প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: ফের আরও একবার খবরের শিরোনামে উঠে এসেছে সন্দেশখালি। চলতি বছরের লোকসভা নির্বাচনের আগে উত্তর ২৪ পরগণার সন্দেশখালি নিয়ে উত্তপ্ত হয়ে পড়েছিল রাজ্য রাজনীতি। সেই আবহে বসিরহাট লোকসভার নির্বাচন হয়েছিল। নানা ধুন্ধুমার পর্বের মধ্যে ভোটাভুটি চললেও ফলাফল ছিল চমকপ্রদ। গেরুয়া শিবির অন্য বিধানসভাগুলিতে পিছিয়ে থাকলেও বিজেপি প্রার্থী রেখা পাত্র (Rekha Patra) সন্দেশখালি থেকে লিড পেয়েছিলেন। এবং হাইকোর্টের মামলার রায় নিয়েও বেশ ইতিবাচক আশা গেরুয়া শিবিরের। আর তাতেই এবার রাজনৈতিক মহলে গুঞ্জন ছড়িয়েছে যে তবে কি এবার বসিরহাটের সংসদ রেখা পাত্র হচ্ছেন!
মমতার জনসভার পরেই যাবেন শুভেন্দু
এই প্রসঙ্গে গতকাল অর্থাৎ শুক্রবার, বিধাননগরে বিজেপির নতুন রাজ্য দফতরের বাইরে শুভেন্দু অধিকারী জানিয়েছেন যে, “মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যাচ্ছেন যান। উনি ওইদিন জনসভা করছেন করুন। আমি তার পরের দিন অর্থাৎ ৩১ ডিসেম্বর জনসংযোগ কর্মসূচি করব। তবে হ্যাঁ, মুখ্যমন্ত্রীর মতো বড় আয়োজন হয়তো করতে পারব না। কিন্তু কঠিন সময়ে আমি সন্দেশখালির পাশে ছিলাম। এখনও আছি, সেই বার্তাই দিয়ে আসব।” এখানেই তিনি তাঁর মন্তব্য শেষ করেননি। তিনি চলতি বছরের লোকসভা নির্বাচনকেও তুলে ধরেন।
শুভেন্দু অধিকারীর কড়া হুঁশিয়ারি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে
শুভেন্দু অধিকারীর কথায় ২০২১-এর বিধানসভা ভোটে সন্দেশখালিতে শাসকদল তৃণমূল এই মুহুর্তে বড় ব্যবধানে ভোটের লড়াইয়ে জিতে গেলেও গত লোকসভা নির্বাচনে ওই এলাকায় বিজেপি সাড়ে ৭ হাজার ভোটে এগিয়ে রয়েছে। এমনকি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এর সরকারি বিলি-বণ্টন কর্মসূচিকেও কটাক্ষ করতে ছাড়েননি শুভেন্দু অধিকারী। তিনি দাবি করেন, “মুখ্যমন্ত্রী যদি নিজে গিয়েও সেখানকার মানুষদের এক কোটি টাকাও দেন জনজাতি সম্প্রদায়ের মানুষ, সেও তৃণমূলকে কোনোদিনও ভোট দেবেন না! আপনাকে ভোট দেবে পিঠা তৈরি করার শাহজাহান ও তাঁর কোম্পানি। আমরা আগামী দিনে আরও বেশি ভোটে জিতব।”
এদিকে ২৬ এর বিধানসভা নির্বাচনের আগে মমতার সন্দেশখালি-সফর নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তীও। তিনি বলেছেন, “সন্দেশখালির মানুষের যেই সময় সবচেয়ে বেশি মুখ্যমন্ত্রীকে প্রয়োজন ছিল, তখন যাননি। যখন শেখ শাহজাহান এর শাস্তির দাবি উঠেছিল, তখন তাঁকে খুঁজে পাওয়া গেল না। এখন যাচ্ছেন উল্টে অপরাধীদের পাশে দাঁড়াতে!” চারিদিকে বিরোধী দল যখন সন্দেশখালির অশান্তি প্রসঙ্গে মন্তব্য করেছেন তখন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ চুপ করে থাকেনি। তিনি জানিয়েছেন, “শান্তিপূর্ণ পরিবেশ, উন্নয়নের কাজ পুরো দমে চলছে। অন্যায় হয়ে থাকলে তীব্র নিন্দা করা হয়েছে, ব্যবস্থাও নেওয়া হয়েছে।”