প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: কয়েক দিন আগেই দক্ষিণ 24 পরগনার রবীন্দ্রনগরের আকড়া সন্তোষপুর এলাকায় দুই গোষ্ঠীর মধ্যে তুমুল উত্তেজনা (Maheshtala Case) ছড়িয়ে পড়েছিল। মন্দিরের জমি অধিগ্রহণকে কেন্দ্র করে ব্যাপক সংঘর্ষ বেঁধে গিয়েছে। স্থানীয় পুলিশ পরিস্থিতি সামলাতে গেলে উত্তেজনা আরও ভয়ংকর রূপ নেয়। পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে একের পর এক বাইক, পুলিশের গাড়িতেও বেপরোয়া ভাবে চলেছে ভাঙচুর।
ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের পাশে শুভেন্দু অধিকারী
প্রাপ্ত রিপোর্ট সূত্রে জানা গিয়েছে মহেশতলায় গোষ্ঠী দ্বন্দ্বের অশান্তিতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে প্রায় 23 টি পরিবার৷ আর সেই ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের হাতে ক্ষতিপূরণের অর্থ তুলে দিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এদিন আক্রান্তদের সঙ্গে দেখা করার পর তিনি বলেন, ” ঘটনা ঘটার 48 ঘণ্টার মধ্যে ওই এলাকায় এখনও পর্যন্ত কোনো রাজ্য সরকার, পুরসভা বা জেলা প্রশাসন কিংবা পুলিশ প্রশাসন, স্থানীয় কাউন্সিলর, বিধায়ক বা সংসদদের তরফে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কোনও উদ্যোগে দেখা গেল না। তাই বিজেপি উদ্যোগ নিয়ে ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে দাঁড়িয়েছে।”
ক্ষতিগ্রস্তদের পরিচয় প্রকাশ না করার অনুরোধ
এছাড়াও এদিন শুভেন্দু অধিকারী আরও বলেন যে, “ সামশেরগঞ্জের মত মহেশতলাতেও ক্ষতিগ্রস্তরা পুলিশ বা শাসক দলের তরফে কোনও ক্ষতিপূরণ নেবেন না বলে জানিয়েছেন। তবে আমাদের তরফ থেকে ক্ষতিপূরণ নিতে তাঁদের কোনো অসুবিধা নেই। এদিন ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে 26 জনকে চিহ্নিত করে তাঁদের ডাকা হয়েছিল । কিন্তু এদের মধ্যে 23 জন এসেছেন।”
এদিকে ক্ষতিগ্রস্তরা যাতে প্রশাসনের নজরে না আসে বা তাঁদের যাতে কেউ টার্গেট না করে তাই শুভেন্দু অধিকারী সবাইকে অনুরোধ করেন যে, তাঁদের পরিচয় যেন প্রকাশ না করা হয়। শুধুমাত্র বিজেপির পাশে থাকলেই হবে।
কেন্দ্রীয় সেনা মোতায়েনের আর্জি
ক্ষতিপূরণের পাশাপাশি এদিন শুভেন্দু অধিকারী কেন্দ্রীয় সেনা বাহিনী মোতায়েনের আর্জিও তুলেছিলেন। তিনি জানিয়েছেন যে, “মহিলাদেরও হুমকি দেওয়া হচ্ছে এলাকায়। তাই সকলের নিরাপত্তার খাতিরে ধুলিয়ান ও সামশেরগঞ্জের মতো মহেশতলাতেও অবিলম্বে আধা সামরিক বাহিনী মোতায়েন করতে হবে। এছাড়াও আগামীকাল অর্থাৎ সোমবার মহেশতলা কাণ্ডের শুনানি রয়েছে। আমি আশা করছি যে আগামী সপ্তাহের মধ্যেই কলকাতার উপকণ্ঠে যে নিরাপত্তাহীনতা এবং এবং ভয়ের পরিবেশ কাজ করছে এটা কেটে যাবে আদালতের রায়ে।”
আরও পড়ুন: পড়ানোর ধাঁচে বড় বদল! পুতুলনাচের মাধ্যমে শিক্ষকদের দেওয়া হবে বিশেষ প্রশিক্ষণ
এদিকে মহেশতলা কাণ্ডের জেরে এবার পুলিশে ব্যাপক রদবদল দেখা গিয়েছে। রবীন্দ্রনগর থানার আইসি মুকুল মিঞাকে দার্জিলিংয়ের ইন্সপেক্টর অফ পুলিশ করে পাঠানো হয়েছে। তাঁর জায়গায় রবীন্দ্রনগর থানার আইসি-র দায়িত্ব নিচ্ছেন মালদহের রতুয়ার সার্কেল ইন্সপেক্টর সুজন কুমার রায়। বদলি করা হয়েছে মহেশতলার SDPO-কেও। যদিও এটিকে রুটিন বদলি বলেই দাবি করা হয়েছে। তবে ওয়াকিবহাল মহল মনে করছে, আদতে মহেশতলার সংঘর্ষের জেরেই পুলিশে এই বড় রদবদল করা হয়েছে।
রাজ্য রাজনীতি, বিনোদন থেকে শুরু করে খেলা সংক্রান্ত নানা ধরনের খবরের লেটেস্ট আপডেট পেতে এখনই ফলো করুন আমাদের India Hood Bangla কে।