কথা রাখলেন শুভেন্দু! নিজের বেতন থেকে ৫ লাখ টাকার চেক পাঠালেন বন্যায় কবলিত পরিবারকে

Published on:

suvendu adhikari

প্রীতি পোদ্দার: গত সপ্তাহের টানা বৃষ্টি এবং ডিভিসির ব্যাপক জল ছাড়ার জেরে দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলায় অবস্থা রীতিমত শোচনীয় হয়ে উঠেছে। হাওড়া, হুগলি, দুই মেদিনীপুর, দুই বর্ধমান সবচেয়ে বেশি প্লাবিত হয়েছে। ঘাটাল এবং আরামবাগ এলাকায় বাসিন্দাদের বাড়িঘর দোতলা অবধি জল ছুঁয়েছে। ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশ ভাইরাল হয়েছে বন্যার্তদের সেই ভয়াবহ ছবি। একটু শুকনো খাবার এবং ত্রিপলের জন্য হাহাকার করতে দেখা যাচ্ছে তাঁদের। আর এবার প্রশাসনের পাশাপাশি বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বানভাসি দুর্গতদের পাশে দাঁড়ালেন।

বন্যা-দুর্গতদের পাশে দাঁড়ালেন শুভেন্দু

WhatsApp Community Join Now

গত বৃহস্পতিবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বন্যার্তদের কাছে গিয়ে আশ্বাস দিয়েছিলেন যে খুব শীঘ্রই প্রশাসন এর ব্যবস্থা করতে চলেছে। ঠিক তার পরের দিন অর্থাৎ শুক্রবার পূর্ব মেদিনীপুরের পাঁশকুড়াতে বন্যা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে গিয়েছিলেন শুভেন্দু।আর সেই সময় তাঁকে সামনে দেখতে পেয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েছিলেন এক অসহায় বন্যা-দুর্গত। শুভেন্দুর কাছে কান্নায় ভেঙে পড়ে জানিয়েছিলেন, বানের জলে ভেঙে গিয়েছে তাঁর বাড়ি। সেই কথা শুনে আশ্রয়হীন গ্রামবাসীকে বুকে জড়িয়ে ধরেছিলেন শুভেন্দু। এবং আশ্বাস দেন, তাঁর বাড়ি নতুন করে তৈরির জন্য আর্থিক সাহায্য করবেন বিরোধী দলনেতা। যেমন কথা তেমন কাজ। ঠিক ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই সেই সাহায্য পৌঁছে গেল সেই অসহায় ব্যক্তির কাছে।

শুভেন্দুকে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ গোটা পরিবারের পক্ষ থেকে

গণেশচন্দ্র ভুঁইয়া নামের সেই গ্রামবাসী শুভেন্দুকে জড়িয়ে ধরে তাঁর দুরাবস্থার কথা জানিয়েছিল। তাই সেই অনুযায়ী শুভেন্দু ৪৮ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই একটি মুখবন্ধ খামে করে পাঁচ লাখ টাকার চেক পাঠিয়ে দিলেন। আর এই টাকাটি তিনি সম্পূর্ণ নিজের বেতন থেকে দিয়েছিলেন। এই অন্ধকারের মধ্যে আশার আলো দেখে গণেশচন্দ্র ভুঁইয়া অশেষ কৃতজ্ঞতা জানালেন শুভেন্দু অধিকারীকে। এবং তিনি জানান এই ঋণ তিনি কোনওদিন শোধ করতে পারবেন না। আসলে পূর্ব মেদিনীপুর হল শুভেন্দু অধিকারীর নিজের জায়গা। আর নিজের এলাকার মানুষের এহেন বিপদের দিনে তাই নিজেকে সামলে রাখতে না পেরে এগিয়ে এলেন তাঁদের পাশে।

এদিন শুভেন্দুকে কাছে পেয়ে প্রশাসনের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন গণেশ এবং তাঁর পরিবার। বহু দিন ধরে বাঁধ মেরামতির কথা জানানো হলে সেচ দফতরের ঠিকাদার মাত্র কয়েকটা বস্তা দিয়ে চলে যান। বাঁধ মেরামত আর হয়নি। এরপরই বানভাসিদের সঙ্গে দেখা করে শুভেন্দু বলেন, “আগে মমতাকে তাড়াতে হবে। ২০২৬ সাল থেকে কথা দিচ্ছি আর বন্যা হবে না। না হলে মুখ দেখাব না। ”

সঙ্গে থাকুন ➥