কলকাতা পুরসভার বিরুদ্ধে অবৈধ বার্থ সার্টিফিকেট বিলির অভিযোগ! বড় পদক্ষেপ শুভেন্দুর

Published:

Suvendu Adhikari
Follow

প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: বহু বিতর্কের মাঝে অবশেষে জাতীয় নির্বাচন কমিশনের নির্দেশে শুরু হয়েছে SIR বা ভোটার তালিকার বিশেষ নিবিড় সংশোধন। যদিও এই প্রক্রিয়া নিয়ে একদমই খুশি নয় শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস। তাইতো একের পর এক প্রতিবাদ মিছিল শুরু করেছেন তারা। পাল্টা হুঁশিয়ারি দিয়েছে গেরুয়া শিবির। এমতাবস্থায় বার্থ সার্টিফিকেট বা জন্ম শংসাপত্র নিয়ে বিস্ফোরক অভিযোগ তুললেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। কাঠগড়ায় তোলা হল কলকাতা পুরসভাকে।

জন্ম শংসাপত্র নিয়ে বিতর্ক

SIR-এর ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় নথির মধ্যে অন্যতম হল বার্থ সার্টিফিকেট বা জন্ম শংসাপত্র। এদিকে গেরুয়া শিবিরের অভিযোগ, SIR ঘোষণার পর থেকে লাগাতার বেআইনি ভাবে জন্ম শংসাপত্র ইস্যু করা হচ্ছে। যখন বার্থ রেজিস্ট্রেশন অফলাইন মাধ্যমে হতো, সেই সময়ের তারিখ ব্যবহার করে Delayed Birth Registration করা হচ্ছে। যাতে SIR-এর নথি যাচাইয়ের ক্ষেত্রে সমস্যা না হয়। এমতাবস্থায় শুভেন্দু অধিকারী অভিযোগের সুরে জানালেন, এই বেআইনি কর্মকাণ্ডে স্থানীয় স্তরের তৃণমূল নেতৃত্ব, কাউন্সিলার এবং পঞ্চায়েত প্রধান এই গোটা প্রক্রিয়ার সঙ্গে জুড়ে রয়েছেন। শুধু তাই নয় কলকাতা পুরসভাও নাকি বেআইনি জাল জন্ম শংসাপত্র তৈরির কাজে জড়িত রয়েছেন বলে অভিযোগ তুলল রাজ্যের বিরোধী দলনেতা।

কী বলছেন শুভেন্দু অধিকারী?

আজ অর্থাৎ বৃহস্পতিবার, নিজের এক্স হ্যান্ডেলে বিজেপি দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী জানিয়েছেন যে, “ ভোটার তালিকা থেকে বাদ পড়ার ঝুঁকিতে থাকা সন্দেহজনক ব্যক্তিদের সুবিধার্থে এবং তাদের থাকার ব্যবস্থা করার জন্য কলকাতা পুরসভা অনৈতিকভাবে ফেক জন্ম শংসাপত্র বিতরণ করছে। এটি আসলে ভোটার তালিকায় কারসাজি এবং গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে দুর্বল করার এক স্পষ্ট প্রচেষ্টা।” এছাড়াও তিনি আরও বলেন যে, “জন্ম শংসাপত্র দেশের নাগরিকদের জন্য তৈরি একটি আইনি নথি, যা সাধারণত নবজাতকদের ক্ষেত্রে ইস্যু করা হয়। কিন্তু এটিকে রাজনৈতিক প্রকৌশলের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে।”

আরও পড়ুন: নবদ্বীপে সুকান্তর কনভয়ে হামলা! পাল্টা INTTUC-র অফিসে ‘ভাঙচুর’ বিজেপির

কলকাতা কর্পোরেশনের কাছে RTI আবেদন

ভুয়ো জন্ম শংসাপত্র নিয়ে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী তাঁর এক্স হ্যান্ডেলে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসকে কটাক্ষ করে জানিয়েছেন যে, “এই ধরনের পদক্ষেপের পেছনে উদ্দেশ্য হল রাজনৈতিক স্বার্থে জনসংখ্যার চিত্র পরিবর্তন করা। কিন্তু এই গুরুত্বপূর্ণ নথি রাজনৈতিক স্বার্থসিদ্ধির মাধ্যম নয়, বরং আইন অনুযায়ী নাগরিকত্বের প্রমাণ। তাই ১৯৬৯ সালের জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন আইনের অধীনে কেএমসি যদি আইনি নিয়মকানুন উপেক্ষা করে থাকে, তাহলে তা কোনওভাবেই সহ্য করা হবে না। শীঘ্রই স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক এবং রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিককে তদন্ত করার অনুরোধ রইল।” ইতিমধ্যেই ঘটনার সত্যতা যাচাই করতে কলকাতা পৌর কর্পোরেশনের স্বাস্থ্য দপ্তরের কাছে একটি আরটিআই আবেদন করেছেন। সেই আবেদনে তিনি গত ৩০ দিনে জারি করা সমস্ত জন্ম শংসাপত্রের বিস্তারিত তথ্য চেয়েছেন।

গুরুত্বপূর্ণ
Join
চাকরির খবর
Join
রাশিফল
Join
খেলার খবর
Join