের কোনও হিন্দু অভিষেকের পার্টিকে ভোট দেবে না। ও রাসবিহারীর এনজিওকে দিয়ে যা করেছে তা ইনকাম ট্যাক্স নোটিস করেছে। সময় আসুক আমি সব তথ্য ফাঁস করে দেব। এগুলো করে কিছু হবে না। দেবব্রত মাইতি ও রতিবালা আড়ি, দুজন হিন্দুকে খুন করেছে ওদের পার্টি। চুরির যত মাল আছে সব বদ রক্ত বেরিয়ে যাক। এপ্রিলের পর আর ও থাকবে না। ইট খুলে নিয়ে আসব ওর বাড়ি থেকে, শুধু দেখতে থাকুন।”












