‘ফের হারাব’, ২৬-র বিধানসভা নির্বাচনে মমতার বিরুদ্ধে প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা শুভেন্দুর

Published on:

suvendu adhikari

কলকাতাঃ লোকসভা, বিধানসভা নির্বাচনে হেরে দলের কর্মীদের যে মনোবল ভেঙে গিয়েছিল তা কার্যত স্বীকার করে নিয়েছেন বঙ্গ বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ। গতকাল বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্যভবন অভিযানের পর থেকে নতুন করে যেন জ্বলে উঠেছে বঙ্গ গেরুয়া শিবির। আরজি কর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ-খুনের ঘটনায় দফায় দফায় বিক্ষোভ দেখাচ্ছে বিজেপি সহ আরও নানা দলগুলি। এরপর সকলকে চমকে দিয়ে গতকালের বিজেপির স্বাস্থ্যভবন অভিযানকে ঘিরে অশান্ত হয়েছে উঠেছিল শহর কলকাতা। তবে এবার ২০২৬ সালের বিধানসভা ভোট নিয়ে বড় মন্তব্য করতে শোনা গেল বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারীকে।

২৬-র ভোট নিয়ে হুঙ্কার শুভেন্দুর

আর মাত্র দুটো বছর, তারপরেই শুরু হবে বিধানসভা ভোট। বাংলার শাসন ভার কার হাতে যাবে তা ফের একবার নির্ধারিত হবে ২০২৬ সালের বিধানসভালো ভোটের পর। এদিকে আসন্ন এই ভোট নিয়ে কার্যত তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিলেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক। বললেন, ‘আবারও হারাব।’ একদিকে যখন বাংলার নির্ভয়াকাণ্ডকে ঘিরে বাংলা তথা সমগ্র দেশ উত্তাল সেইসময়ে শুভেন্দু অধিকারীর এহেন মন্তব্যকে বেশ তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে হচ্ছে।

আরজি কর-কাণ্ডে উত্তাল বাংলা

আরজি কর-কাণ্ডে উত্তাল হয়ে রয়েছে বাংলা। এদিকে এই ঘটনাকে ইস্যু করে অন্যান্য দলগুলির পাশাপাশি বিজেপি দফায় দফায় নিজেদের আন্দোলনের ঝাঁঝ বাড়াচ্ছে। শ্যামবাজারে মঞ্চ বেঁধে টানা ৫ দিন ধর্ণা কর্মসূচি চালাচ্ছে বিজেপি। তবে এই মঞ্চ থেকেই কার্যত ২৬-এর ভোটের রণডঙ্কা বাজিয়ে দিলেন শুভেন্দু বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। শুভেন্দু বললেন, ‘এরপরের বিধানসভায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যেখানে লড়বে, আমি আমাদের পার্টিকে বলব, নাড্ডাজিকে বলব, যদি সভাপতি থাকেন, বা অন্য যে থাকবে, আমাকে ওখান থেকে লড়ান’।

উল্লেখ্য, ২১-এর ভোটে নন্দীগ্রামে প্রায় দুই হাজার ভোটের ব্যবধানে তৃণমূল প্রার্থী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে হারান শুভেন্দু। তৃণমূল সরকার ক্ষমতায় এলেও শুভেন্দু অধিকারীর কাছে ১৯৫৬ ভোটে হেরে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

WhatsApp Community Join Now
সঙ্গে থাকুন ➥
X