প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: চলতি মাসে ওয়াকফ সংশোধনী আইনের বিরোধিতায় হিংসা ছড়িয়ে পড়ে মুর্শিদাবাদের বিস্তীর্ণ অংশে। বাড়িঘর ভাঙচুর, লুটপাট থেকে শুরু করে প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে। এমনকি পুলিশের উপর হামলা, পুলিশের গাড়ি পুড়িয়ে দেওয়ার মতো ঘটনাও ঘটে। পরিস্থিতি এমন জায়গায় পৌঁছোয় যে, অনেকে বাড়িঘর ছেড়ে ঠাঁই নেন আশ্রয় শিবিরে। শেষে অবরোধ-বিক্ষোভে রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় সুতি-সামসেরগঞ্জ-জঙ্গিপুর। গোষ্ঠী সংঘর্ষে মৃত্যু হয় তিনজনের। আর এই আবহে অবশেষে মুর্শিদাবাদে পৌঁছলেন শুভেন্দু অধিকারী।
নিহতদের পরিবারে ক্ষতিপূরণ দিলেন শুভেন্দু
সূত্রের খবর, আজ অর্থাৎ শনিবার, কলকাতা হাইকোর্টের অনুমতি নিয়েই মুর্শিদাবাদের হিংসা বিধ্বস্ত এলাকা পরিদর্শন করতে গিয়েছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। এদিন তিনি সাম্প্রদায়িক হিংসায় আক্রান্তদের সঙ্গে কথা বলেছেন। এমনকি ওয়াকফ আন্দোলনের জেরে মুর্শিদাবাদে যে দুই বাবা ও ছেলে হরগোবিন্দ দাস ও চন্দন দাস খুন হয়েছিলেন তাঁদের বাড়িতেও গিয়েছিলেন তিনি। দেখা করেন পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে। কান্নায় ভেঙে পড়েন সকলে। শেষে শুভেন্দু অধিকারী তাঁদের হাতে ১০লক্ষ ১ হাজার টাকার চেক নিহতদের পরিবারের সদস্যদের হাতে তুলে দিয়েছেন।
কী জানালেন বিরোধী দলনেতা?
এই প্রসঙ্গে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “আমি হিন্দু হৃদয়ে স্থান নিয়ে নিয়েছি। এটাই পরম প্রাপ্তি। সকলেই বলছিল হরগোবিন্দ দাস-চন্দন দাসের পরিবার নাকি সিপিএম। তবে এটা প্রমাণ হয়ে গেল, যে এই পরিবার হিন্দু। সবাই বলছে, BSF ক্যাম্প চাই। NIA তদন্ত চাই। এরা মুখ্যমন্ত্রীর ১০ লক্ষ টাকা প্রত্যাখ্যান করেছে। আমি দুটো মৃত পরিবারকে ১০ লক্ষ ১ হাজার টাকা করে দিয়েছি। ওরা গ্রহণ করেছে। বিরোধী দলনেতাকে গ্রহণ করেছে। প্রমাণ হয়ে গেছে হিন্দুদের জন্য আমরা সঠিক পথে আছি।”
NIA এর তদন্ত দাবি গ্রামের বাসিন্দাদের
অন্যদিকে শুভেন্দু অধিকারী মুর্শিদাবাদের এলাকাগুলিতে প্রবেশ করতেই তাঁকে ঘিরে জয় শ্রীরাম এর স্লোগান তোলে। গ্রামের বয়স্ক থেকে শুরু করে বাচ্চা-মহিলারা সকলেই স্লোগান তুলতে থাকেন। এরই পাশাপাশি সাম্প্রদায়িক হিংসার জেরে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার বেশ কিছু বাড়িঘর ঘুরে দেখেন তিনি। এমনকি এলাকায় BSF ক্যাম্প তৈরির দাবিও করেন এলাকাবাসী। এর পাশাপাশি আরও একবার এই ঘটনার NIA তদন্ত দাবি করে গ্রামের বাসিন্দারা। তদন্তের জন্য আবেদন করবেন বলেও আশ্বস্ত দেন শুভেন্দু অধিকারী।
আরও পড়ুনঃ মুসলিম হওয়ার শাস্তি, প্রসূতির চিকিৎসা করলেন না কলকাতার ডাক্তার! চারিদিকে নিন্দার ঝড়
এদিকে এর আগে প্রশাসন অনুমতি না দেওয়ায় উত্তপ্ত সামশেরগঞ্জে পৌঁছতে পারেননি বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। ঢুকতেই পুলিশের বাধার মুখে পড়েছিল। তখনই কলকাতার হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন তিনি। এরপর আদালত তাঁর আবেদিন সাড়া দেয়। এবং কিছুদিন আগেই কলকাতা হাইকোর্ট নির্দেশ দেয় সামশেরগঞ্জে শুভেন্দু অধিকারী যেতে পারবেন কিন্তু তিনি কোনও জমায়েত করতে পারবেন না। সেই নির্দেশ মেনেই আজ তিনি সেখানে পৌঁছন।
রাজ্য রাজনীতি, বিনোদন থেকে শুরু করে খেলা সংক্রান্ত নানা ধরনের খবরের লেটেস্ট আপডেট পেতে এখনই ফলো করুন আমাদের India Hood Bangla কে।
গুরুত্বপূর্ণ খবরের জন্য | Join Group |
চাকরির খবরের জন্য | Join Hood Jobs |
রাশিফলের জন্য | Join Hood Rashifal |
খেলার খবরের জন্য | Join Whatsapp |